দ্রুত টাইপ শেখার কৌশল

দ্রুত টাইপ শেখার কৌশল
দ্রুত টাইপ করতে পারাটা এখন একটি দক্ষতা। হালে এ দক্ষতার কদর রয়েছে। দ্রুত টাইপ করতে না পারায় অনেক সময়ের অপচয় হয়। সংক্ষেপে যদি দ্রুত টাইপ করার ‘গোপন রহস্য’ প্রকাশ করতে বলা হয়, তবে মনে রাখতে হবে যে এর জন্য আসলে তেমন কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই। তবে কিছু পথ আছে, যার মাধ্যমে টাইপ করার দক্ষতাকে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে বাড়িয়ে নেওয়া যায়।

১. আরামদায়ক জায়গা: দ্রুত টাইপ করার জন্য চাই উপযোগী ও স্বস্তিকর জায়গা। খোলামেলা ও আরামদায়ক জায়গা হলে দ্রুত টাইপ করতে সুবিধা হয়। ল্যাপটপে বা কিবোর্ড নিয়ে দ্রুত টাইপ করতে গেলে তা কোলের ওপর রাখার চেয়ে টেবিলের ওপর রেখে করলে দ্রুত কাজ হবে।

২. ঠিক হয়ে বসা: দ্রুত টাইপ করার জন্য ঠিক হয়ে বসা জরুরি। সোজা হয়ে বসে কবজি যাতে কিবোর্ড বরাবর থাকে, এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে আঙুল কিগুলো ঠিকমতো চালাতে পারবেন। বেশি ঝুঁকে টাইপ না করাই ভালো। আরামদায়ক উচ্চতায় বসে টাইপ করলে দ্রুত টাইপ করা যাবে।

৩. হাত সঠিক স্থানে রাখুন: কিবোর্ডের ওপর ঠিকমতো হাত না রাখার ফলে দ্রুত টাইপ করা যায় না। ভুলভাবে কিবোর্ডের ওপর হাত রাখার ভুলটিই বেশি দেখা যায়। তাই কিবোর্ডে আঙুল রাখার নিয়মটি মনে রাখতে পারেন। বাঁ হাতের তর্জনীতে রাখুন ‘এফ’ কি, মধ্যমাতে ‘ডি’, অনামিকাতে ‘এস’, কড়ে আঙুলে ‘এ’। ডান হাতের তর্জনী রাখুন ‘জে’, মধ্যমাতে ‘কে’, অনামিকাতে ‘এল’ ও কড়ে আঙুল রাখুন ‘সেমিকোলন’ কিতে। বাঁ ও ডান হাতের বৃদ্ধা আঙুল রাখুন স্পেস বারে। কিবোর্ড ব্যবহার করে দ্রুত টাইপ করতে হলে অনুশীলনের বিকল্প নেই।

৪. অনুশীলন শুরু: আঙুল ঠিকমতো রাখার পর বিভিন্ন শব্দ টাইপ করতে থাকুন। অনুশীলন চালিয়ে যান। শুরুতে যে কিগুলোতে আঙুল রেখেছেন, তা চেপে টাইপ শুরু করুন। ‘এএসডিএফ’ এরপর স্পেস দিয়ে ‘জেকেএল; ’ এরপর বড় হাতের অক্ষরে এ অক্ষরগুলো টাইপ করার চেষ্টা করুন। এরপর নিচের সারির কিগুলোতে আঙুল রেখে এই কিগুলো টাইপ করুন। একই সঙ্গে ওপরের সারিতে আঙুল রেখে ওই কিগুলো টাইপ করার চেষ্টা করুন। এবার কিবোর্ডের দিকে না তাকিয়েই কিগুলো চেপে টাইপ করার চেষ্টা করতে পারেন।

৫. টাচ টাইপিং শেখা: শুরুতে টাচ টাইপিংয়ের দক্ষতা খুব কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু একবার দক্ষ হয়ে গেলে টাচপ্যাড ব্যবহার করে সবচেয়ে দ্রুত টাইপ করা যায়। টাচ টাইপ শিখতে খুব ধীরে কিবোর্ডের দিকে না তাকিয়ে অনুশীলন শুরু করুন। ধীরে ধীরে আপনার টাইপের গতি বাড়ান। শুরুতে কঠিন মনে হলেও লেগে থাকুন। ধীরে ধীরে দ্রুত টাইপ শিখে যাবেন।

৬. অনুশীলন চালিয়ে যান: দ্রুত টাইপ শেখার জন্য অনুশীলনের বিকল্প নেই। যত টাইপ করবেন, তত দ্রুত ও নির্ভুল টাইপ করা শিখে যাবেন। তবে এ জন্য ধৈর্য থাকতে হবে।

সূত্র: ম্যাশেবল।

খুব দ্রুত ইংরেজি বা যে কোন ভাষা শিখতে চান ?

খুব দ্রুত ইংরেজি বা যে কোন ভাষা শিখতে চান ?
নতুন কোন কিছুর প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টির সেই প্রথম থেকেই। প্রতিনিয়তই প্রাত্যহিক জীবন-যাপনের বাইরে নিজের মত করে আলাদা কিছু করতে চান তারা। শিখতে চায় নতুন কিছু। আবিষ্কার করতে চান নিজের ভেতর আর বাইরের অজানা দিকগুলোকে। তবে কেবল আগ্রহের জায়গা থেকেই নয়, নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে কিংবা আর একটু সমৃদ্ধ করতে অনেকেই নিজের মাতৃভাষার পাশাপাশি শিখতে চান নতুন নতুন ভাষা। দেশের বাইরে যেতে চাইলে নতুন ভাষা শেখাটা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে ইংরেজি। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক মায়ের ভাষা শেখার মতন সহজ হয়না কারো কাছেই। তবে অতটা সহজ না হলেও কিছু সাধারণ পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে ইংরেজি সহ যে কোন ভাষা খুব সহজেই শিখতে পারবেন। আর পদ্ধতিগুলো হচ্ছে-
১. খবরের কাগজ পড়া

আন্তর্জাতিক খবরের কাগজের কিছু অংশে মাঝে মাঝে নানারকম ভাষার প্রবন্ধ বা গল্প ছাপা হয়। সেগুলো পড়ে দেখুন। সবচাইতে ভালো হয় যদি আপনি সেই ভাষার কোন ম্যাগাজিনের গ্রাহক করে ফেলেন নিজেকে। তাহলে নির্দিষ্ট কিছু দিন পরপর সেই ভাষার নতুন নতুন কিছু শব্দ আর বাক্য কড়া নেড়ে যাবে আপনার দরজায়। আর পুরোপুরি না বুঝতে পারলেও সেই বাক্যগুলোর মোটমুটি একটা অর্থ আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে কিছুদিন এভাবে চালিয়ে গেলে। হয়তো প্রত্যেকটি শব্দের অর্থ আপনার জানা থাকবেনা। তবুও কি বলতে চাওয়া হয়েছে সেটা আন্দাজ করে ফেলতে পারবেন আপনি।
২. ব্যায়াম করা
ভাবছেন ব্যায়াম করলে নাহয় শরীর ঠিক থাকবে। ভাষার ব্যাপারে কি করে সাহায্য করবে এটা? অদ্ভূত শোনালেও সত্যি যে ব্যায়াম আপনাকে ভাষা শিখতে একটু হলেও সাহায্য করবে। চিন্তা করে দেখুন তো ব্যায়াম করার সময় সাধারণত কোন কাজটা করি আমরা? একটা গান ছেড়ে দেই কিংবা কবিতা! কেমন হয় যদি সেই গান কিংবা কবিতাটি হয় সেই ভাষার যেটা কিনা আপনি শিখতে চাইছেন? শব্দ যতটা দ্রুত মানুষের মাথার ভেতরে প্রবেশ করে তার চাইতে ভালো করে সেটা মাথা ও মনে গেঁথে যায় যদি সেটাতে কিছু সুর সংযোজন করে দেওয়া হয় আর সুরটা হয়ে যায় শ্রোতার মনের মতন। আর তাই ব্যায়ামের মাধ্যমেও প্রতিদিন আপনি আয়ত্ করে নিতে পারেন নতুন ভাষাকে।
৩. বাইরে খেতে যাওয়া

বাইরে খেতে কে না ভালোবাসে? তবে খাওয়ার পাশাপাশি এবার থেকে চারপাশের মানুষের সাথে আপনি কথা-বার্তাও চালাতে পারেন। এবং অবশ্যই সেটা সেখানকার ভাষায়। ভিনদেশে যদি আপনি চেষ্টা করেন তাদের ভাষায় কথা বলতে তাহলে যতটা দ্রুত আপনি শিখতে পারবেন নতুন ভাষাটি, ততটাই দ্রুত চলে যেতে পারবেন সেই মানুষগুলোর একদম কাছে।
৪. বন্ধু তৈরি করা

নতুন বন্ধু বানান আর খুঁজুন আপনার চারপাশে এমন কাউকে যার মাতৃভাষা আপনার শিখতে চাওয়ার ভাষাটিই। এই যেমন- ফ্রেঞ্চ শিখতে চাইলে বন্ধুত্ব করুন ফ্রান্সের কারো সাথে। তার সাথে সময় কাটান, ঘুরতে যান আর প্রচুর কথা বলুন। এবং অবশ্যই সেটা তার ভাষাতেই। এতে করে সেই ভাষাটিতে আপনার শোনার, বোঝার ও বলার দক্ষতা দ্রুত বাড়বে।
৫. অবসরকে ব্যবহার করা

ছুটির দিন বিকেলে ঘরে বসে বিরক্ত হচ্ছেন? বসে না থেকে পড়ে ফেলুন একটা গল্প বা উপন্যাস। কিংবা দেখে নিন একটা মুভি! আর অবশ্যই সেটা যেন হয় নতুন ভাষায় লেখা বা তৈরি করা। প্রথম প্রথম হয়তো বুঝতে সমস্যা হবে। কিন্তু একটা সময় সেগুলোতেই অভ্যস্ত হয়ে যাবেন আপনি আর ভাষা শেখার সাথে সাথে পাবেন আনন্দও।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Design by MS Design

Powered by Blogger