প্রথমেই নবায়নের জন্য পুরনো পাসপোর্টসহ নির্ধারিত আবেদনপত্রের একটি কপি জমা দিতে হবে। বর্তমানে দেশের ৬৭টি কার্যালয়ে পাসপোর্ট নবায়নের কাজ হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার কাছাকাছি সুবিধা মতো অথবা আপনার এলাকার নির্ধারিত অফিসে ফি দিয়ে পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারবেন।
পাসপোর্ট নবায়নের জন্য যে সকল নথিপত্র প্রয়োজন-
* সাম্প্রতিক সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজের (অনধিক ছয় মাস) পাঁচ কপি ছবি।
* আবেদনকারীর বর্তমান পাসপোর্ট।
এরপর-
* নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করে ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রশিদটি ওই আবেদনপত্রের সঙ্গে আঠা দিয়ে লাগিয়ে পাসপোর্ট সহ জমা দিতে হবে।
* আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ডেলিভারি দেওয়া হয় বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে।
ফরম সংগ্রহ করবেন পদ্ধতিঃ
ইন্টারনেট থেকে বিনা মূল্যে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেই (www.dip.gov.bd) এই আবেদপত্র পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকেও বিনা মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে এই ফরম। চার পৃষ্ঠার এ আবেদনপত্রে আবেদনকারীকে নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, তাঁদের পেশা, জাতীয়তা, জন্মস্থান, জন্মতারিখ, জন্ম সনদপত্র নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে।
* এসব তথ্য সঠিক এবং নির্ভুলভাবে পূরণ করে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে হবে।
* আবেদনকারীকে একটি ৫৫x৪৫ মিলিমিটার আকারের রঙিন ছবি (পাসপোর্ট সাইজ ছবি) আবেদনপত্রে আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়িত করতে হবে। এমনভাবে সত্যায়িত করতে হবে যেন সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর এবং সিলমোহরের অর্ধেক অংশ ছবির ওপর আর বাকি অংশ আবেদনপত্রের কাগজে থাকে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
* জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
* অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছরের কম) আবেদনকারীর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বাবা ও মায়ের একটি করে রঙিন ছবিও লাগবে।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নিয়মঃ
* দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদনপত্রটি যাচাই করে সিলসহ স্বাক্ষর করবেন।
* আবেদনপত্রটি জমা নেওয়ার সময় পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত ব্যক্তি আপনাকে একটি টোকেন দেবেন।
* সে টোকেনসহ আবেদনপত্রটি নিয়ে ছবি তোলার জন্য আরেকজন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে।
* জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যেভাবে ছবি তোলা হয়েছিল, এখানেও একইভাবে নির্দিষ্ট মাপের ছবি তোলা হবে।
* ইলেকট্রনিক মেশিনে দুই হাতের আঙুলের ছাপ দিতে হবে।
* এরপর নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর। সেখানে কম্পিউটারে আপনার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য এন্ট্রি করা হবে।
* এই প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একটি আলাদা প্রিন্টেড কপি বা রশিদ দেবেন এবং আবেদনপত্রটি রেখে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার তারিখও জানিয়ে দেবেন।
* আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।
সবিশেষ পাসপোর্ট সংগ্রহঃ
* কর্তৃপক্ষের দেওয়া তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে। তবে মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার পর যাওয়া ভাল।
* তবে এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হতে হবে।
কিছু লক্ষণীয় বিষয়ঃ
* পুরো ঢাকা নগরীকে তিনটি অধিক্ষেত্রে বিভক্ত করা হয়েছে। উত্তরা, আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী। টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যার ঠিকানা যে অধিক্ষেত্রের অন্তর্গত, তাকে সেই পাসপোর্ট অফিসে টাকা জমা দিতে হবে।
* ছবি তোলার দিন পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে যেতে হবে। তবে সাদা রংয়ের কাপড় পরবেন না।
ConversionConversion EmoticonEmoticon