অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহার করছেন ? তাহলে আপনার জন্য ১০টি উপকারি টিপস।

অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহার করছেন ? তাহলে আপনার জন্য ১০টি উপকারি টিপস।
অধিকাংশ ব্যবহারকারীর কাছেই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালানো সহজ। আর অ্যান্ড্রয়েড একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় যে কেউ এতে ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে পারে। আর এ কারণেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের সুযোগ রয়েছে একে মনের মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার। এতে প্রয়োজন অনুযায়ী যেমন ব্যাটারি লাইফ বাড়ানো সম্ভব তেমন গতিও বাড়ানো সম্ভব। এ লেখায় থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য তেমন ১০টি টিপস।
প্রথম ধাপ>>> পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের জন্য ‘গুগল নাও
পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের প্রয়োজনে ব্যবহা
র করুন ‘গুগল নাও’ অ্যাপ। এজন্য গুগল অ্যাপে গিয়ে ‘গেট গুগল নাও’ লিখে ট্যাপ করলেই হবে। এরপর আপনার প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন সেট করুন।
২য় ধাপ>>> লাঞ্চার ও লক স্ক্রিন বদলান
প্রতিদিন একই আবহাওয়া উইজেট দেখে আপনি ক্লান্ত? গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনি এমন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন যা, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারফেস বদলে দেবে। এজন্য অ্যান্ড্রয়েড লাঞ্চার ও লক স্ক্রিন রিপ্লেসমেনট সার্চ করুন।
৩য় ধাপ>>> পাওয়ার সেভিংস মোড আনুন
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস যদি প্রায়ই ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে
যাওয়ার সমস্যায় পড়ে তাহলে পাওয়ার সেভিংসের কথা ভাবতে পারেন। এজন্য সেটিংস মেনুতে গিয়ে পাওয়ার সেভিংস মোড অন করুন। কিছু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে রয়েছে এজন্য নানা ফিচার। যেমন গ্যালাক্সি এসফাইভে রয়েছে আল্ট্রা পাওয়ার সেভিংস মোড। এর মাধ্যমে কল, টেক্সট, ইন্টারনেট ব্রাউজ ইত্যাদি সব কাজেই পাওয়ার সেভ করা সম্ভব। তবে সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাওয়ার সেভিংস মোড নেই।
৪ ধাপ>>>  অতিরিক্ত একটি ব্যাটারি রাখুন
প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনেরই ব্যাটারির সমস্যা রয়েছে। আর সব সময় চার্জের ব্যবস্থাও হাতের কাছে থাকে না। এ সমস্যা অনেকাংশে সমাধান করা সম্ভব বাড়তি একটি ব্যাটারি ব্যবহার করে। চলার পথে ব্যবহার করতে করতে ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে চট করে এটি বদলে নেওয়া সম্ভব।
৫ম ধাপ>>> গুগল অ্যাকাউন্টের সুবিধা নিন
আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের সুবিধা নেওয়ার জন্য গুগল ক্রোম ব্রাউজারে লগইন করতে পারেন। এতে আপনার বুকমার্ক ও অগ্রাধিকারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে।
৬ষ্ট ধাপ>>> অ্যাপগুলো ফোল্ডারে সাজান
আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ভিন্ন ভিন্ন ফোল্ডারে সাজিয়ে রাখুন। এর ফলে প্রয়োজনের মুহূর্তে অ্যাপ খুঁজে বের করার ঝামেলা কমে যাবে। ফেল্ডার তৈরির জন্য অ্যাপটির আইকনের ওপর আঙুল ধরে তা ড্র্যাগ করে উপরের বাম পাশে ‘ক্রিয়েট ফোল্ডার’-এ নিয়ে যান।
৭ম ধাপ>>> থার্ড পার্টি কিবোর্ড
আপনার ডিফল্ট কি বোর্ডে যদি টাইপ করতে সমস্যা হয় তাহলে তা বদলে ফেলার সুযোগ রয়েছে। এজন্য গুগল প্লে স্টোরে বহু অ্যাপ পাবেন, যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই টাইপ করা সম্ভব।
৮ম >>> ধাপ ক্রোমে ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করুন
আপনার যদি ইন্টারনেটের ডেটার লিমিট দ্রুত শেষ হয়ে যায় তাহলে ক্রোমের ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করুন। এতে অপ্রয়োজনীয় ডেটা বাদ দিয়ে ব্যান্ডউইথের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে ছবিগুলোও এটি ছোট ফরম্যাটে নিয়ে এসে ব্যান্ডউইথের সাশ্রয় করতে পারে।
৯ম ধাপ>>> গুগল অ্যাকাউন্টের সুরক্ষায় অথেনটিকেটর ব্যবহার
আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকলে গুগল অথেনটিকেটর ব্যবহার করুন। এটি দুই পর্যায়ে অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফিকেশন করে। ফলে লগইন করার সময় পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি কোডও জেনারেট করার প্রয়োজন হয়।
১০ম ধাপ>>>  ডিফল্ট অ্যাপস বদলান
কোনো লিংকে ক্লিক করলে যে ব্রাউজারে তা ওপেন হয় তা কি বদলাতে চান? এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত ডিফল্ট অ্যাপ যদি বদলাতে চান তাহলে সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ সংলগ্ন ক্লিয়ার ডিফল্ট বাটনে চাপ দিন।
ব্যাস এখন আপনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করুন মনে আনন্দ নিয়ে ।
আরও কিছু জানতে চাইলে আসুন আমার সাইটে http://sistunes.blogspot.com

বিগ ব্যাং থেকে বর্তমান মানব সভ্যতা এক নজরে

বিগ ব্যাং থেকে বর্তমান মানব সভ্যতা এক নজরে
‘বিগ ব্যাং’, মহাবিশ্বের সূচনা, মহাবিশ্বের সব কিছুর উৎপত্তি। সকল পদার্থ ও শক্তির সৃষ্টি।
আজ থেকে প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে পরমানুর চেয়েও বহুগুন ক্ষুদ্র প্রায় শুন্য আয়তনে ঘটা একটি বিস্ফোরনের মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি।
‘বিগ ব্যাং’ এর পর সময়ের পরিক্রমায় ধাপে ধাপে এই মহাবিশ্ব বর্তমান অবস্থায় আসে। গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যলাক্সি সব কিছুর শুরু ‘বিগ ব্যাং’।
সল্প পরিসরে দেখা যাক ‘বিগ ব্যাং’ এর পর কি কি ধাপ পার হয়ে আমাদের পৃথিবী, পৃথিবীতে ‘প্রথম প্রান’ এবং প্রানের বিকাশের ধারায় বর্তমান মানব সভ্যতা।
প্রথম পর্বে ‘বিগ ব্যাং’ এর পর পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর সৃষ্টি এবং পৃথিবীতে ‘প্রথম প্রান’ সৃষ্টির উপযুক্ত পরিবেশ গঠিত হবার সময় পর্যন্ত একটি ধারাবাহিকতা তুলে ধরা হল।
  • বর্তমান সময় হতে প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে বৃহৎ বিস্ফোরন সংগঠন। তাপমাত্রা প্রায় ১০^২৭ ডিগ্রী সেঃ।
  • বিগ ব্যাং এর পর ১ সেকেন্ড সময়ের মাঝে প্রায় শূন্য আয়তনের মহাবিশ্ব ছড়িয়ে পরে গ্যালাক্সির চেয়েও বড় এলাকায়। পদার্থ-প্রতিপদার্থ, কোয়ার্ক-প্রতিকোয়ার্ক একে অপরকে ধ্বংস করে শুধু শক্তি হয়ে বিরাজ করে। বাকিরা প্রোটন ও নিউট্রন সৃষ্টি করে। তাপমাত্রা কমে প্রায় ১০^১২ডিগ্রী সেঃ।
  • ইলেক্ট্রন পজিট্রন কে ধ্বংস করে। তাপমাত্রা আরো কমে প্রায় ৩০০ কোটি ডিগ্রী সেঃ হয় দশ সেকেন্ডের মধ্যে।
  • পরমানু গঠনের তিন মৌলিক কনা ইলেক্ট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন প্রস্তুত হতে সময় নেয় বিগ ব্যং এর পর তিন মিনিট।
    এর পর এভাবে সময় বয়ে চলে। মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হতে থাকে। মহাশুন্যে ভেসে বেড়ায় ইলেক্ট্রন, প্রোটন আর নিউট্রনের দল বিচ্ছিন্ন ভাবে।
  • প্রোটনকে কেন্দ্র করে প্রথম ইলেক্ট্রন ঘুর্নন শুরু করে বিগ ব্যাং এর প্রায় ৩ লক্ষ বছর পর। তৈরী হয় মহাবিশ্বের প্রথম পরমানু, হাইড্রোজেন পরমানু। এভাবে তৈরী হয় অসংখ্য বিচ্ছিন্ন হাইড্রোজেন পরমানু। যা বর্তমান কালের সকল বস্তুর, সকল পরমানুর আদি অবস্থা।
  • এ সময় থেকেই শুরু হয় মহাবিশ্ব গঠনে মহাকর্ষের প্রধান ভূমিকা। হাইড্রোজেন পরমানু মহাবিশ্বের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে মহাকর্ষের প্রভাবে কাছাকাছি আসা শুরু করে। গঠিত হয় গ্যালাক্সি। বিগ ব্যাং এর পর প্রায় ৩০ কোটি বছর থেকে ৫০ কোটি বছর পর্যন্ত চলতে থাকে বিভিন্ন স্থানে গ্যালাক্সির জন্ম ও পূর্নতা প্রাপ্তির পথে এগিয়ে যাবার সূচনা।
    এসব গ্যালক্সির অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে কাছাকাছি থাকা হাইড্রোজেন মহাকর্ষের প্রভাবে আরো কাছাকাছি এসে একটি কেন্দ্রের দিকে এগুতে শুরু করে। তাদের পারষ্পারিক ঘর্ষনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই সাথে বাড়তে থাকে চাপ এবং বাড়ে সামগ্রিক মহাকর্ষ বল যা আশেপাশের হাইড্রোজেনকে আকর্ষন করে কাছ নিয়ে আসে আরো বেশি পরিমানে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ৮০ লক্ষ ডিগ্রী ফারেনহাইট হলে হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস মিলে গঠিত হতে থাকে ভারী মৌল হিলিয়াম। সেই সাথে ফিউশনের জন্য বিকিরিত হয় শক্তি। এভাবেই তৈরী হয় মহাবিশ্বের প্রথম নক্ষত্র। একই প্রক্রিয়ায় তৈরী হয় মহাবিশ্বের সকল নক্ষত্র। আমাদের সৌরজগতের সূর্যও এমনই একটি নক্ষত্র।
    এখানে তৈরী হল প্রাথমিক ও হাল্কা দুটি মৌল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম। কিন্তু আমাদের পৃথিবীতেই আছে আরো শতাধিক তুলনামূলক ভারী মৌল। সেগুলোও তৈরী হয় নক্ষত্রেই। নক্ষত্রের আকারের উপর নির্ভর করে তুলনামুলক ভারী নক্ষত্র গুলোতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে আর সেই সাথে সকল হাইড্রোজেন ফিউশনিত হয় হিলিয়াম হবার পরেও ফিউশন প্রক্রিয়া চলতে থাকে। ভারী থেকে অতি-ভারী নক্ষত্রে একই ফিউশন প্রক্রিয়ায় তৈরী হয় হিলিয়াম থেকে যথাক্রমে, কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ম্যাগনেসিয়াম এবং সবশেষে লোহা। নক্ষত্রের সকল পরমানু লোহাতে পরিনত হবার পর আর ফিউশন চলতে পারে না। তখন মৃত্যু ঘটে একটি নক্ষত্রের। ছোট নক্ষত্রে এই মৃত্যু শান্ত হলেও মাঝারী ও বৃহদাকার নক্ষত্রে তারাদের ফিউশন শেষে এরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় বিশাল এক বিস্ফোরনের মধ্য দিয়ে। আর এই বিস্ফোরনের মাধ্যমেই তৈরী হয় কপার, সীসা এবং ইউরেনিয়ামের মত ভারী মৌল।
  • আজ থেকে প্রায় ১০০০ কোটি বছর পূর্বে সৃষ্টি হয় মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি। যার অধিবাসী আমরা। এই গ্যালাক্সিতে বারবার নক্ষত্রের জন্ম, মৃত্যু ও বিস্ফোরনের মাধ্যমে সৃষ্ট ভারী মৌল ও প্রয়োজনীয় হাল্কা হাইড্রোজেন একত্রীত হয় এই সর্পিলাকার গ্যালাক্সির পরিধির কাছাকাছি বর্তমান সৌরজগতের স্থানে।
  • বর্তমান সময় থেকে প্রায় ৪৫৬ কোটি বছর আগে এই একত্রীত ধুলোর মেঘ তার কেন্দ্রে তৈরী করে একটি নতুন নক্ষত্র। যাকে আমরা বলছি ‘সূর্য’। সৌরজগতের প্রান কেন্দ্র।
  • এই সৌরজগতের মোট পদার্থের ৯৯.৯% পদার্থ নিয়েই গঠিত হয় সূর্য। তারপরেও তার আশেপাশে থাকে গ্রহ উপগ্রহ তৈরীর জন্য পর্যাপ্ত পদার্থ। যেগুলো সময়ের সাথে মহাকর্ষের টানে কাছাকাছি এসে একত্রীত হয়ে গ্রহের আকার ধারন করে সূর্যের চারপাশে ঘুরতে থাকে এবং তৈরী করে সৌরজগত। এই গ্রহগুলোর একটি আমাদের পৃথিবী।
  • আজ থেকে ৪৫৪ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবী গ্রহের আকার ধারন করে যার ভর ছিল বর্তমান ভরের ৮০% । এ অবস্থায় পৃথিবী ছিল সম্পূর্ন অর্ধ-তরল গলিত লাভার একটি গোলাকার খন্ড। তখন পৃথিবীর ঘুর্নন ছিল বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি। তখন পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর একবার ঘুরতে সময় লাগত মাত্র ৬ ঘন্টা।
    দিন অতিবাহিত হতে থাকল পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথ নির্ধারন করে নিল। গলিত পৃথিবী ঠান্ডা হতে থাকল। হালকা পদার্থ তরলের উপরে উঠে এসে ভূপৃষ্ঠের আবরনের তৈরী করতে থাকল আর ভারী পদার্থ ডুবে গিয়ে পৃথিবীর কেন্দ্রে ভারী লোহা ও নিকেলের মিশ্রিত একটি ‘কোর’ তৈরী করল। এই ধাতব কেন্দ্র থেকে একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হল যা সূর্য থেকে ধেয়ে আশা আয়নিত কনা থেকে পৃথিবীর জীবজগৎকে এখনো রক্ষা করে চলে প্রতিনিয়ত। তখনো পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ তৈরী হয়নি।
  • ৪৫৩ কোটি বছর পূর্বে প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান একটি বস্তুখন্ড ঘন্টায় প্রায় ২৫০০০ কিঃমিঃ বেগে এসে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে। এই সংঘর্ষের ফলে আগন্তুকের কিছু অংশ পৃথিবীতে থেকে যায় আর বাকি অংশ ছড়িয়ে পরে মহাকাশে। ছড়িয়ে পরা এই বস্তুর কিছু অংশ মহাকর্ষের টানে একত্রীত হয়ে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরতে শুরু করে। সৃষ্টি হয় পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ।
    চাঁদ সৃষ্টি হওয়া পৃথিবীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। এই সংঘর্ষের ফলেই পৃথিবীর উলম্ব অক্ষ খানিকটা বেকে যায়। যার ফলে আজ আমরা পাচ্ছি ঋতুবৈচিত্র। যেটি প্রানের উদ্ভব ও জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয়। পৃথিবীর আহ্নিক গতি হ্রাস প্রাপ্ত হয়ে ৬ ঘন্টা থেকে ২৪ ঘন্টায় আসতে চাঁদের আকর্ষনের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া বর্তমানেও পৃথিবীর জলবায়ুর উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে চাঁদ। তার চাক্ষুস উদাহরন জোয়ার-ভাটা।

  • ৪৫০ কোটি বছর পূর্ব থেকে ৩৮০ কোটি বছর পূর্ব পর্যন্ত পৃথিবী প্রানের উদ্ভব ঘটার জন্য পর্যাপ্ত স্থিতিশীল অবস্থায় আসে। পৃথিবীর কক্ষপথ সুনির্দিষ্ট হয়, পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি স্থিতিশীল হয়, পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের গতি নির্দিষ্ট হারে এসে পৌছায়, চাঁদ অর্ধ-তরল লাভা থেকে ঠান্ডা হয়ে কঠিন অবস্থায় আসে।
  • ৪৫০ কোটি বছর পূর্বে, পৃথিবী কিছুটা শীতল হয়ে ভূপৃষ্ঠ কঠিন আকার ধারন করে। তবে তখনো ভূপৃষ্ঠে চলছে প্রচন্ড অগ্নুৎপাত। সেসময় পৃথিবীতে তাপমাত্রা এতই বেশি ছিল যে কোন তরল পানি ছিল না, ছিল ‘সুপারহিটেড স্টীম’।
    ধীরে ধীরে পৃথিবী ঠান্ডা হতে থাকে, জলীয়বাস্পের দরুন বৃষ্টিপাত হয়। প্রথমে খুবই অল্প পরিমানে ও পরে বেশি। ভুপৃষ্ঠ পানি তরল অবস্থায় থাকার মত তাপমাত্রায় আসে। বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হয় জলাধার এবং সমূদ্র।
  • আজ থেকে ৩৮০ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় প্রথমবারের মত স্থায়ী সমুদ্র, যা ছিল প্রথম প্রানের উৎপত্তিস্থল ও আবাস।
প্রথম পর্বে মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে পৃথিবীতে প্রান সঞ্চারের উপযুক্ত পরিবেশ গঠন পর্যন্ত সময়কে ক্ষুদ্র পরিসরে তুলে ধরা হল।
পরবর্তী দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে পৃথিবীতে প্রথম প্রানের উদ্ভব, ক্রমবিকাশ ও বিবর্তনের ধারায় বর্তমান মানব সভ্যতা গঠন পর্যন্ত অতিক্রান্ত সময়ের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন অংশ থাকবে।
তথ্যসূত্রঃ-
১. মহাকাশে কী ঘটছে – আবদুল্লাহ আল-মুতী
২. http://www.history.com
সবাইকে ধন্যবাদ।
ব্লগে পূর্বে প্রকাশিত :- Techtune

ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করুন খুব সহজে

ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করুন খুব সহজে
আসসালামু আলাইকুম। আসা করি সবাই ভালো আছেন।
আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দারুন এক ইউটিউব ডাউনলোডার! ইউটিউব থেকে অনেক সময় ভিডিও ডাউনলোড করতে সমস্যা হয়। আবার অনেকে পছন্দের গান এমপিথ্রি ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে চান। তাদের জন্য অসাধারণ একটি সফটওয়ার।

সফটওয়ার টি থেকে আপনি যেকোনো ধরণের ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন। হাই রেজুলেশন থেকে শুরু করে সব ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারবেন খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে।

প্রথমে সফটওয়ারটি ডাউনলোড করে নিন। ইন্সটাল করবেন সাধারন ভাবেই। ইন্সটাল করতে কোন সমস্যা হবে না আশা করি। তারপর আপনার পিসি একবার রিস্টার্ট করে নিন।

এখন আপনি যে ভিডিও টি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন সেটি যেকোনো ব্রাওজারে ওপেন করে নিন। তারপর উপর থেকে লিংক কপি করে আমার দেওয়া সফটওয়ার টি ওপেন করুন। দেখবেন অটোমেটিক আপনার কপি করা লিংক টি ছবি সহ ওই সফটে শো করছে। এখন নিচের দিকে বিভিন্ন ফরম্যাট এর অপশন দেওয়া আছে। হাই রেজুলেশন ভিডিও থেকে শুরু করে এমপিথ্রি সব ফরম্যাট সহ কোনটাই কত সাইজ সেটাও দেখতে পাবেন। আপনার পছন্দ মত ফরম্যাট নিয়ে ডানদিকে শুধু ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন। ব্যাস কাজ শেষ। দেখবেন ডাউনলোড শুরু হয়ে গেছে।

মনে রাখবেন, লিংক কপি করে তারপর সফটওয়ার টি ওপেন করবেন। তাহলে অটোমেটিক ডাউনলোড এর জন্য রেডি হয়ে যাবে।

তারপর কোন সমস্যা হলে আমাকে নক দিবেন ফেসবুকে আমি। অথবা টিউমেন্টস করবেন। উপকার পেলে অবশ্যয় জানাবেন টিউমেন্টস। আপনাদের টিউমেন্টস আমাকে পরের টিউনের উৎসাহ দেবে।

তাহলে আর দেরি কেন? এখুনি ডাউনলোড করে নিন।
ইউটিউব ডাউনলোডার টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

সময় পেলে আমার মুভি ডাউনলোড সাইট থেকে ঘুরে আসবেন। ভালো লাগবেই।


ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ্‌ হাফেজ।

হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি

রযুক্তির অগ্রগতির প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলে আমি সব সময় যে কথাটি বলি সেটা হলো, কাউকে যদি দুই বছর ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয় এবং তারপর জাগানো হয় তাহলে সে গত দুই বছরের প্রযুক্তির অগ্রগতি দেখে বেহুস হয়ে যাবে। আজ আমি আপনাদের এরকম একটি প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো যেটা এতোদিন শুধু মানুষের কল্পনায় ছিলো। কিন্তু এখন সেই প্রযুক্তি কল্পনার পর্দা ছিড়ে সত্যিকার জগতে চলে আসছে। আমার মনে হয় আপনারা টিউনের শিরোনাম যেমন দেখেছেন ঠিক তেমনি আয়রন ম্যান (টেকনোলজি নির্ভর যেকোন মুভি) মুভিটাও দেখেছেন।


খেয়াল করেছেন নিশ্চয় নিচের চিত্রের মতো এরকম অজস্র ভিজুয়াল ইফেক্ট রয়েছে সমস্ত মুভি জুড়ে। এই সমস্ত ব্যাপারগুলো ছিলো মানুষের কল্পনায়। কিন্তু প্রযুক্তির দুনিয়ায় কোন কিছুকে কল্পনা করতে যতোটা সময় লাগে তার বাস্তবায়ন হতে ততোটা সময় লাগেনা। কী থেকে যে কী তৈরী হয়ে যায় সেটা মানুষ নিজেই বুঝতে পারেনা। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের কথা মনে পড়ে গেলো! তিনি তার বধির বউ এর জন্য কানে শুনার যন্ত্র আবিষ্কার করতে গিয়ে টেলিফোন আবিষ্কার করে ফেলেছিলো। আজ যে সেই টেলিফোনের কতো রকম ব্যবহার সেটা আমরা সবাই জানি। যাহোক, আজকের টিউনের মুল আলোচনা হলো হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি নিয়ে। বলা যেতে পারে নতুন যুগের একটি প্রযুক্তির সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চলেছি। আগামী যুগে যে কী হবে সেটা আপাততো কল্পনা করতে পারছিনা।

হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি, আধুনিক যুগের বিষ্ময়

হলোগ্রাম কথাটির সাথে আপনারা নিশ্চয় পরিচিত আছেন। যারা নেই তারা নিশ্চয় প্রসাধনী পন্যের বিজ্ঞাপনে হলোগ্রাম দেখে কিনুন কথাটি শুনেছেন। আসলে হলোগ্রাম হলো একটি ত্রিমাত্রিক ছবি। যেটার দিকে তাকালে ছবির দের্ঘ্য প্রস্থ এবং উচ্চতা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। আর হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি হলো এমন একটি টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম যার সাহায্যে ত্রিমাত্রিক পরিবেশ তৈরীর মাধ্যমে আপনার সামনে এমন কিছু উপস্থাপন করা হবে যেটাকে বাস্তব মনে হলেও মূলত বাস্তবে তার অস্তিত্ব নেই। বুঝতে পারছেন না হয়তো, চলুন আরও একটু বুঝিয়ে বলছি। তবে তার আগে নিচের চিত্রটি একনজর দেখে নিন।

মনে করুন আপনি বাসা থেকে কয়েক হাজার মাইল দুরে রয়েছেন। বাড়িতে যোগাযোগ করতে চাইলে নিশ্চয় টেলিফোন অথবা ভিডিও কলের সাহায্য নিবেন। কিন্তু হলোগ্রাফিক প্রযুক্তির সাহায্যে এমন অবস্থা সৃষ্টি করা যাবে, যা দেখলে মনে হবে আপনি সত্যি সত্যিই বাসায় রুমের মধ্যে বসে আছেন। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র উন্নত মানের ক্যামেরা এবং ইন্টারনেট টেলিফোনির যথাযোগ্য সংযোজন এবং সংমিশ্রনের ফলে। খুব সহজেই এখন ভার্চুয়ালভাবে সবাই একসাথে বসে কনফারেন্স করতে পারবেন। ভার্চুয়াল জগৎ সত্যিকারের জগত হতে জনপ্রিয় হতে আর মনে হয় দেরী নেই।

যেভাবে কাজ করবে হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি

ভবিষ্যতে অফিসে মিটিং এর জন্য হয়তো কাউকে আর ফোন করে ডাকা হবেনা। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন আপনার আশেপাশে যদি একটি হলোগ্রাফিক এনভাইরনমেন্ট থাকে তাহলে খুব সহজেই সেখান থেকে সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। ভিডিও কনফারেন্সের সুযোগ নিশ্চয় টেকটিউনস কমিউনিটির সবারই মোটামুটি হয়েছে। না হয়ে থাকলেও নিশ্চয় জানেন কীভাবে ভিডিও কনফারেন্স করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের সব চেয়ে বড় অসুবিধা হলো, এটাতে বাস্তবতার কোন ছোঁয়া থাকেনা। চারপাশের পরিবেশ, কম্পিউটার স্ক্রিন আপনার অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে। যেমন আপনার সামনে দিয়ে কেউ হেটে গেলে ভিডিও কনফারেন্সের ক্ষেত্রে কতোটা বিঘ্ন হবে বুঝতেই পারছেন। হলোগ্রাফিক কম্পিউটার প্রযুক্তিতে এই ধরনের কোন সমস্যা নেই। এটা ভিডিও চ্যাটের চেয়ে দ্রুতগতির, বাস্তবধর্মী এবং কোনকিছু দ্বারা প্রভাবিত হবেনা। আপনি যেকোন অ্যাঙ্গেল থেকে যেকোন ভাবে কারো সাথে বাস্তবে মুখোমুখি বসে থাকার মতো কথা বলতে পারবেন।

হলোগ্রাফিক এনভাইরনমেন্ট তৈরী করার জন্য প্রয়োজন একটি হলোগ্রাফিক সুবিধা যুক্ত কম্পিউটার। বর্তমানে হলোগ্রাফিক সুবিধার মোবাইল ফোনও অবশ্য বাজারে আছে। কম্পিউটার হলোগ্রাফিক এনভাইরনমেন্ট তৈরীতে যে ধাপগুলো অতিক্রম করে-
  • কম্পিউটার প্রথমে তার লক্ষ্যবস্তুকে সনাক্ত করে এবং তার নড়াচড়ার উপর সজাগ এবং নির্ভুল দৃষ্টি রাখে।
  • আপনার সমস্ত প্রতিচ্ছবি সনাক্ত করে সেগুলোকে ধারন করে রাখে।
  • তারপর সেগুলোকে ত্রিমাত্রিকভাবে ভিউয়ার এর সামনে উপস্থাপন করে।
হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি মুলত ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং Tele-Immersion প্রযুক্তির একটা সংমিশ্রন যা আপনাকে সত্যিকারের বায়োলজিক্যাল এনভাইরনমেন্টের স্বাদ এনে দিবে। হলোগ্রাফিক প্রযুক্তির ফলে আপনি নিমিষেই আপনার প্রিয় জনের সান্নিধ্য পেতে পারেন। দুরবর্তি কাজ নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। কো-ওয়ার্কারদের সাথে সহজ যোগাযোগ বজায় রাখতে পারবেন। শিক্ষাক্ষেত্রেও আশা করা যাচ্ছে ব্যাপক বিপ্লব চলে আসবে। কারন আপনি চাইলেই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করতে পারবেন।

যারা তৈরী করলো এই হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি

এই বিষ্ময়কর প্রযুক্তি হঠাৎ করেই তৈরী হয়নি। এর জন্য প্রয়োজন হয়েছে এক যুগের বেশি সময়ের কঠোর পরিশ্রম। আমি নিজে যখন মোবাইল ফোন চোখে দেখিনি তার আগেই বিজ্ঞানীরা একটা ভার্চুয়াল প্রযুক্তি তৈরীর চিন্তাভাবনা করে আসছিলো। এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার উপযোগি করে একটা ভার্চুয়াল জগৎ তৈরী করার জন্য বিভিন্ন গ্রুপ একসাথে National Tele-Immersion Initiative (NTII) তে কাজ করে আসছিলো। তারপর ২০০০ সালের মে মাসে সর্বপ্রথম University of North Carolina (UNC), University of Pennsylvania & Advanced Networks and Services এর গবেষকগণ এই প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহারের মাইল ফলক অতিক্রম করেন। তাদের এই প্রযুক্তি প্রায় শত মাইল দুরবর্তি অন্য আরেকটি ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে সমর্থ্য হয়।

সেই সাথে তারা গেইমিং, কমিউনিকেশন এবং এবং বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। যদিও তখনকার অবস্থার সাথে বর্তমান অবস্থার শুধু রাত-দিন নয় কয়েকদিনের পার্থক্য আছে। তবুও সেদিনের সেই আবিষ্কার আজকে আমাদের নতুন যুগের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে।

হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে এবং হলোগ্রাফিক চশমা

হলোগ্রাফিক ইমেজ দেখতে হলে 3D ক্যামেরার মতোই আপনার প্রয়োজন হবে একটি হলোগ্রাফিক চশমার। এই চশমা মুলত আপনার ভিউ পয়েন্টকে সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হবে। আপনারা অনেকেই হয়তো আমাদের চোখের দেখার মেকানিজমটা জানেন না। আমরা যখন কোন বস্তু দেখি তখন সেটার আলাদা আলাদা প্রতিবিম্ব আমাদের মস্তিষ্কে জমা হয়। তারপর মস্তিষ্ক সেই আলাদা প্রতিবিম্ব দুটোকে একটা প্রতিবিম্ব হিসাবে তৈরী করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। মুলত একটা ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরী করার জন্য একের অধিক ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। যার ফলে আপনি যখন আপনার মাথাটাকে কোন দিকে ঘুরিয়ে নিবেন তখন আপনার হলোগ্রাফিক চশমাটা আপনার ভিউ পয়েন্টকেও ঘুরিয়ে দিবে। যার ফলে আপনি পাশ থেকেও ছবিটিকে দেখতে পাবেন।

হলোগ্রাফিক প্রযুক্তির ছোঁয়া পেতে যা প্রয়োজন

হলোগ্রাফিক প্রযুক্তির এই সুবিধাগুলো সবার জন্য পৌছে দিতে যে পরিবর্তনগুলো অদূর ভবিষ্যতে আমাদের সামনে আসবে সে বিষয়ে সামান্য আলোকপাত করা যাক। কারন আমাদের বাংলাদেশে ইন্টারনেট গতির যে অবস্থা তাতে এই প্রযুক্তির ছোঁয়া পেতে কতোদিন লাগবে সেটা অনুমেয় নয়।
  • দ্রুতগতির ইন্টারনেট – দ্রতগতির ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া এই প্রযুক্তি চোখের সামনে ভাসলেও ব্যবহার করা সম্ভব হবেনা। উন্নত দেশে উন্নত সুবিধায় এটাকে দ্রুতগতির মনে করা হলেও আমাদের দেশের জন্য যে এটা গরুর গাড়ির চেয়েও ধীর গতির হবে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
  • উন্নত ডিসপ্লে – এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন হবে Stereo- Immersion ডিসপ্লে। এই ডিসপ্লে না হলে দুধের স্বাদ ঘুলেও মিটবে না।
  • হ্যাপটিক সেন্সর – সব কিছুকে বাস্তবের মতো অনুভব করতে চাইলে প্রয়োজন হবে হ্যাপটিক সেন্সর।
  • সুপার কম্পিউটার – আমরা যারা কম্পিউটারকে শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্রাউজ কিংবা মুভি দেখার জন্য ব্যবহার করি তারা হয়তো জানিই না যে, কম্পিউটার শব্দের বাংলা অর্থ হলো গণনাযন্ত্র। যাহোক, বাস্তবিক একটি হলোগ্রাফিক প্রতিবিম্ব তৈরী করার জন্য কম্পিউটারকে অনেক হিসাব নিকাশ এবং নানাবিধ জটিল কাজ করতে হবে। এর জন্য অবশ্যই প্রয়োজন হবে একটি সুপার কম্পিউটারের।
রিকোয়ারমেন্ট দেখে যারা হতাশ হয়েছেন তাদের জন্য টিউনের পরবর্তি অংশে থাকছে আসলে চমক। যাদের হার্টের সমস্যা আছে তারা সাবধানে বাকী অংশ দেখবেন। কারন শিরোনাম দেখে আবেগ সামলাতে পারবেন না হয়তো।

উইন্ডোজ ১০ এ আসছে হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি

শিরোনাম দেখে চমকে উঠছেন নিশ্চয়? ঘটনা কিন্তু শতভাগ সত্য। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ এর সাথে আসছে হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি। আপনার দুনিয়াকে হলোগ্রাফিক দুনিয়ায় রূপান্তর করার সময় নিশ্চয় হয়ে গেছে এখন। এবার অজানাকে জানুন, অদেখাকে দেখুন। সব কিছুই এখন আপনার নিয়ন্ত্রনে। শুধুমাত্র সব কিছু উপভোগ করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি হলোগ্রাফিক চশমার। যাহোক, চলুন এক নজরে একটু দেখে আসি কী কী থাকছে আমাদের জন্য।

    আপনার প্রথিবী হবে হলোগ্রাফিক জগত

  • যা চান তাই পাবেন এখানে। কৃত্রিম নয় প্রাকৃতিক অনুভুতিকে ভরপুর হবে আপনার প্রতিটি মূহুর্ত। যা আগে কখনো করেননি সেগুলো করার জন্যই প্রস্তুত থাকুন।

  • আপনার নতুন বাস্তবতা

  • একের অধিক ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাফিক ডিসপ্লে আপনাকে নিয়ে যাবে নতুন এক জগতে। আপনি কোথায় আছেন সেটা বুঝতে না বুঝতেই হারিয়ে যাবেন অন্য জগতে।

  • নতুন কিছু শেখা এবং শেখানোর জন্য রয়েছে দারুন সুযোগ

  • শুধু হাতের ইশারা করুন। চিত্র দেখলেই বুঝতে পারবেন কীভাবে কী করা হয়েছে। আপনার জন্যই তো সব কিছু।

  • যেকোন কিছুকে সহজে দৃষ্টিগোচর করা নতুন পদ্ধতি

  • আপনি যদি হয়ে থাকেন একজন ডিজাইনার তাহলে আপনার জন্যই এই প্রযুক্তি। যেকোন কিছুকে সহজে ভিজুয়ালাইজ করে ইচ্ছে মতো কাজ করুন।

  • অজানার অনুসন্ধানে এগিয়ে যান আরও একধাপ

  • যে কোন অপরিচিত অদেখা জায়গাতে ভ্রমন করুন। যেকোন অ্যাঙ্গেল থেকে যেকোন কিছু দেখার সুযোগ আপনাকে দিবে রোমাঞ্চকর কিছু অভিজ্ঞতা।

  • ভাবনাগুলোকে দিন বাস্তবের ছোঁয়া

  • যা কিছু ভাবনায় আসে সব কিছুকে দিন হলোগ্রাফিক রূপ। আপনার চারপাশের যা কিছু আছে সব কিছুকে করতে পারবেন হলোগ্রাফিক রূপান্তর।

  • স্ক্রিন, মাউস এবং কিবোর্ডকে বলুন গুডবাই

  • নতুন এই প্রযুক্তি আপনার হাত এবং চোখের ইশারাতে কাজ করবে। সুতরাং বাহ্যিক উপকরণ নিষ্প্রয়োজন।

  • নতুন বিশ্বকে দেখার নুতন জন্য নতুন চোখ

  • হলোগ্রাফিক চশমা, যা আপনার নতুন বিশ্ব দেখার সারথী হিসাবে কাজ করবে।

  • আরও জানতে হলে

  • হলোগ্রাফিক টেকনোলজি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে হলে নিচের ২ মিনিটের ছোট্ট ভিডিওটি এক নজরে দেখে নিতে পারেন। আপনার অতৃপ্ত মনের খোরাক যোগাতে আশা করি এই ভিডিওটিই যথেষ্ট হবে।

শেষ কথা

জানিনা হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি নিয়ে আমার এই সামান্য টিউন আপনাদের কেমন লেগেছে। কিন্তু আপনাদের সামান্য ভালোলাগা আমার মনে এক অসামান্য ভালোলাগার অনুভুতি সৃষ্টি করে। টিউনটি বুঝতে যদি সমস্যা হয় তাহলে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। টিউনটি নির্বাচিত হওয়ার উপযোক্ত মনে হলে নির্বাচিত টিউন মনোনয়ন দিতে ভুলে যাবেন না যেন। আমার পরীক্ষার মাঝে খুব ব্যস্ততা নিয়ে টিউনটি করলাম। টিউনে অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

source: Techtunes
Design by MS Design

Powered by Blogger