৮১০ টাকায় ওয়ালটন মোবাইল ফোন

মাত্র ৮১০ থাকায় দেশে তৈরি মোবাইল ফোন উন্মুক্ত করেছে ওয়ালটন। একসঙ্গে দুটি সিম ব্যবহার উপযোগী ‘ওলভিও এল২৫’ মডেলের মোবাইল ফোনটিতে রয়েছে ১.৭৭ ইঞ্চি স্ক্রিন, বিল্ট-ইন ফেইসবুক, ব্লু-টুথ, এলইডি টর্চ, কল রেকর্ডিং, এমপিথ্রি, এমপি ফোর ও থ্রিজিপি প্লেয়ারসহ এফএম রেডিও, সাউন্ড ও ভিডিও রেকর্ডিং সুবিধা।
৮১০ টাকায় ওয়ালটন মোবাইল ফোন

এ বিষয়ে ওয়ালটনের সেলুলার ফোন বিপণন বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান জানান, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত এই ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে ১৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লি-আয়ন ব্যাটারি। ফলে দীর্ঘ সময় কথা বলার পাশাপাশি স্বচ্ছন্দে ইন্টারনেট ব্যবহার ও গান শোনা যাবে। ইনস্ট্যান্ট রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাও মিলবে।

৪৮ মেগাপিক্সেলের মোবাইল ক্যামেরা আনছে সনি

সনি আইএমএক্স৫৮৬ নামে নতুন মডেলের ইমেজ সেন্সর আনার ঘোষণা দিয়েছে। স্মার্টফোনে সেন্সরটি যুক্ত হলে ছবির মান অনেকাংশে বেড়ে যাবে। সেন্সরটি স্মার্টফোনে যোগ করা হলে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ছবির রেজুল্যেশন হবে (৮০০০*৬০০০) পিক্সেল এবং সেন্সরে ব্যবহৃত প্রতিটি পিক্সেলের আকার হবে ০.৮ মাইক্রোন। প্রতিটি পিক্সেলের জন্য সেন্সরটি কোয়াড বেইয়ার কালার ফিল্টার ব্যবহার করবে।
৪৮ মেগাপিক্সেলের মোবাইল ক্যামেরা আনছে সনি

এতে কম আলোতেও নয়েজ এড়ানো যাবে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর সেন্সরটি বাজারে আসার কথা রয়েছে। তবে এর আগেই সনির প্রিমিয়াম স্মার্টফোন এক্সপেরিয়া এক্সজেড৩ ফোনে সেন্সরটি দেখা যেতে পারে।

সনি স্মার্টফোন বাজারে তেমন দাপট দেখাতে না পারলেও উন্নতমানের ক্যামেরা সেন্সর তৈরির ক্ষেত্রে তারা আলাদা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। তাদের আইএমএক্স সিরিজের সেন্সরগুলো অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর ফোনে ব্যবহৃত হচ্ছে।

তৈরি পোষাক শিল্পের ইআরপি সফটওয়্যার ‘প্রত্যয়’

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের প্রধান খাত তৈরি পোষাক শিল্পকে তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয়করণের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে ব্যাবিলন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিউজেন টেকনোলজি লিমিটেড

তৈরি পোষাক শিল্পের ইআরপি সফটওয়্যার ‘প্রত্যয়’

প্রতিষ্ঠানটি খাত সংশ্লিষ্ট গবেষণা (আরএনডি) করে ‘প্রত্যয়’ নামে এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্লানিং (ইআরপি) সফটওয়্যার উন্মোচন করেছে।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই ইআরপির মাধ্যমে দেশের সফটওয়্যার খাত ও তৈরি পোষাক খাতের মেলবন্ধনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।

ইতিমধ্যে ‘প্রত্যয়’ ইআরপি সফটওয়্যারটি গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

এ ব্যাপারে নিউজেন টেকনোলজি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘প্রত্যয়’ সফটওয়্যার এ দেশের তৈরি পোষাক খাতে আরও একটি মাইলফলক অর্জনের প্রত্যয় নিয়েই তৈরি করা হয়েছে।

এর পেছনে কাজ করছে দক্ষ, উদ্যমী এবং আত্মপ্রত্যয়ী একটি দল। সফটওয়্যারটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি যা ক্রমবর্ধমাণ গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ডেটার নিরাপত্তা ও নিরবিচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা দিতে সক্ষম।

ব্যাবিলন গ্রুপের তিন দশকের অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটেছে সফটওয়্যারটিতে। যাতে যুক্ত হয়েছে তৈরি পোষাক খাতের পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ, আরও বেশি গতিশীল এবং আরও বেশি স্বচ্ছ করার জন্য নানাবিধ ফিচার।

এই সফটওয়্যারটি ইতিমধ্যে ব্যাবিলন গ্রুপের সবকটি ফ্যাক্টরিতে বাস্তবায়নের পাশাপাশি আর্গন ডেনিমস লিমিটেড, এ জে গ্রুপ লিমিটেডসহ তৈরি পোষাক খাত এবং টেক্সটাইল খাতের অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

লিয়াকত হোসেন আরও বলেন, শিগগির সফটওয়্যারটি আন্তর্জাতিক বাজারে বাজারজাতকরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

সফটওয়্যারটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন www.newgen-bd.com এই ঠিকানায়।

সবকিছু্ই পাওয়া যাবে ‘আমার সেবা’তে

ঘরে বসেই এক ওয়বসাইটে মহুর্তের মধ্যে সকল সেবা গ্রহণের সুবিধা দিবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস আমারসেবা ডটকম।

সবকিছু্ই পাওয়া যাবে ‘আমার সেবা’তে
কি নেই এই মার্কেটপ্লেসে? ক্লিনিং থেকে শুরু করে পেস্ট কন্ট্রোল সেবা, এসি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ইলেক্ট্রিসিয়ান, নার্সিং, ফিজিওথেরাপি, কর্পোরেট, বিয়ে বা জন্মদিন এর জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, কার্পেন্টার, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ইত্যাদি।

এমন কি বাড়ি বানানোর জন্য বিল্ডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন সেবা, ক্যাটারিং থেকে শুরু করে লন্ড্রি, পার্লার, ইলেক্ট্রিশিয়ান, ড্রাইভার থেকে দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সব সেবা গ্রহণ করা যাবে এখান খেকে।

যা যে কেউই ঘরে বসে ডাকতে পারবেন।

বর্তমানে সমগ্র ঢাকা জুড়ে দৈনন্দিন জীবনের ৮০ রকমেরও বেশি সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে অনলান এই মার্কেটপ্লেস থেকে।

তবে খুব শিগগির “আমারসেবা” বাংলাদেশের প্রায় সকল জায়গায় তাদের সেবা পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে তারা বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী চট্টগ্রামে অল্প পরিসরে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও জাকির হোসান।

আমার সেবার সিইও আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া। এই জন্য আমরা আমাদের ওয়বসাইটে আরও নতুন সেবা সংযোজন এনেছি।

বর্তমানে সমগ্র ঢাকা ও চট্টগ্রামে আমরা সার্ভিস প্রদান করছি। ২০১৯ সালের মধ্যে আমাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়বে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে।

আমার সেবার মাধ্যমে যেমন নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় মানুষেরা ঘরেই সার্ভিস পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন, সঙ্গে আরো উপকৃত হচ্ছেন হাজারো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

আমার সেবার সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কাজী হামীম মাহমুদ জানান, বিভিন্ন ট্র্যাক থেকে আমাদের প্রায় ২ হাজার ভেরিফাইড ব্যাবসায়ী আছেন।

যাদেরকে দিয়েই আমরা মূলত আমাদের সেবাগুলো দিয়ে থাকি। আগামীতে আমরা আরও লোকবল নিয়োগ করবো যাতে আমরা আরও দ্রুত সার্ভিস দিতে পারি। আমার সেবা হবে কোটি মানুষের একটি বিশ্বস্ত নাম।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে শুরু হয় আমার সেবার যাত্রা। এর উদ্দেশ্য নাগরিক জীবনের লাইফস্টাইল পাল্টে দেয়া।

দৈনন্দিন জীবনের কাজকে সহজ করতে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিচ্ছে আমার সেবা ডটকম।

এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে এই ঠিকানায়

এক সফটওয়্যারে রোগীর সব তথ্য

আমাদের গ্রাম। নাম শুনলেই নিজের গ্রামের ছবিটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। প্রত্যেকের জন্য তার গ্রাম ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়। আজ বলব অন্য রকম একটি আমাদের গ্রামের গল্প। এই ‘আমাদের গ্রাম’ উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে। অনেক বিষয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। আমাদের গ্রাম স্তন ক্যানসার নির্ণয় ও পরামর্শের জন্য তৈরি করেছে একটি সফটওয়্যার। যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ থাকবে রোগীর সব তথ্য। এই সফটওয়্যার তৈরির মূল কাজটি করেছেন বাংলাদেশি প্রোগ্রামাররা।
এক সফটওয়্যারে রোগীর সব তথ্য

তথ্যভান্ডার
আমাদের গ্রামের ক্যানসার চিকিৎসা পরামর্শ কেন্দ্র এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছে ২০১০ সাল থেকে। যেখানে চলতি বছরের ১৮ জুন পর্যন্ত স্তন ক্যানসার নির্ণয় ও পরামর্শ সেবা নিতে আসা ১৬ হাজার ৯৭৪ জন নারীর সব তথ্য একটি সফটওয়্যারে সংরক্ষিত রয়েছে। সব তথ্যের বেলাতেই নিশ্চিত করা হয়েছে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার (প্রাইভেসি) বিষয়টি।

ক্লিকেই সেবা
এক ক্লিকেই রোগীদের সব তথ্য পাওয়া যাবে এ সফটওয়্যারটি থেকে। বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা ও ঝনঝনিয়া গ্রামে এই প্রকল্পের কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে খুলনা শহর পর্যন্ত। খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গায় রয়েছে একটি বিশেষায়িত কেন্দ্র। এই কেন্দ্র থেকে স্তন ক্যানসার নিরীক্ষা এবং পরে ধাপে ধাপে চিকিৎসা পরিচালিত হয় খুলনা মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সহযোগিতায়। প্রকল্পের রয়েছে নিজস্ব উদ্যোগে তৈরি স্তন ক্যানসার চিকিৎসা গাইডলাইন যা তাদের ওয়েবসাইটে সবার জন্যই উন্মুক্ত। এই গাইডলাইন প্রণেতা দলের দলনেতা ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি ক্যানসার চিকিৎসক ও গবেষক প্রয়াত ডা. এ বি এম ফজলুল করিম।

সফটওয়্যারের চারটি ধাপ
এই সফটওয়্যার কাজ করে ধাপে ধাপে। একজন রোগীর জন্য মোট ৪টি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। চারটি ধাপেই রোগীর সব তথ্য সফটওয়্যারে লিখে রাখা হয়।

প্রথম ধাপ: প্রকল্পের কর্মী নওরীন সেতু এই সফটওয়্যারের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন। রোগীর প্রথম ধাপের নিবন্ধন তথ্য যুক্ত করে, তিনি রোগীর একটি অ্যাকাউন্ট আইডি তৈরি করেন এবং রোগীকে বুঝিয়ে দেন। নওরীন বলেন, ‘আমার কাছে বোঝাটা ছিল জরুরি, তাই আমি পারছি। এখন তো মনে হয় এটা খুব সহজ কাজ। প্রথম ধাপে প্রাথমিক তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, মোবাইল ফোন নম্বর ও পারিবারিক বিবরণ সফটওয়্যারে লিপিবদ্ধ করা হয়। অনুমতি নিয়ে ছবিও তোলা হয়।’

দ্বিতীয় ধাপ: সেতুর সুপারভাইজার চামেলী আক্তার। নার্সিং ডিপ্লোমাসম্পন্ন চামেলী আক্তার যুক্ত আছেন প্রকল্পের শুরু থেকেই। রোগীর স্বাস্থ্যবিষয়ক ব্যক্তিগত তথ্য তিনি অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি জানান, এ সফটওয়্যার খুবই আধুনিক ও রোগীবান্ধব। চামেলী আক্তার বলেন, ‘আমাদের সব কেন্দ্র সার্বক্ষণিক ইন্টারনেটেযুক্ত। এই মুহূর্তে রামপালে যদি কোনো রোগী যুক্ত হন তবে সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবখানে তা দেখতে পাই। প্রয়োজন হলে বা পরামর্শ লাগলে আমরা এই সফটওয়্যারের নির্দিষ্ট স্থানে তা উল্লেখ করে দেই। এরপর বিদেশি ডাক্তার যাঁরা যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় থাকেন, তাঁরাও সম্পুর্ণ বিনা মূল্যে মতামত এই সফটওয়্যারের নির্ধারিত স্থানে লিখে দেন বা ই-মেইলে পরামর্শ দেন। কোন রোগীর প্রয়োজনে আমরা ভিডিও কনফারেন্সও করি ও সফটওয়্যারে সব আলোচনা লিখে রাখি।’

তৃতীয় ধাপ: প্রকল্পের তৃতীয় ধাপ ডা. তিমা বিনতে আজাদের তত্ত্বাবধায়নে হয়ে থাকে। সেবা নিতে আসা নারীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিস্তারিত বিবরণ, আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার ফলাফল, উল্লেখ করেন। গাইডলাইনের কোন নিয়মে তিনি ব্যবস্থাপত্র বা পরামর্শ দিচ্ছেন তা সফটওয়্যারে লিপিবদ্ধ করেন তিনি। কোনো রিপোর্ট থাকলে তার ফলাফলও এতে যুক্ত হয়।

চতুর্থ ধাপ: চতুর্থ বা শেষ ধাপে রোগীর সব বিবরণ দেখে ব্যবস্থাপত্রের একটি কপি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় উপদেশ, পরামর্শ, করণীয় সম্পর্কে রোগী এবং তার আত্মীয়-পরিজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। চামেলী আক্তার জানান, এ চার ধাপ সম্পন্ন করতে সফটওয়্যারে মোট সময় লাগে গড়ে ৩০-৪০ মিনিট।

সফটওয়্যার তৈরির কথা
কেমন করে তৈরি হলো এই সফটওয়্যার? জানালেন প্রকল্পের পরিচালক রেজা সেলিম। তিনি বললেন, ‘২০১০ সালে আমরা যখন এই সেবা চালু করি তখন থেকেই চিন্তা ছিল রোগীর স্বাস্থ্য তথ্য ইলেক্ট্রনিক উপায়ে সংরক্ষণ না করলে, পরে ফলোআপ হবে কেমন করে? তা ছাড়া সব তথ্য না থাকলে এই সেবার মান বজায় রাখা যাবে না। আমাদের সঙ্গে তখন কয়েকজন বিশ্বপরিচিত ক্যানসার বিশেষজ্ঞ জড়িত ছিলেন যাঁরা এখনো আমাদের পরামর্শ দেন, তাঁরাও বিস্মিত হয়েছিলেন যে আমাদের দেশে স্বাস্থ্য তথ্য রেকর্ড হয় না। কেমন করে এই তথ্যভান্ডার সফটওয়্যার তৈরি করা যায় আজ থেকে ১০ বছর আগে তা ছিল অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।’

তরুণদের হাত ধরে
এ সফটওয়্যার তৈরি করেছে বাংলাদেশের একদল মেধাবী তরুণ। রেজা সেলিম বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের পরামর্শে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) একটা দল এ সফটওয়্যার তৈরি করে দেয়। জাবেদ মোর্শেদ চৌধুরী, ফেরদৌস আহমেদ এবং আরও কজন মিলে দাঁড় করান সফটওয়্যারটি। মাত্র আট মাসে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার এই সফটওয়্যার তৈরি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নিরীক্ষণ করে ২০১১ সালের মে মাসে জেনেভায় তাদের বার্ষিক সম্মেলনে একে ‘ইন্টার-অপারেবল’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। রেজা সেলিম জানান, সফটওয়্যারটি অনলাইনভিত্তিক ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। এটা রাখা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ক্লাউড সার্ভারে। যা প্রতি সপ্তাহে নিজে থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকআপ রেখে দেয়।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর ডিভাইস উদ্ভাবন

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত একজন ব্রিটিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানী হৃদযন্ত্রের অনিয়মিত ও বিপজ্জনক স্পন্দন শনাক্ত করার মাধ্যমে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর একটি যান্ত্রিক কৌশল উদ্ভাবন করেছেন। ব্রিটেনের একটি বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল এ খবর জানায়।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর ডিভাইস উদ্ভাবন

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ক্লিনিক্যাল সায়েন্টিস্ট ডা. রামিন শাকুর বিশ্বের প্রথম এই হার্ট বিট রিডিং ডিভাইসটি উদ্ভাবন করেছেন। এটি হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিক ও বিপজ্জনক স্পন্দন শনাক্ত করতে সক্ষম এবং ফলে এটি রক্তক্ষরণের প্রভাবও কমাতে পারে।

ক্যামব্রিজ সায়েন্স পার্ক জার্নাল জানায়, এই ডিভাইসটির নির্মাতা কোম্পানি উদ্ভাবনী ও নতুন হার্ট মনিটরিং ডিভাইসের মাধ্যমে সঠিক সময়ে অনিয়মিত ও বিপজ্জনক হার্ট বিট শনাক্ত করার মাধ্যমে রক্তক্ষরণ পরবর্তী ঝুঁকি কমাতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে।

বার্তা সংস্থা বাসসকে ডা. রামিন শাকুর বলেন, কারো ইসিজি করানো প্রয়োজন হলে ‘হল্টার মনিটর’ নামে একটি ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। এতে রোগীর বুকে ১২টি লিড পরাতে হয়, যা ক্ষতিকর। কিন্তু নতুন উদ্ভাবিত ডিভাইসটি ‘দ্য ক্লাউড’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেই হার্ট বিট কাউন্ট করতে পারে, যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের ক্লিনিক্যাল ফেলো ডা. রামিন বলেন, এটি তাৎক্ষণিকভাবে ইসিজি প্রদর্শনের জন্য বিশ্বের একমাত্র ডিভাইস। আর এটি দিনে ১০-১৫ জন লোক ব্যবহার করতে পারবে।
৩৬ বছর বয়সী তরুণ এই চিকিৎসা বিজ্ঞানী এই ডিভাইসটি বাংলাদেশে চালু করতে আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এই ডিভাইসটি চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হলে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।

স্মার্টফোনের অতি ব্যবহার কিশোরদের অমনোযোগী করে

যেসব কিশোর-কিশোরী ঘন ঘন স্মার্টফোনসহ অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে, তারা মনোযোগ-ঘাটতি বা হাইপার অ্যাকটিভ ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) সমস্যায় পড়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে।
স্মার্টফোনের অতি ব্যবহার কিশোরদের অমনোযোগী করে

এডিএইচডি মস্তিষ্কের একটি ব্যাধি, যার উপসর্গের মধ্যে রয়েছে একধরনের মনোযোগহীনতা, অতিপ্রাকৃত আচরণ এবং আবেগপ্রবণতা, যা কার্যক্ষমতা ও উন্নয়নে হস্তক্ষেপ করতে পারে। পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধটি জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ভিডিও স্ট্রিমিং, টেক্সট বার্তা, গান ডাউনলোড, অনলাইন চ্যাটসহ নতুন প্রজন্মের সব ধরনের ডিজিটাল চিত্তবিক্ষেপে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাবের বিষয়টিতে আলোকপাত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যাডাম লিভেন্থালের নেতৃত্বে গবেষণাটি চালানো হয়।

লিভেন্থাল বলেছেন, এ বিষয়ে অনেক আগে গবেষণা করা হয়েছিল। তখন সামাজিক যোগাযোগের সাইট, মোবাইল ফোন, ট্যাব বা মোবাইলের অ্যাপসের অস্তিত্ব ছিল না। এখন মোবাইল প্রযুক্তি সারা দিন দ্রুত উচ্চ তীব্রতার উদ্দীপনা দিতে থাকে। আগের গবেষণার চেয়ে এখন ডিজিটাল মিডিয়ার সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে বেশি।

এ গবেষণার ফলে অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ, প্রযুক্তি কোম্পানি ও চিকিৎসকেরা প্রযুক্তিপণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার সুযোগ পাবেন।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ১০টি স্কুলে গবেষকেরা ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী চার হাজার ১০০ শিক্ষার্থীকে নিয়ে গবেষণা চালান। গবেষকেরা দুই বছর ধরে শিশুদের পর্যবেক্ষণ করেন। গবেষকেরা দেখেন, যারা নিয়মিত ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছে, তাদের এডিএইচডির নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে যারা ডিজিটাল মিডিয়ায় নিয়মিত নয়, তাদের ক্ষেত্রে এডিএইচডির ঝুঁকি কম।

গবেষক লিভেন্থাল বলেন, ‘যে কিশোরেরা বেশি মাত্রায় ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে, আমরা নিশ্চিত, ভবিষ্যতে তাদের এডিএইচডি সৃষ্টি হতে পারে।’

ফোরজি স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন

মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ফোরজি নেটওয়ার্ক-সমর্থিত স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। নতুন স্মার্টফোনটিতে ফুল-ভিউ ডিসপ্লে প্রযুক্তি রয়েছে। প্রিমো জিএফ ৭ মডেলের স্মার্টফোনটির দাম ৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। Walton Primo GF7 Smartphone Review.
ফোরজি স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন

স্মার্টফোনটি ৫.৩৪ ইঞ্চি মাপের। এতে রয়েছে ১.২৫ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর প্রসেসর, ১ জিবি ডিডিআর ৩ র‍্যাম, মালি-টি ৭২০ গ্রাফিকস ও ৮ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ। ফোনটির উভয় পাশে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত বিএসআই ৫ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। অ্যান্ড্রয়েডচালিত ফোনটিতে ২৭০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লি-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ফোনটিতে একসঙ্গে ব্যবহার করা যাবে দুটি সিম। কানেকটিভিটির জন্য আছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভার্সন ৪, ল্যান হটস্পট, ওটিএ ও মাইক্রো ইউএসবি সুবিধা, জিপিএস, এ-জিপিএস নেভিগেশন, প্রোক্সিমিটি, এক্সিলারোমিটার (থ্রিডি), লাইট ইত্যাদি। মাল্টিমিডিয়া ফিচার হিসেবে আছে ফুল এইচডি ভিডিও প্লে-ব্যাক ও রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও।

ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিপণন বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান বলেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ফোনটি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি। স্মার্টফোনে ক্রেতারা পাবেন বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। স্মার্টফোন কেনার ৩০ দিনের মধ্যে ত্রুটি ধরা পড়লে ফোনটি বদলে নতুন ফোন দেওয়া হবে।
Design by MS Design

Powered by Blogger