প্রোগ্রামিং এ ক্যারিয়ার গড়তে চান ?

প্রশ্ন ও উত্তরে প্রোগ্রামিং সমস্যা ও সমাধান-
"আমি মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। আমি গত এক বছর ধরে সি প্রোগ্রামিং করছি। আমি UVA তে ১০০ সমস্যা সমাধান করছি। গত তিন মাস ধরে সি প্লাস প্লাস করতেছি।আমার কাছে contest মোটামুটি ভাল লাগে কিন্তু ভবিষ্যতে যদি ভাল না করতে পারি,এই জন্য আমি কি অন্য কোনো language শুরু করব। আমার কাছে প্রোগ্রামিং অনেক ভাল লাগে।আমি যদি প্রোগ্রামিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চায়, তাহলে কোন language আমি এখন শুরু করব।পড়াশোনা শেষ করে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার আমার অনেক ইচছা।পিতার বড় ছেলেত তাই টেনশন বেশি। হয়ত এমন একটা ভাষ শিখলাম পড়াশোনা শেষ করে ভাল জব পাইলাম না। ছোট ভাই মনে করে যদি সাহায্য করতেন।"

উপরের লেখাটা প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত একটা গ্রুপে পেলাম। এমন প্রশ্ন প্রায় সকল কনটেস্ট্যান্টদের মাথায় ঘুরপাক খায়। পোস্টের নিচে আবার চমৎকার একটা উত্তরও পেলাম। উত্তরটি দিয়েছেন Tawkir Ahmed Isti ভাইয়া। বেশ ভাল লেগেছে তার কথাগুলো। তার কমেন্ট নিয়ে তাই এই পোস্ট করাঃ

"একটু বড় হবে কমেন্টটা কিন্তু আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।

১। প্রথম কথা, পড়াশোনা শেষে যখন আপনি কোন সফটওয়্যার ফার্মে জয়েন করবেন তখন আপনার কাছে ফার্মের এক্সপেটশন খুব সামান্য থাকবে।
যদি ভাল কোম্পানী হয় তাহলে তারা কখনো হিসেব করবে না যে আপনি কোন কোন ল্যাঙ্গুয়েজ ভালো পারেন।
কেন করবে না? কারন হচ্ছে একটা প্রোগামিং ল্যাংগুয়েজ হচ্ছে জাস্ট একটা অস্ত্র। আপনি যুদ্ধ তরবারী নিয়েও করতে পারেন আবার কামান নিয়েও করতে পারেন। কিন্তু গুরুতবপূর্ন ব্যাপার হচ্ছে রন কৌশল আয়তব করতে পারা। তার মানে হচ্ছে, আপনাকে একটা অস্ত্র দিয়ে হলে আপনি সেই অস্ত্রের ব্যবহার শিখে এক মাসের মধ্যে ময়দানে নেমে যেতে পারবেন সেটা।
কোম্পানিগুলো এইগুনটাই চায়, আর এই গুন আয়ত করার সবচেয়ে সহজ এবং সিউর উপায় হচ্ছে পোগামিং কন্টেস্ট।
প্রোগামিং কন্টেস্ট করার সময় আমরা যে সব সমস্যা সমাধান করি সেগুলো হয়তো বাস্তব জীবনে কোন প্রয়োগ নেই কিন্তু ওসব সমাধান করতে যেয়ে
আপনার ব্যাসিক প্রোগামিং নলেজ খুবই খুবই শার্প হবে যেটা আসলে অন্য কোন ভাবে করা কষ্ট।

২। সো আমার পরামর্শ, ভার্সিটি জীবনের প্রথম দুবছর চোখ বন্ধ করে কন্টেস্ট করতে থাকেন।

৩। তৃতীয় বর্ষে এসে আপনার কাজ হবে যে কোন একটা ওয়েব প্রোগামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখা যেমন ধরেন পিএচপি, জাভা সার্ভলেট এসব। আপনি যদি প্রথম দুবছর কন্টেস্ট করেন
দেখবেন যে এসব আপনার কাছে পানি ভাত লাগবে।

৪। এসময় এসে আপনি বিডি জবসের সাইটে ঢুকবেন আর দেখবেন যে চাকরীর নিয়োগে কোন কোন ফ্রেমওয়ার্ক বা ল্যাঙ্গুয়েজ চায় এবং আপনি নিজের সাথে তুলনা করে দেখবেন যে এবস ক্ষেত্রে আপনার পারদর্শিতা কেমন।

অনেস্টলি যখন আপনি চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে যাবেন, দেখবেন আপনাকে প্রোগামিঙ্গের ব্যাসিক প্রশ্ন করা হবে, ডাটা স্ট্রাকচার নিয়ে কথা জিজ্ঞেস করবে, এলগোরিদমের কথা প্রশ্নে আসবে। ডিজাইন প্যাটার্ন সম্পর্কে জানতে চাবে।
তখন ওসব আপনি গুলির মতো উত্তর দিতে পারবেন।

৫। সিজিপিএ একটা ফ্যাকটর, সো এসবের পাশে পাশে পড়াশোনা টা চালায় যাবেন। সিজিপিএ খারাপ হলে অনেক কোম্পানী হয়তো আপনার সিভি পড়েও দেখবে না।

৬। এইটা সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট বিষয়, মানুষের সাথে পরিচিত হবেন, ভালো প্রোগামার যারা তাদের সাথে কথা বলবেন। আপনি যাদের সাথে মিশবেন আপনি তাদের মতোই হবেন। দেশে অনেক অনেক ফ্রী সেমিনার হয় সেসবএ
অংশগ্রহণ করবেন। নিজে যা শীখতেসেন সেসব নিয়ে ব্লগ লিখবেন, ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখবেন।

আপনার উন্নতি কেও ঠেকাতে পারবে না, ইনশাল্লাহ।"
হ্যাপি কোডিং...

Joynal Abedin মন্তব্য করেছেনঃ
উপরে বর্ণিত আদলেই আমার প্রোগ্রামিং জীবন শুরু করেছি। "সিজিপিএ একটা ফ্যাকটর" এই কথার সাথে আমি একমত না। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করার আগেই আমার জব লাইফ শুরু করেছি, এবং আমার প্রথম জবে আমি সিভি পাঠালেও আমার রেজাল্টে তো দুরে থাক, আমি কোথায় পড়েছি তা জানারই দরকার হয়নি। আমার বর্তমান জবে আমি সিভি ও পাঠাইনি। আমার সাজেস্ট হচ্ছে টাকা পয়সা কামানোর চিন্তা বাদ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রাকটিস করেন। সময় হলে জবই আপনাকে খুঁজে বের করবে।

Comments

Popular posts from this blog

উদ্যোক্তাদের জন্য ৫টি উপদেশ ৫টি প্রতিষ্টান প্রধানের পক্ষ থেকে

স্মার্টফোনের অতি ব্যবহার কিশোরদের অমনোযোগী করে

সবার চোখের আড়াল হতে আপনার ফেসবুক একাউন্ট হাইড করুন