অনলাইনে বিশাল ব্যবসার সম্ভাবনা দেখছে গুগল

অনলাইনে বিশাল ব্যবসার সম্ভাবনা দেখছে গুগল
২০২০ সাল নাগাদ অনলাইন সুবিধার আওতায় চলে আসবে ৫০০ কোটি মানুষ। এটিকে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশাল ব্যবসা সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে গুগল। ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার গুগলের ইউরোপ অঞ্চলের প্রধান ম্যাট ব্রিটিন এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারশতে আইটি স্টার্টআপ বা প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ম্যাট ব্রিটিন বলেন, পাঁচ বছরে সংযোগের আওতায় আসা মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ৫০০ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সুবিধা পাবে। প্রত্যেকের পকেটে ইন্টারনেট সুবিধা চলে আসবে। তিনি বলেন, ‘৫০০ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের আওতায় আসা মানে বিশাল সম্ভাবনা। এ সময়টি পরিবর্তনের। পাঁচ বছরের সময়কালে আমরা ইন্টারনেট সংযোগের হিসাবে সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাগুরু হয়ে যাব। এ জন্য স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এ বাজার নিয়ে ভাবার সময় এখন।’

ব্রিটিন বলেন, ‘গুগল যদিও একটি সার্চ ইঞ্জিন, তবে এটি উদ্যোক্তা ও অর্থনীতির জন্য প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন লাখো প্রতিষ্ঠানকে সফটওয়্যার, প্রযুক্তি, বিপণন, বিতরণের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে দেখছি। আমরা এগুলোকে ‘ক্ষুদ্র-বহুজাতিক’ প্রতিষ্ঠান বলতে পারি। প্রতিটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান জন্মলগ্ন থেকেই বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারে।’ এএফপি

উদ্যোক্তাদের জন্য ৫টি উপদেশ ৫টি প্রতিষ্টান প্রধানের পক্ষ থেকে

উদ্যোক্তাদের জন্য ৫টি উপদেশ ৫টি প্রতিষ্টান প্রধানের পক্ষ থেকে
একজন উদ্যোক্তাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি এ পথ মাড়ালেন কেন?
উদ্যোক্তার উত্তর, ‘আমার শেষ বসের কথা এটি।’
তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি কী বলেছিলেন?
উত্তর পাওয়া গেল, ‘তোমাকে চাকরিচ্যুত করা হলো।’
উদ্যোক্তাদের মধ্যে কৌতুকটি বেশ প্রচলিত। কেউ চাকরিচ্যুত তো কেউ বিশ্ববিদ্যালয়চ্যুত—উদ্যোক্তারা কেমন যেন একটু লাইনচ্যুত। কিছুটা ভিন্নধারা যেন তাঁদের রক্তের মধ্যেই মিশে আছে। এই ভিন্নধারাটা কী? এর উত্তর তো সফল উদ্যোক্তারাই ভালো দিতে পারবেন। সম্প্রতি বিবিসির প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রযুক্তিতে সফল পাঁচ উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী। যাঁরা একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর সহপ্রতিষ্ঠাতাও বটে। তাঁরা উত্তর দিয়েছেন নতুন ব্যবসায় উদ্যোগে (স্টার্টআপ) সফলতার মূলমন্ত্র নিয়ে।

নতুন করে শুরু করার সুযোগ রাখুন
জিমি ওয়েলস (সহপ্রতিষ্ঠাতা, উইকিপিডিয়া)
ব্যর্থ হলে দ্রুত হও, বারবার হও এবং ভালোভাবেই হও—প্রচলিত ধারার বাইরের এই উপদেশ উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে শোনা যায় প্রায়ই। ইন্টারনেটভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলসও সে কথা মানেন মনেপ্রাণেই। শুরুর দিনগুলোর কথা মনে করে তিনি বলেন, ‘উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণের নাম ছিল নিউপিডিয়া। এর গঠনটা ছিল বেশ জটিল। কিন্তু আমি ব্যর্থ হতে চাইনি।’ না চাইলেও ব্যর্থতার স্বাদ থেকে ‘বঞ্চিত’ হননি তিনি। উইকিপিডিয়ার আগে তাঁর বেশকিছু উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। সব সম্পদ নিয়ে কোনো একক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঠিক পক্ষপাতী নন জিমি ওয়েলস।
তাঁর উপদেশ, ‘সব টাকা এক ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করবেন না। নতুন করে শুরু করার একটা সুযোগ রাখুন নিজের জন্য।’

সমালোচনায় কান দেবেন না
নিকোলাস ব্রুসন (সহপ্রতিষ্ঠাতা, ব্লা ব্লা কার)
জিমি ওয়েলস মাঝেমধ্যে আফসোস করেন, সবার মন্তব্য আগে শুনে সে অনুযায়ী যদি ব্যবস্থা নিতাম! তবে আরেক প্রধান নির্বাহী সমালোচনায় কান না দিতে উৎসাহ দেন উদ্যোক্তাদের। তিনি নিকোলাস ব্রুসন, ব্লা ব্লা কারের প্রধান নির্বাহী। ফ্রান্সের অন্যতম সফল এই প্রতিষ্ঠানের ১৯টি দেশে দুই কোটির বেশি সদস্য আছে।
নিকোলাস বলেন, ‘এমন অনেক বিনিয়োগকারী আপনি পাবেন, যারা আপনাকে বাজারের কথা মাথায় রাখতে বলবে। অথচ আপনি যদি নতুন কিছু শুরু করে থাকেন তো এটা পরিষ্কার যে বাজারটা এখনো তৈরি হয়নি। তৈরির কাজটা করতে হবে আপনাকেই।’ মনে করুন নিজের গাড়িতে চড়ে কোথাও যাচ্ছেন। গাড়িতে হয়তো দুটি আসন ফাঁকা আছে। চাইলেই ব্লা ব্লা কারের মাধ্যমে এই দুটি সিটের জন্য যাত্রাসঙ্গী খুঁজে নিয়ে কামিয়ে ফেলতে পারেন কিছু অতিরিক্ত টাকা। ২০০৩ সালের দিকে এমন অদ্ভুত ধারণার জন্য মানুষের সমালোচনায় কান দিলে কি আজ ব্লা ব্লা কার প্রতিষ্ঠিত হতো?

সৃজনশীলতা আর সততাই সবকিছু
ইয়ান্সি স্ট্রিকলার (প্রধান নির্বাহী, কিকস্টার্টার)
ক্রাউডফান্ডিং ওয়েবসাইট কিকস্টার্টারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইয়ান্সি স্ট্রিকলারের কাছে সৃজনশীলতা এবং সততাই মূলকথা। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো সমাধান দাও যা নিয়ে তুমি নিজেই গর্ববোধ করতে পারো। এমন কিছু যা তোমার কাছে নৈতিকভাবে ঠিক মনে হয়।’ এ ধরনের মতবাদ অবশ্য অনেক ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানেরই লক্ষ্য।

সময় দিতে হবে নিজেকে
মাইক ক্রিগার (সহপ্রতিষ্ঠাতা, ইনস্টাগ্রাম)
সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপগুলোর কথা ভাবতেই কেন জানি হুডি পরা, পিৎজা খাওয়া একদল তরুণ মেধাবীর কথা মাথায় আসে। অগোছালো টেবিল, অগোছালো ঘর, কাজ করছে তো করছেই, দিনরাতের হিসাব নেই, এমন। তবে ইনস্টাগ্রামের প্রধান নির্বাহী মাইক ক্রিগার শোনালেন ভিন্ন কথা। শুরুর দিনগুলোতে নিজেদের ওপর বড্ড অত্যাচার করেছেন বলেই মন্তব্য করলেন। তিনি বললেন, ‘আপনি হয়তো দিনে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করা শুরু করলেন। তবে ওই অতিরিক্ত দুই ঘণ্টায় কাজের ফলাফল হয়তো ঋণাত্মকে দাঁড়াবে।’ সময় দিতে হবে নিজেকে। একদম নিজের জন্য, নিজের মতো করে কাটানোর জন্য কিছু সময় রাখতে হবে। এটা দক্ষতা বাড়াবে বৈ কমাবে না। বললেন মাইক। সহপ্রতিষ্ঠাতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু খুঁতখুঁতে স্বভাবের হওয়ায় ভালো বলে মনে করেন সিলিকন ভ্যালির এই প্রধান নির্বাহী।

খুঁজে বের করতে হবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ
শন র্যা ড (প্রতিষ্ঠাতা, টিন্ডার)
টিন্ডারের প্রতিষ্ঠাতা শন র্যা ড হয়তো মাইক ক্রিগারের সঙ্গে একমত পোষণ করেন না। কারণ, তিনি সহপ্রতিষ্ঠাতার খোঁজে নামেননি। এই ডেটিং অ্যাপের শুরুটা তাঁর একার হাতেই। তিনি মনে করেন, ‘কাজ মাঝেমধ্যে বিরক্তিকর হতে পারে।’ আর তাই তিনি নিজের জন্য কিছু নিয়ম তৈরি করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘৮০ শতাংশ ফলাফল পেতে এক জীবনে সম্পন্ন করার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খুঁজে বের করতে হবে।’

নাসার ‘রাসায়নিক ল্যাপটপ’

 নাসার ‘রাসায়নিক ল্যাপটপ’
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এমন এক ল্যাপটপ কম্পিউটার তৈরি করেছে, যা হয়তো একদিন ভিনগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করবে। বিজ্ঞানীরা যন্ত্রটিকে বলছেন ‘রাসায়নিক ল্যাপটপ’। গ্রহান্তরে গিয়ে এই ল্যাপটপ নমুনা সংগ্রহ করে তাতে হয়তো এমন কিছুর অস্তিত্ব খুঁজে পাবে, যা এলিয়েন বা জীবনের সন্ধান দেবে। তরল নমুনা সংগ্রহ করে রঙের সঙ্গে মিশিয়ে লেজার রশ্মির মাধ্যমে নির্ধারণ করবে এটি অ্যামাইনো, নাকি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই অ্যাসিডই জীবনের অস্তিত্ব শনাক্ত করে।

চলচ্চিত্র মূলত বাস্তব জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। তবে কিছু কিছু চলচ্চিত্র আছে, যেগুলো থেকে বাস্তবের দুনিয়া শিখতে পারে। এমনই এক সিনেমা স্টার ট্রেক। এই ছবি থেকে আগে অনেক কিছুই তৈরি হয়েছে, পাওয়া গেছে নতুন অনেক ধারণা। রাসায়নিক ল্যাপটপকেও এই স্টার ট্রেক-এর ‘ট্রাইকোর্ডার’-এর সঙ্গে তুলনা করছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার জেট প্রপালশন গবেষণাগারের প্রযুক্তিবিদ ফার্নান্দা মোরা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের যন্ত্রটি মূলত কেমিক্যাল অ্যানালাইজার (রাসায়নিক বিশ্লেষক)। এটাকে পুনরায় প্রোগ্রাম করে নতুন নতুন কাজে ব্যবহার করা যাবে। একই ল্যাপটপের ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপে যেমন ভিন্ন ভিন্ন কাজ হয়, এটাও তেমনই।’ খুব সহজ-সরল মনে হলেও আদতে ব্যাপারটা বেশ জটিল। অ্যামাইনো ও ফ্যাটি—দুই ধরনের অ্যাসিডই জীবনের চিহ্ন বহন করে। তবে জীবের বাইরেও এসব অ্যাসিড তৈরি হতে পারে। সমস্যাটা এখানেই, পার্থক্য করাটা কঠিন। এরও সমাধান আছে নাসার এই যন্ত্রে। তরল নমুনা নিয়ে কাজ করে বলে এটা বৃহষ্পতির উপগ্রহ ইউরোপাতে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের অনেক দিনের ধারণা, ইউরোপাতে হয়তো জীবনের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

আইফোন ৬ এস পানিরোধী নয়

আইফোন ৬ এস পানিরোধী নয়
আইফোনের নতুন সংস্করণ ৬ এস পানিরোধী বলে প্রচার চালানো হলেও আসলে কিন্তু ফোনে পানি ঢুকলে ফোনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নতুন আইফোন পানিতে ভেজানো থেকে সাবধান থাকা উচিত। সম্প্রতি আইফোন ৬ এস পানিরোধী কি না তা নিয়ে পরীক্ষা চালায় সিএনএনমানি নামের ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ। সিএনএনের বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাঁচ মিনিট পানির পাত্রে আইফোন ৬ এস ডুবিয়ে রেখে দেখা গেছে ফোনটি চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে।
সিএনএনমানির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানিতে ডুবানোর পর কিছুক্ষণ সেটি ঠিকঠাক থাকে। কয়েক সেকেন্ড পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর ফোন থেকে বাতাস বের হয়ে বুদবুদ তৈরি হয়। পানি থেকে তোলার পর ১০ মিনিট পর্যন্ত ফোনটি চালু থাকলেও অনেকগুলো ফাংশন অকেজো হতে শুরু করে। এরপর একসময় পুরো ডিসপ্লে সাদা হয়ে ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়।

Related: মার্কেটে মোবাইলের দরদাম

এর আগে আইফোন ৫ নিয়েও এ ধরনের একটি পরীক্ষা চালিয়েছিল প্রটেক্ট ইয়োর বাবল নামের প্রযুক্তিপণ্য ইনস্যুরেন্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সে পরীক্ষাতেও দেখা গেছে আইফোন ৫ পানিরোধী নয়।

অবশ্য, আইফোন ৬ এস পানিরোধী, এ কথা কখনো দাবি করেনি অ্যাপল। তবে এ বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন আইফোন বাজারে আসার আগে প্রযুক্তিবিষয়ক অনেক ব্লগ ও ওয়েবসাইটে নতুন আইফোন পানিরোধী হবে এ দাবি করা হয়েছিল।

অবশেষে গোলাপ গাছে বিদ্যুৎ এটাও কি সম্ভব

অবশেষে গোলাপ গাছে বিদ্যুৎ এটাও কি সম্ভব
জীবন্ত উদ্ভিদের মধ্যেই বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি করা সম্ভব। তা করে দেখালেন সুইডেনের লিংকপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, আলোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি আহরণের একটি পথ খুলে দেবে তাঁদের যুগান্তকারী এই উদ্ভাবন।

টেলিগ্রাফ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, গবেষকেরা বাগানের একটি গোলাপ গাছের মধ্যে বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি করেন। বিদ্যুৎ পরিবাহী দ্রবণীয় পলিমারযুক্ত পানির একটি পাত্রে গোলাপ গাছটিকে বসান তাঁরা। গাছটি যখন পানি শোষণ করে তখন বিদ্যুৎ পরিবাহী ও উপাদানগুলোও গাছ শোষণ করে নিজের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে নেয়। ফুলের রং যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে এটি সেই একই রকম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে।

গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক ম্যাগনাস বারগ্রেন বলেন, গোলাপ গাছটির ভেতর পলিমারের দ্রবণগুলো গাছের আয়নের সঙ্গে মিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি তার তৈরি করে ফেলে যা দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি করে ফেলা যায়।

গবেষক বারগ্রেন বলেন, ‘যত দূর পর্যন্ত জানি, এখনো গাছের মাধ্যমে তৈরি ইলেকট্রনিকস নিয়ে কোনো গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে। আমরা এখন তাই ‘পাওয়ার প্ল্যান্ট’ বিষয়ে কথা বলতে পারি। আমরা গাছে সেনসর বসিয়ে তা থেকে শক্তি সংগ্রহ করতে পারি অথবা নতুন উপাদান তৈরি করতে পারি।’ 
গবেষক বারগ্রেন দাবি করেন, এ প্রক্রিয়ার উৎপাদিত সবকিছুই প্রাকৃতিক এবং এ ক্ষেত্রে গাছের নিজস্ব অনন্য পদ্ধতিটিই ব্যবহার করা হয়।

কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সারদের কথা

কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সারদের কথা
সফল ফ্রিল্যান্সারদের থেকে আসলেই অনেক কিছু শেখার আছে তাই আজকে অাপনাদের নিকট তুলে ধরছি কিছু সফল ফ্রিল্যান্সারদের উপদেশবানী।

পরিবারের সহায়তা লাগবে
মো. কামরুজ্জামান:- ব্যক্তিগত বিভাগে বিজয়ী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়াশোনা শেষে আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন মো. কামরুজ্জামান। কয়েক বছর পর ব্যবসা ছেড়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা থেকেই যুক্ত হয়ে পড়েন ফ্রিল্যান্সিংয়ে। ২০১১ সাল থেকে শুরু। এখনো কাজ করছেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য। এ ছাড়া সার্ভার ও পিবিএক্স নিয়েও কাজ করেন। নটর ডেম কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষে বুয়েটে ভর্তি হন। তিনি মনে করেন, সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে পরিবারের সহায়তা লাগবে। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান করতে চান, যেখানে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করতে পারেন। পাশাপাশি মনে করেন, নতুনদের শেখানোর জন্য ওয়েবে, ইউটিউবে ভালো টিউটোরিয়াল থাকা জরুরি।

শেখাতে চাই নতুনদের
মো. জেনসিন আবেদীন:- (কুড়িগ্রাম) মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জেনসিন আবেদীনের বাবা ২০০০ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান। দুই ভাই এবং এক বোনের পড়াশোনা, মাসহ পরিবারের খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছিল। তবে কষ্টের সে সময়েও এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ভর্তি হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে পরিচিত একজনের পেন্টিয়াম থ্রি কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ পান এবং ছবি সম্পাদনার কাজ শুরু করেন। ২০১২ সাল থেকে এ কাজ দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন জেনসিন। ইতিমধ্যে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। স্বপ্ন দেখছেন পিছিয়ে থাকা জেলা কুড়িগ্রামে কিছু করার। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে অন্যদের শেখাতে চান। তিনি বলেন, ‘নিজে নিজে কিছু শেখার চেষ্টা না করলে কেউ সাহায্য করতে পারবে না। তাই নিজের আগ্রহ থাকা এবং কাজ শেখাটা জরুরি।’

সঠিক নির্দেশনা জরুরি
মো. সানোয়ার হায়দার:-(ঠাকুরগাঁও) চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় মো. সানোয়ার হায়দার ২০১৩ সালের শেষ দিক থেকে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং। শুরুর দিকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করতেন। ২০১৪ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে নিজের একটি ছোট প্রতিষ্ঠানে ১০ জনের একটি দল নিয়ে কাজ করছেন সানোয়ার। জানালেন, ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল ব্যতিক্রম কিছু করার। তাই ফিল্যান্সিংকে পেশা বেছে নিয়েছি। সানোয়ার বলেন, ‘পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে স্নাতক তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পেরেছি। এরপর আর পারিনি। সবকিছু গুছিয়ে আবার পড়াশোনা শুরুর ইচ্ছা আছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সঠিক নিদের্শনা জরুরি।’ সেটি ধরে রেখে নিজের প্রতিষ্ঠানকে আরও বড় করার স্বপ্নে কাজ করছেন তিনি।

রয়েছে সম্ভাবনা
খালিদ মাহমুদ:- ব্যক্তিগত বিভাগে বিজয়ী ২০০৯ থেকে শুরু হয় খালিদ মাহমুদের ফ্রিল্যান্সিং পেশা। প্রথমে কাজটা শুরু করেছিলেন লেখালেখি করে। পরবর্তী সময় নিজের ওয়েবসাইটেই বিভিন্ন লেখা (কনটেন্ট) লিখতে শুরু করেন। সাইপ্রাসের ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ে পড়াশোনা করে আউটসোর্সিংয়ে পুরো মনোযোগ দিয়েছেন। খালিদ বলেন, ‘এখন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কনটেন্ট তৈরির কাজ করছি। ইংরেজি ভালো জানেন এমন যে কেউ এ কাজে যুক্ত হতে পারেন। কনটেন্ট লেখার বড় বাজার রয়েছে।’ খালিদ স্বপ্ন দেখেন নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। যেখানে খুঁজে খুঁজে দেশের বেকারদের এক জায়গায় এনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

লেগে থাকতে হবে
আরিফুল ইসলাম:-(কক্সবাজার) শুরুটা করেছিলেন ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠানে। দুই বছর পর চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেই কিছু করার চিন্তা থেকেই শুরু হয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। এখন নিজ জেলা কক্সবাজারেই ওয়েবসাইট তৈরির কাজ করছেন আরিফুল ইসলাম। শুরুতে অনেক দিন ধরেই কাজের জন্য চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি। তবে লেগে ছিলেন। বলেন, ‘প্রথমে অনেকগুলো কাজে চেষ্টা করেও না পেয়ে আশাহত হইনি। নিজের কিছু করতে হবে, এমন চেষ্টায় লেগে থাকার ফলে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাই।’ বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেসের থিম এবং প্লাগ-ইন তৈরি করেন আরিফুল ইসলাম। তাঁর পড়াশোনা কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে। ভ্রমণ করা আর সিনেমা দেখা তাঁর শখ। সময় পেলেই সমুদ্র দেখতে চলে যান। ভবিষ্যতে একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান করতে চান।

৪০ জনকে বিনা মূল্যে শিখিয়েছি
সৈয়দ মাহমুদ হাসান:-(নড়াইল) বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে সৈয়দ মাহমুদ হাসানের ওপর। শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শেখা শুরু করেন তখন। শুরুতে ইন্টারনেট বিপণনের কাজ শুরু করলেও পরে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), সার্চ ইঞ্জিন বিপণন (এসইএম) নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই শুরুটা। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় হাসান। খুলনা বিএল কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি নেন তিনি। ২০১১ সালে যুক্ত হন ফ্রিল্যান্সিংয়ে। বর্তমানে নড়াইল আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন হাসান। নড়াইলের দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের ফ্রিল্যান্সিং শেখান তিনি। হাসান বললেন, ‘এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ৪০ জনকে বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের নানা কাজ শিখিয়েছি।

মা–বাবাই অনুপ্রেরণা
সাক্ষর দাস:-(বরিশাল) সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে অনলাইনে গ্রাফিক এবং ওয়েব ডিজাইনের কাজ করছেন সাক্ষর দাস। প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা করে কাজ করেন। সাক্ষরের বাবা পিনাকী রঞ্জন দাস ব্যবসায়ী এবং মা জয়া রানী দাস গৃহিণী। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক সাক্ষর ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন মা-বাবার উৎসাহেই। তিনি বলেন, ‘কম্পিউটার প্রোগ্রামার এক আত্মীয়ের অনুপ্রেরণায় নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরির কাজে লেগে যাই। আর সে কাজের স্বীকৃতি পেলাম এবার।’ সাক্ষর এখন স্বপ্ন দেখছেন, নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে, যেখানে বিনা খরচে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলো শেখানো হবে। তাঁর বিশ্বাস, এভাবেই এগিয়ে যেতে পারে দেশ।

গুগলই বিশ্বস্ত শিক্ষক
মো. তৌহিদুজ্জামান:-(পাবনা) তৌহিদুজ্জামান ২০০৮ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কাজ শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় বন্ধুদের কাছে জানতে পারেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা। পরবর্তী সময়ে পুরো এক বছর গুগলের সহায়তায় ধৈর্য ধরে লেগে ছিলেন। তাই বিশ্বাস করেন, অনলাইনে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের জন্য গুগল সবচেয়ে বড় গুরু, বিশ্বস্ত শিক্ষক। তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘অনলাইনে নানান ধরনের কাজ থাকলেও নিজে সফল হয়েছি অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং ও অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে। শুরুর দিকে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টাও কাজ করেছি প্রতিদিন।’ এখন নিজের একটা দল নিয়ে কাজ করেন তিনি। পড়ালেখার শেষ পর্যায়ে এসে আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন তৌহিদুজ্জামান। এখন তিনি ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছেন।

চেষ্টা থাকতে হবে
হিরো বড়ুয়া:-(চট্টগ্রাম)
২০১২ সালে ব্যক্তিগতভাবে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শুরু করেন হিরো বড়ুয়া। পরবর্তী সময়ে কাজ করেন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে এবং এ কাজটিই করে যাচ্ছেন। কম্পিউটার ও কম্পিউটারের কাজের প্রতি আগ্রহ থেকেই এ কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট এবং ই-কমার্স সমাধানের কাজ করেন হিরো বড়ুয়া। আউটসোর্সিংয়ের কাজে প্রতিদিন দিতে হয় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। স্নাতকোত্তর করেছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে চট্টগ্রামের ইউএসটিসি থেকে। ‘নিজের চেষ্টায় একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান তৈরির স্বপ্ন দেখি।’ বললেন হিরো বড়ুয়া। যে বিষয়ে পড়ছেন, সেই বিষয়ের জ্ঞান ও তথ্য আগ্রহী ব্যক্তিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান হিরো। সফল হতে হলে চেষ্টা থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা নম্বরপত্র হারিয়ে গেলে কী করবেন?

বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা নম্বরপত্র হারিয়ে গেলে কী করবেন?
বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে কীভাবে তা সংগ্রহ করবেন? আমাদের শিক্ষাজীবনের মূল্যবান সম্পদ সার্টিফিকেট [সেটা এস.এস.সি বা এইচ.এস.সি বা অন্য বোর্ড পরীক্ষার হোক] হারিয়ে ভীষণ চিন্তায় এবং দিশেহারা হয়ে যাই।
কী করবেন, কিভাবে সার্টিফিকেট ফিরে পাবেন তা বুঝতে পারেন না। সার্টিফিকেট বা এ ধরনের মূল্যবান শিক্ষা সংক্রান্ত কাগজপত্র হারালে বা নষ্ট হয়ে গেলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

পরীক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে আপনাকে প্রথমে যে কাজগুলো করতে হবেঃ

(১) জিডি (জেনারেল ডায়েরি বা সাধারণ ডায়েরি) করা। নিকটস্থ থানায় গিয়ে কর্তব্যরত অফিসারকে বুঝিয়ে বলুন আপনার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে এই কারণে আপনি একটি জিডি করাতে চান। তিনি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবেন যা জিডির জন্য প্রয়োজন। জিডি করাতে যাওয়ার আগে আপনার সার্টিফিকেটের মূল তথ্য যা আপনার মনে আছে (অথবা প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড) সুন্দর ভাবে লিখে নিয়ে যাবেন। তাহলে প্রয়োজনের মুহূর্তে সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব হবে।
(২) জিডির একটি কপি আপনাকে দেয়া হবে, যেখানে সকল বিস্তারিত তথ্য ও জিডি নাম্বার থাকবে। এটির কমপক্ষে ৫-৬টি ফটোকপি করে সংরক্ষণ করুন। পরে এগুলো দরকার হবে।
এবার পত্রিকা অফিসে যোগাযোগ করুন। দেশের সবচেয়ে প্রচলিত পত্রিকা বা আপনার স্থানীয় কোন পত্রিকা। তবে প্রচলিত পত্রিকাগুলোয় যোগাযোগ করা ভাল। পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে, এ ব্যাপারে পত্রিকায় দায়িত্বরত ব্যক্তির সাথে কথা বলুন।

পত্রিকার বিজ্ঞাপনে যেসব বিষয় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবেঃ

১. জিডি নাম্বার
২. সার্টিফিকেটে থাকা পরীক্ষার নাম
৩. বোর্ড
৪. পাশের সন
৫. নিজের নাম
৬. কীভাবে আপনার সার্টিফিকেট হারিয়েছে
এছাড়াও আরও কোনো প্রয়োজনীয় তথ্য বাকি রয়ে গেলে তা আপনার কাছে পত্রিকায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা জিজ্ঞেস করবেন। কাজেই এ নিয়ে চিন্তিত হবেন না।
(৩) জিডির কপি এবং পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি কেটে সাথে নিন। যে শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন তার তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। তাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে নির্ভুলভাবে পূরণ করুন।
(৪) সকল কাগজপত্র নিয়ে সোনালি ব্যাংকের কোন একটি শাখায় চলে যান, ডিমান্ড ড্রাফট করুন। এবার সকল কাগজপত্র যথা: জিডির কপি, পত্রিকার বিজ্ঞাপনের কাটিং, আবেদনপত্র এবং টাকা জমা দেয়ার রশিদ সব একত্রিত করে শিক্ষাবোর্ডের সচিবের নিকট আবেদন পত্র লিখুন।

আবেদন পত্রে যে তথ্যগুলো অবশ্যই থাকতে হবে-

আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক) কী হারিয়েছেন এবং কী কারণে আবেদন করছেন। আবেদনপত্রের বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট অক্ষরে পূর্ণ নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, রোল নম্বর, পাশের বিভাগ/জিপিএ, শাখা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ এবং জন্মতারিখসহ বিভিন্ন তথ্য লিখতে হবে। পরবর্তী অংশে জাতীয়তা, বিজ্ঞপ্তি যে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেটির নাম ও তারিখ এবং সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছেন সে শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের প্রয়োজন হবে। এতে তার দস্তখত ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।
আবেদন করার পর আপনার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে কি না, কিভাবে পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে এ সকল তথ্য বোর্ড থেকেই আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। তথ্যগুলো লিখে রাখুন এবং নিয়মিত খোঁজ নিন।

নতুন সার্টিফিকেট পাওয়ার পর–

দয়া করে অফসেট কাগজে এর কিছু ফটোকপি করিয়ে রাখুন এবং এমন স্থানে রাখুন যাতে তা সহজে হারিয়ে না যায়। অথবা পানি, আগুন বা পোকার আক্রমণে বিনষ্ট না হয়।

সতর্কতা অবলম্বন করুন:–

যখন তখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রটি হারিয়ে যায়। পুড়ে যায় অথবা নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ ধরনের বিড়ম্বনা পোহানোর চাইতে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করাটা অনেক ভাল। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজের মূল কপি এদিকে-ওদিকে না ছুটে অফসেট ভাল ফটোকপি মেশিনে একসেট কপি করিয়ে তা থেকে পরবর্তীতে ফটোকপি করলে অহেতুক এসব ঝামেলায় পড়তে হবে না। এসব ঝামেলা থেকে খুব সহজেই রেহাই পেয়ে যাবেন।

ব্যাতিক্রম আছে

নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশবিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশবিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র, পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আর বিদেশি নাগরিককে ব্যাংক ড্রাফটসহ নিজ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

কত টাকা লাগবে

আর বিদেশি নাগরিককে ব্যাংক ড্রাফটসহ নিজ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কত টাকা লাগবে সাময়িক সনদ, নম্বরপত্র, প্রবেশপত্র ফি (জরুরি ফিসহ) ১৩০ টাকা। এছাড়া ত্রি-নকলের জন্য ১৫০ টাকা এবং চৌ নকলের জন্য ২৫০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। আর টাকার কম বেশিও হতে পারে। ওয়েবসাইট থেকে বর্তমান তথ্য পেতে পারেন।
সুতারং; বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা নম্বরপত্র হারিয়ে গেলে কী করবেন? এই কথাটি আর না ভেবে উপরোক্ত পদ্দতি অনুযায়ী যা যা করার দরকার এক্ষুনি করে ফেলুন।
পোষ্টটি ভাল লাগলে, শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।
Design by MS Design

Powered by Blogger