অনলাইনে বিশাল ব্যবসার সম্ভাবনা দেখছে গুগল

অনলাইনে বিশাল ব্যবসার সম্ভাবনা দেখছে গুগল
২০২০ সাল নাগাদ অনলাইন সুবিধার আওতায় চলে আসবে ৫০০ কোটি মানুষ। এটিকে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশাল ব্যবসা সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে গুগল। ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার গুগলের ইউরোপ অঞ্চলের প্রধান ম্যাট ব্রিটিন এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ারশতে আইটি স্টার্টআপ বা প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ম্যাট ব্রিটিন বলেন, পাঁচ বছরে সংযোগের আওতায় আসা মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। ৫০০ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের সুবিধা পাবে। প্রত্যেকের পকেটে ইন্টারনেট সুবিধা চলে আসবে। তিনি বলেন, ‘৫০০ কোটি মানুষ ইন্টারনেটের আওতায় আসা মানে বিশাল সম্ভাবনা। এ সময়টি পরিবর্তনের। পাঁচ বছরের সময়কালে আমরা ইন্টারনেট সংযোগের হিসাবে সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাগুরু হয়ে যাব। এ জন্য স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এ বাজার নিয়ে ভাবার সময় এখন।’

ব্রিটিন বলেন, ‘গুগল যদিও একটি সার্চ ইঞ্জিন, তবে এটি উদ্যোক্তা ও অর্থনীতির জন্য প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন লাখো প্রতিষ্ঠানকে সফটওয়্যার, প্রযুক্তি, বিপণন, বিতরণের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে দেখছি। আমরা এগুলোকে ‘ক্ষুদ্র-বহুজাতিক’ প্রতিষ্ঠান বলতে পারি। প্রতিটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান জন্মলগ্ন থেকেই বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারে।’ এএফপি

উদ্যোক্তাদের জন্য ৫টি উপদেশ ৫টি প্রতিষ্টান প্রধানের পক্ষ থেকে

উদ্যোক্তাদের জন্য ৫টি উপদেশ ৫টি প্রতিষ্টান প্রধানের পক্ষ থেকে
একজন উদ্যোক্তাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি এ পথ মাড়ালেন কেন?
উদ্যোক্তার উত্তর, ‘আমার শেষ বসের কথা এটি।’
তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি কী বলেছিলেন?
উত্তর পাওয়া গেল, ‘তোমাকে চাকরিচ্যুত করা হলো।’
উদ্যোক্তাদের মধ্যে কৌতুকটি বেশ প্রচলিত। কেউ চাকরিচ্যুত তো কেউ বিশ্ববিদ্যালয়চ্যুত—উদ্যোক্তারা কেমন যেন একটু লাইনচ্যুত। কিছুটা ভিন্নধারা যেন তাঁদের রক্তের মধ্যেই মিশে আছে। এই ভিন্নধারাটা কী? এর উত্তর তো সফল উদ্যোক্তারাই ভালো দিতে পারবেন। সম্প্রতি বিবিসির প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রযুক্তিতে সফল পাঁচ উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী। যাঁরা একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর সহপ্রতিষ্ঠাতাও বটে। তাঁরা উত্তর দিয়েছেন নতুন ব্যবসায় উদ্যোগে (স্টার্টআপ) সফলতার মূলমন্ত্র নিয়ে।

নতুন করে শুরু করার সুযোগ রাখুন
জিমি ওয়েলস (সহপ্রতিষ্ঠাতা, উইকিপিডিয়া)
ব্যর্থ হলে দ্রুত হও, বারবার হও এবং ভালোভাবেই হও—প্রচলিত ধারার বাইরের এই উপদেশ উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে শোনা যায় প্রায়ই। ইন্টারনেটভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলসও সে কথা মানেন মনেপ্রাণেই। শুরুর দিনগুলোর কথা মনে করে তিনি বলেন, ‘উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণের নাম ছিল নিউপিডিয়া। এর গঠনটা ছিল বেশ জটিল। কিন্তু আমি ব্যর্থ হতে চাইনি।’ না চাইলেও ব্যর্থতার স্বাদ থেকে ‘বঞ্চিত’ হননি তিনি। উইকিপিডিয়ার আগে তাঁর বেশকিছু উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। সব সম্পদ নিয়ে কোনো একক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার ঠিক পক্ষপাতী নন জিমি ওয়েলস।
তাঁর উপদেশ, ‘সব টাকা এক ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করবেন না। নতুন করে শুরু করার একটা সুযোগ রাখুন নিজের জন্য।’

সমালোচনায় কান দেবেন না
নিকোলাস ব্রুসন (সহপ্রতিষ্ঠাতা, ব্লা ব্লা কার)
জিমি ওয়েলস মাঝেমধ্যে আফসোস করেন, সবার মন্তব্য আগে শুনে সে অনুযায়ী যদি ব্যবস্থা নিতাম! তবে আরেক প্রধান নির্বাহী সমালোচনায় কান না দিতে উৎসাহ দেন উদ্যোক্তাদের। তিনি নিকোলাস ব্রুসন, ব্লা ব্লা কারের প্রধান নির্বাহী। ফ্রান্সের অন্যতম সফল এই প্রতিষ্ঠানের ১৯টি দেশে দুই কোটির বেশি সদস্য আছে।
নিকোলাস বলেন, ‘এমন অনেক বিনিয়োগকারী আপনি পাবেন, যারা আপনাকে বাজারের কথা মাথায় রাখতে বলবে। অথচ আপনি যদি নতুন কিছু শুরু করে থাকেন তো এটা পরিষ্কার যে বাজারটা এখনো তৈরি হয়নি। তৈরির কাজটা করতে হবে আপনাকেই।’ মনে করুন নিজের গাড়িতে চড়ে কোথাও যাচ্ছেন। গাড়িতে হয়তো দুটি আসন ফাঁকা আছে। চাইলেই ব্লা ব্লা কারের মাধ্যমে এই দুটি সিটের জন্য যাত্রাসঙ্গী খুঁজে নিয়ে কামিয়ে ফেলতে পারেন কিছু অতিরিক্ত টাকা। ২০০৩ সালের দিকে এমন অদ্ভুত ধারণার জন্য মানুষের সমালোচনায় কান দিলে কি আজ ব্লা ব্লা কার প্রতিষ্ঠিত হতো?

সৃজনশীলতা আর সততাই সবকিছু
ইয়ান্সি স্ট্রিকলার (প্রধান নির্বাহী, কিকস্টার্টার)
ক্রাউডফান্ডিং ওয়েবসাইট কিকস্টার্টারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইয়ান্সি স্ট্রিকলারের কাছে সৃজনশীলতা এবং সততাই মূলকথা। তিনি বলেন, ‘এমন কোনো সমাধান দাও যা নিয়ে তুমি নিজেই গর্ববোধ করতে পারো। এমন কিছু যা তোমার কাছে নৈতিকভাবে ঠিক মনে হয়।’ এ ধরনের মতবাদ অবশ্য অনেক ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানেরই লক্ষ্য।

সময় দিতে হবে নিজেকে
মাইক ক্রিগার (সহপ্রতিষ্ঠাতা, ইনস্টাগ্রাম)
সিলিকন ভ্যালির স্টার্টআপগুলোর কথা ভাবতেই কেন জানি হুডি পরা, পিৎজা খাওয়া একদল তরুণ মেধাবীর কথা মাথায় আসে। অগোছালো টেবিল, অগোছালো ঘর, কাজ করছে তো করছেই, দিনরাতের হিসাব নেই, এমন। তবে ইনস্টাগ্রামের প্রধান নির্বাহী মাইক ক্রিগার শোনালেন ভিন্ন কথা। শুরুর দিনগুলোতে নিজেদের ওপর বড্ড অত্যাচার করেছেন বলেই মন্তব্য করলেন। তিনি বললেন, ‘আপনি হয়তো দিনে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করা শুরু করলেন। তবে ওই অতিরিক্ত দুই ঘণ্টায় কাজের ফলাফল হয়তো ঋণাত্মকে দাঁড়াবে।’ সময় দিতে হবে নিজেকে। একদম নিজের জন্য, নিজের মতো করে কাটানোর জন্য কিছু সময় রাখতে হবে। এটা দক্ষতা বাড়াবে বৈ কমাবে না। বললেন মাইক। সহপ্রতিষ্ঠাতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু খুঁতখুঁতে স্বভাবের হওয়ায় ভালো বলে মনে করেন সিলিকন ভ্যালির এই প্রধান নির্বাহী।

খুঁজে বের করতে হবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ
শন র্যা ড (প্রতিষ্ঠাতা, টিন্ডার)
টিন্ডারের প্রতিষ্ঠাতা শন র্যা ড হয়তো মাইক ক্রিগারের সঙ্গে একমত পোষণ করেন না। কারণ, তিনি সহপ্রতিষ্ঠাতার খোঁজে নামেননি। এই ডেটিং অ্যাপের শুরুটা তাঁর একার হাতেই। তিনি মনে করেন, ‘কাজ মাঝেমধ্যে বিরক্তিকর হতে পারে।’ আর তাই তিনি নিজের জন্য কিছু নিয়ম তৈরি করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘৮০ শতাংশ ফলাফল পেতে এক জীবনে সম্পন্ন করার জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খুঁজে বের করতে হবে।’

নাসার ‘রাসায়নিক ল্যাপটপ’

 নাসার ‘রাসায়নিক ল্যাপটপ’
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এমন এক ল্যাপটপ কম্পিউটার তৈরি করেছে, যা হয়তো একদিন ভিনগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে বের করবে। বিজ্ঞানীরা যন্ত্রটিকে বলছেন ‘রাসায়নিক ল্যাপটপ’। গ্রহান্তরে গিয়ে এই ল্যাপটপ নমুনা সংগ্রহ করে তাতে হয়তো এমন কিছুর অস্তিত্ব খুঁজে পাবে, যা এলিয়েন বা জীবনের সন্ধান দেবে। তরল নমুনা সংগ্রহ করে রঙের সঙ্গে মিশিয়ে লেজার রশ্মির মাধ্যমে নির্ধারণ করবে এটি অ্যামাইনো, নাকি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই অ্যাসিডই জীবনের অস্তিত্ব শনাক্ত করে।

চলচ্চিত্র মূলত বাস্তব জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। তবে কিছু কিছু চলচ্চিত্র আছে, যেগুলো থেকে বাস্তবের দুনিয়া শিখতে পারে। এমনই এক সিনেমা স্টার ট্রেক। এই ছবি থেকে আগে অনেক কিছুই তৈরি হয়েছে, পাওয়া গেছে নতুন অনেক ধারণা। রাসায়নিক ল্যাপটপকেও এই স্টার ট্রেক-এর ‘ট্রাইকোর্ডার’-এর সঙ্গে তুলনা করছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার জেট প্রপালশন গবেষণাগারের প্রযুক্তিবিদ ফার্নান্দা মোরা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের যন্ত্রটি মূলত কেমিক্যাল অ্যানালাইজার (রাসায়নিক বিশ্লেষক)। এটাকে পুনরায় প্রোগ্রাম করে নতুন নতুন কাজে ব্যবহার করা যাবে। একই ল্যাপটপের ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপে যেমন ভিন্ন ভিন্ন কাজ হয়, এটাও তেমনই।’ খুব সহজ-সরল মনে হলেও আদতে ব্যাপারটা বেশ জটিল। অ্যামাইনো ও ফ্যাটি—দুই ধরনের অ্যাসিডই জীবনের চিহ্ন বহন করে। তবে জীবের বাইরেও এসব অ্যাসিড তৈরি হতে পারে। সমস্যাটা এখানেই, পার্থক্য করাটা কঠিন। এরও সমাধান আছে নাসার এই যন্ত্রে। তরল নমুনা নিয়ে কাজ করে বলে এটা বৃহষ্পতির উপগ্রহ ইউরোপাতে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিজ্ঞানীদের অনেক দিনের ধারণা, ইউরোপাতে হয়তো জীবনের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

আইফোন ৬ এস পানিরোধী নয়

আইফোন ৬ এস পানিরোধী নয়
আইফোনের নতুন সংস্করণ ৬ এস পানিরোধী বলে প্রচার চালানো হলেও আসলে কিন্তু ফোনে পানি ঢুকলে ফোনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নতুন আইফোন পানিতে ভেজানো থেকে সাবধান থাকা উচিত। সম্প্রতি আইফোন ৬ এস পানিরোধী কি না তা নিয়ে পরীক্ষা চালায় সিএনএনমানি নামের ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ। সিএনএনের বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাঁচ মিনিট পানির পাত্রে আইফোন ৬ এস ডুবিয়ে রেখে দেখা গেছে ফোনটি চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে।
সিএনএনমানির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানিতে ডুবানোর পর কিছুক্ষণ সেটি ঠিকঠাক থাকে। কয়েক সেকেন্ড পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর ফোন থেকে বাতাস বের হয়ে বুদবুদ তৈরি হয়। পানি থেকে তোলার পর ১০ মিনিট পর্যন্ত ফোনটি চালু থাকলেও অনেকগুলো ফাংশন অকেজো হতে শুরু করে। এরপর একসময় পুরো ডিসপ্লে সাদা হয়ে ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়।

Related: মার্কেটে মোবাইলের দরদাম

এর আগে আইফোন ৫ নিয়েও এ ধরনের একটি পরীক্ষা চালিয়েছিল প্রটেক্ট ইয়োর বাবল নামের প্রযুক্তিপণ্য ইনস্যুরেন্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সে পরীক্ষাতেও দেখা গেছে আইফোন ৫ পানিরোধী নয়।

অবশ্য, আইফোন ৬ এস পানিরোধী, এ কথা কখনো দাবি করেনি অ্যাপল। তবে এ বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন আইফোন বাজারে আসার আগে প্রযুক্তিবিষয়ক অনেক ব্লগ ও ওয়েবসাইটে নতুন আইফোন পানিরোধী হবে এ দাবি করা হয়েছিল।

অবশেষে গোলাপ গাছে বিদ্যুৎ এটাও কি সম্ভব

অবশেষে গোলাপ গাছে বিদ্যুৎ এটাও কি সম্ভব
জীবন্ত উদ্ভিদের মধ্যেই বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি করা সম্ভব। তা করে দেখালেন সুইডেনের লিংকপিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, আলোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি আহরণের একটি পথ খুলে দেবে তাঁদের যুগান্তকারী এই উদ্ভাবন।

টেলিগ্রাফ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, গবেষকেরা বাগানের একটি গোলাপ গাছের মধ্যে বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি করেন। বিদ্যুৎ পরিবাহী দ্রবণীয় পলিমারযুক্ত পানির একটি পাত্রে গোলাপ গাছটিকে বসান তাঁরা। গাছটি যখন পানি শোষণ করে তখন বিদ্যুৎ পরিবাহী ও উপাদানগুলোও গাছ শোষণ করে নিজের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে নেয়। ফুলের রং যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে এটি সেই একই রকম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে।

গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক ম্যাগনাস বারগ্রেন বলেন, গোলাপ গাছটির ভেতর পলিমারের দ্রবণগুলো গাছের আয়নের সঙ্গে মিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি তার তৈরি করে ফেলে যা দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি করে ফেলা যায়।

গবেষক বারগ্রেন বলেন, ‘যত দূর পর্যন্ত জানি, এখনো গাছের মাধ্যমে তৈরি ইলেকট্রনিকস নিয়ে কোনো গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে। আমরা এখন তাই ‘পাওয়ার প্ল্যান্ট’ বিষয়ে কথা বলতে পারি। আমরা গাছে সেনসর বসিয়ে তা থেকে শক্তি সংগ্রহ করতে পারি অথবা নতুন উপাদান তৈরি করতে পারি।’ 
গবেষক বারগ্রেন দাবি করেন, এ প্রক্রিয়ার উৎপাদিত সবকিছুই প্রাকৃতিক এবং এ ক্ষেত্রে গাছের নিজস্ব অনন্য পদ্ধতিটিই ব্যবহার করা হয়।

কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সারদের কথা

কয়েকজন সফল ফ্রিল্যান্সারদের কথা
সফল ফ্রিল্যান্সারদের থেকে আসলেই অনেক কিছু শেখার আছে তাই আজকে অাপনাদের নিকট তুলে ধরছি কিছু সফল ফ্রিল্যান্সারদের উপদেশবানী।

পরিবারের সহায়তা লাগবে
মো. কামরুজ্জামান:- ব্যক্তিগত বিভাগে বিজয়ী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়াশোনা শেষে আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন মো. কামরুজ্জামান। কয়েক বছর পর ব্যবসা ছেড়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা থেকেই যুক্ত হয়ে পড়েন ফ্রিল্যান্সিংয়ে। ২০১১ সাল থেকে শুরু। এখনো কাজ করছেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য। এ ছাড়া সার্ভার ও পিবিএক্স নিয়েও কাজ করেন। নটর ডেম কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষে বুয়েটে ভর্তি হন। তিনি মনে করেন, সফল ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে পরিবারের সহায়তা লাগবে। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান করতে চান, যেখানে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করতে পারেন। পাশাপাশি মনে করেন, নতুনদের শেখানোর জন্য ওয়েবে, ইউটিউবে ভালো টিউটোরিয়াল থাকা জরুরি।

শেখাতে চাই নতুনদের
মো. জেনসিন আবেদীন:- (কুড়িগ্রাম) মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জেনসিন আবেদীনের বাবা ২০০০ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান। দুই ভাই এবং এক বোনের পড়াশোনা, মাসহ পরিবারের খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছিল। তবে কষ্টের সে সময়েও এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ভর্তি হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে পরিচিত একজনের পেন্টিয়াম থ্রি কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ পান এবং ছবি সম্পাদনার কাজ শুরু করেন। ২০১২ সাল থেকে এ কাজ দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন জেনসিন। ইতিমধ্যে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। স্বপ্ন দেখছেন পিছিয়ে থাকা জেলা কুড়িগ্রামে কিছু করার। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে অন্যদের শেখাতে চান। তিনি বলেন, ‘নিজে নিজে কিছু শেখার চেষ্টা না করলে কেউ সাহায্য করতে পারবে না। তাই নিজের আগ্রহ থাকা এবং কাজ শেখাটা জরুরি।’

সঠিক নির্দেশনা জরুরি
মো. সানোয়ার হায়দার:-(ঠাকুরগাঁও) চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় মো. সানোয়ার হায়দার ২০১৩ সালের শেষ দিক থেকে শুরু করেন ফ্রিল্যান্সিং। শুরুর দিকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করতেন। ২০১৪ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে নিজের একটি ছোট প্রতিষ্ঠানে ১০ জনের একটি দল নিয়ে কাজ করছেন সানোয়ার। জানালেন, ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল ব্যতিক্রম কিছু করার। তাই ফিল্যান্সিংকে পেশা বেছে নিয়েছি। সানোয়ার বলেন, ‘পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে স্নাতক তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পেরেছি। এরপর আর পারিনি। সবকিছু গুছিয়ে আবার পড়াশোনা শুরুর ইচ্ছা আছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সঠিক নিদের্শনা জরুরি।’ সেটি ধরে রেখে নিজের প্রতিষ্ঠানকে আরও বড় করার স্বপ্নে কাজ করছেন তিনি।

রয়েছে সম্ভাবনা
খালিদ মাহমুদ:- ব্যক্তিগত বিভাগে বিজয়ী ২০০৯ থেকে শুরু হয় খালিদ মাহমুদের ফ্রিল্যান্সিং পেশা। প্রথমে কাজটা শুরু করেছিলেন লেখালেখি করে। পরবর্তী সময় নিজের ওয়েবসাইটেই বিভিন্ন লেখা (কনটেন্ট) লিখতে শুরু করেন। সাইপ্রাসের ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভ্রমণ ও পর্যটন বিষয়ে পড়াশোনা করে আউটসোর্সিংয়ে পুরো মনোযোগ দিয়েছেন। খালিদ বলেন, ‘এখন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কনটেন্ট তৈরির কাজ করছি। ইংরেজি ভালো জানেন এমন যে কেউ এ কাজে যুক্ত হতে পারেন। কনটেন্ট লেখার বড় বাজার রয়েছে।’ খালিদ স্বপ্ন দেখেন নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। যেখানে খুঁজে খুঁজে দেশের বেকারদের এক জায়গায় এনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

লেগে থাকতে হবে
আরিফুল ইসলাম:-(কক্সবাজার) শুরুটা করেছিলেন ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠানে। দুই বছর পর চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেই কিছু করার চিন্তা থেকেই শুরু হয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ। এখন নিজ জেলা কক্সবাজারেই ওয়েবসাইট তৈরির কাজ করছেন আরিফুল ইসলাম। শুরুতে অনেক দিন ধরেই কাজের জন্য চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি। তবে লেগে ছিলেন। বলেন, ‘প্রথমে অনেকগুলো কাজে চেষ্টা করেও না পেয়ে আশাহত হইনি। নিজের কিছু করতে হবে, এমন চেষ্টায় লেগে থাকার ফলে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাই।’ বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেসের থিম এবং প্লাগ-ইন তৈরি করেন আরিফুল ইসলাম। তাঁর পড়াশোনা কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে। ভ্রমণ করা আর সিনেমা দেখা তাঁর শখ। সময় পেলেই সমুদ্র দেখতে চলে যান। ভবিষ্যতে একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান করতে চান।

৪০ জনকে বিনা মূল্যে শিখিয়েছি
সৈয়দ মাহমুদ হাসান:-(নড়াইল) বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের পুরো দায়িত্ব এসে পড়ে সৈয়দ মাহমুদ হাসানের ওপর। শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শেখা শুরু করেন তখন। শুরুতে ইন্টারনেট বিপণনের কাজ শুরু করলেও পরে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), সার্চ ইঞ্জিন বিপণন (এসইএম) নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। এভাবেই শুরুটা। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় হাসান। খুলনা বিএল কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি নেন তিনি। ২০১১ সালে যুক্ত হন ফ্রিল্যান্সিংয়ে। বর্তমানে নড়াইল আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন হাসান। নড়াইলের দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের ফ্রিল্যান্সিং শেখান তিনি। হাসান বললেন, ‘এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ৪০ জনকে বিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের নানা কাজ শিখিয়েছি।

মা–বাবাই অনুপ্রেরণা
সাক্ষর দাস:-(বরিশাল) সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে অনলাইনে গ্রাফিক এবং ওয়েব ডিজাইনের কাজ করছেন সাক্ষর দাস। প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা করে কাজ করেন। সাক্ষরের বাবা পিনাকী রঞ্জন দাস ব্যবসায়ী এবং মা জয়া রানী দাস গৃহিণী। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক সাক্ষর ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন মা-বাবার উৎসাহেই। তিনি বলেন, ‘কম্পিউটার প্রোগ্রামার এক আত্মীয়ের অনুপ্রেরণায় নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরির কাজে লেগে যাই। আর সে কাজের স্বীকৃতি পেলাম এবার।’ সাক্ষর এখন স্বপ্ন দেখছেন, নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে, যেখানে বিনা খরচে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলো শেখানো হবে। তাঁর বিশ্বাস, এভাবেই এগিয়ে যেতে পারে দেশ।

গুগলই বিশ্বস্ত শিক্ষক
মো. তৌহিদুজ্জামান:-(পাবনা) তৌহিদুজ্জামান ২০০৮ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় কাজ শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় বন্ধুদের কাছে জানতে পারেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা। পরবর্তী সময়ে পুরো এক বছর গুগলের সহায়তায় ধৈর্য ধরে লেগে ছিলেন। তাই বিশ্বাস করেন, অনলাইনে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের জন্য গুগল সবচেয়ে বড় গুরু, বিশ্বস্ত শিক্ষক। তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘অনলাইনে নানান ধরনের কাজ থাকলেও নিজে সফল হয়েছি অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং ও অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে। শুরুর দিকে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টাও কাজ করেছি প্রতিদিন।’ এখন নিজের একটা দল নিয়ে কাজ করেন তিনি। পড়ালেখার শেষ পর্যায়ে এসে আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন তৌহিদুজ্জামান। এখন তিনি ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে কাজ করছেন।

চেষ্টা থাকতে হবে
হিরো বড়ুয়া:-(চট্টগ্রাম)
২০১২ সালে ব্যক্তিগতভাবে ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শুরু করেন হিরো বড়ুয়া। পরবর্তী সময়ে কাজ করেন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে এবং এ কাজটিই করে যাচ্ছেন। কম্পিউটার ও কম্পিউটারের কাজের প্রতি আগ্রহ থেকেই এ কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট এবং ই-কমার্স সমাধানের কাজ করেন হিরো বড়ুয়া। আউটসোর্সিংয়ের কাজে প্রতিদিন দিতে হয় ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। স্নাতকোত্তর করেছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে চট্টগ্রামের ইউএসটিসি থেকে। ‘নিজের চেষ্টায় একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান তৈরির স্বপ্ন দেখি।’ বললেন হিরো বড়ুয়া। যে বিষয়ে পড়ছেন, সেই বিষয়ের জ্ঞান ও তথ্য আগ্রহী ব্যক্তিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান হিরো। সফল হতে হলে চেষ্টা থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা নম্বরপত্র হারিয়ে গেলে কী করবেন?

বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা নম্বরপত্র হারিয়ে গেলে কী করবেন?
বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে কীভাবে তা সংগ্রহ করবেন? আমাদের শিক্ষাজীবনের মূল্যবান সম্পদ সার্টিফিকেট [সেটা এস.এস.সি বা এইচ.এস.সি বা অন্য বোর্ড পরীক্ষার হোক] হারিয়ে ভীষণ চিন্তায় এবং দিশেহারা হয়ে যাই।
কী করবেন, কিভাবে সার্টিফিকেট ফিরে পাবেন তা বুঝতে পারেন না। সার্টিফিকেট বা এ ধরনের মূল্যবান শিক্ষা সংক্রান্ত কাগজপত্র হারালে বা নষ্ট হয়ে গেলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

পরীক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে আপনাকে প্রথমে যে কাজগুলো করতে হবেঃ

(১) জিডি (জেনারেল ডায়েরি বা সাধারণ ডায়েরি) করা। নিকটস্থ থানায় গিয়ে কর্তব্যরত অফিসারকে বুঝিয়ে বলুন আপনার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে এই কারণে আপনি একটি জিডি করাতে চান। তিনি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবেন যা জিডির জন্য প্রয়োজন। জিডি করাতে যাওয়ার আগে আপনার সার্টিফিকেটের মূল তথ্য যা আপনার মনে আছে (অথবা প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড) সুন্দর ভাবে লিখে নিয়ে যাবেন। তাহলে প্রয়োজনের মুহূর্তে সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব হবে।
(২) জিডির একটি কপি আপনাকে দেয়া হবে, যেখানে সকল বিস্তারিত তথ্য ও জিডি নাম্বার থাকবে। এটির কমপক্ষে ৫-৬টি ফটোকপি করে সংরক্ষণ করুন। পরে এগুলো দরকার হবে।
এবার পত্রিকা অফিসে যোগাযোগ করুন। দেশের সবচেয়ে প্রচলিত পত্রিকা বা আপনার স্থানীয় কোন পত্রিকা। তবে প্রচলিত পত্রিকাগুলোয় যোগাযোগ করা ভাল। পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে, এ ব্যাপারে পত্রিকায় দায়িত্বরত ব্যক্তির সাথে কথা বলুন।

পত্রিকার বিজ্ঞাপনে যেসব বিষয় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবেঃ

১. জিডি নাম্বার
২. সার্টিফিকেটে থাকা পরীক্ষার নাম
৩. বোর্ড
৪. পাশের সন
৫. নিজের নাম
৬. কীভাবে আপনার সার্টিফিকেট হারিয়েছে
এছাড়াও আরও কোনো প্রয়োজনীয় তথ্য বাকি রয়ে গেলে তা আপনার কাছে পত্রিকায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা জিজ্ঞেস করবেন। কাজেই এ নিয়ে চিন্তিত হবেন না।
(৩) জিডির কপি এবং পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনটি কেটে সাথে নিন। যে শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন তার তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। তাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে নির্ভুলভাবে পূরণ করুন।
(৪) সকল কাগজপত্র নিয়ে সোনালি ব্যাংকের কোন একটি শাখায় চলে যান, ডিমান্ড ড্রাফট করুন। এবার সকল কাগজপত্র যথা: জিডির কপি, পত্রিকার বিজ্ঞাপনের কাটিং, আবেদনপত্র এবং টাকা জমা দেয়ার রশিদ সব একত্রিত করে শিক্ষাবোর্ডের সচিবের নিকট আবেদন পত্র লিখুন।

আবেদন পত্রে যে তথ্যগুলো অবশ্যই থাকতে হবে-

আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক) কী হারিয়েছেন এবং কী কারণে আবেদন করছেন। আবেদনপত্রের বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট অক্ষরে পূর্ণ নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম, রোল নম্বর, পাশের বিভাগ/জিপিএ, শাখা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ এবং জন্মতারিখসহ বিভিন্ন তথ্য লিখতে হবে। পরবর্তী অংশে জাতীয়তা, বিজ্ঞপ্তি যে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেটির নাম ও তারিখ এবং সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছেন সে শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে। আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের প্রয়োজন হবে। এতে তার দস্তখত ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।
আবেদন করার পর আপনার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে কি না, কিভাবে পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে এ সকল তথ্য বোর্ড থেকেই আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে। তথ্যগুলো লিখে রাখুন এবং নিয়মিত খোঁজ নিন।

নতুন সার্টিফিকেট পাওয়ার পর–

দয়া করে অফসেট কাগজে এর কিছু ফটোকপি করিয়ে রাখুন এবং এমন স্থানে রাখুন যাতে তা সহজে হারিয়ে না যায়। অথবা পানি, আগুন বা পোকার আক্রমণে বিনষ্ট না হয়।

সতর্কতা অবলম্বন করুন:–

যখন তখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রটি হারিয়ে যায়। পুড়ে যায় অথবা নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ ধরনের বিড়ম্বনা পোহানোর চাইতে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করাটা অনেক ভাল। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজের মূল কপি এদিকে-ওদিকে না ছুটে অফসেট ভাল ফটোকপি মেশিনে একসেট কপি করিয়ে তা থেকে পরবর্তীতে ফটোকপি করলে অহেতুক এসব ঝামেলায় পড়তে হবে না। এসব ঝামেলা থেকে খুব সহজেই রেহাই পেয়ে যাবেন।

ব্যাতিক্রম আছে

নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশবিশেষ জমা দিতে হবে। তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশবিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র, পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আর বিদেশি নাগরিককে ব্যাংক ড্রাফটসহ নিজ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

কত টাকা লাগবে

আর বিদেশি নাগরিককে ব্যাংক ড্রাফটসহ নিজ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কত টাকা লাগবে সাময়িক সনদ, নম্বরপত্র, প্রবেশপত্র ফি (জরুরি ফিসহ) ১৩০ টাকা। এছাড়া ত্রি-নকলের জন্য ১৫০ টাকা এবং চৌ নকলের জন্য ২৫০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। আর টাকার কম বেশিও হতে পারে। ওয়েবসাইট থেকে বর্তমান তথ্য পেতে পারেন।
সুতারং; বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা নম্বরপত্র হারিয়ে গেলে কী করবেন? এই কথাটি আর না ভেবে উপরোক্ত পদ্দতি অনুযায়ী যা যা করার দরকার এক্ষুনি করে ফেলুন।
পোষ্টটি ভাল লাগলে, শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।

দেখে নিন সকল প্রয়োজনী্য ওয়েবসাইট এর নাম ও লিঙ্ক [আপডেট]

দেখে নিন সকল প্রয়োজনী্য ওয়েবসাইট এর নাম ও লিঙ্ক [আপডেট]
ইন্টারনেটে নানারকমের ওয়েবসাইট তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ। বিভিন্নি সার্চ ইন্জিন এর ব্যবহারের ফলে যে কেউ সহজেই তার কাঙ্খিত ফলাফল খুজে বের করতে পারে । উদাহরন স্বরুপ বলা যেতে পারে আপনি বাংলা ভাষায় স্বাস্হ্য টিপস পেতে চাচ্ছেন স্বাভাবিকভাবেই আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করবেন Health Tips BD লিখে এবং অসংখ্য রেজাল্ট এর মধ্যে আপনার পছন্দের যে কোন একটিতে প্রবেশ করবেন এবং সেখান থেকে তথ্য গ্রহন করবেন । তাই আজকে আপনাদের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী কিছু সাইটের লিংক দিচ্ছি সংরক্ষন করে রাখুন কাজে দিবে ।

বাংলা টেকনোলজি আপডেট নিউজ পেতে ভিসিট করুন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্লগ

ইংরেজীতে টেকনোলজি টিউটোরিয়াল পেতে ভিসিট করুন

Tech Blog
Technology Zone

ইসলামিক সাইট


Islamic Daily Updates
Islamic Story
Mosques World 
Islamic Video Sharing

ইবুক পিডিএফ ডাউনলোড সাইট

Pdf Tutorial Zone
Get BD Book
Books Bangla
BD Books Centre

এসএমএস সাইট

 Free SMS

সিম অফার জানার জন্য ওয়েবসাইট

SIM Offer BD

ভালবাসার গল্প নিয়ে ওয়েবসাইট

Love Story BD

ভয়ংকর ভুতের গল্প

Bangla Ghost Story

রান্নাবান্নার রেসিপি

BD Foods Zone

বাংলা হেলথ টিপস

Health Tips BD
Health Tips

ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম বিষয়ক সাইট 

BD Travels
Historical Place

সফটওয়ার ও গেমস সাইট

এন্ড্রয়েড এপস ডাউনলোড সাইট

Free Android Apps

কম্পিউটার সফটওয়ার

Computer Software Zone

কম্পিউটার গেমস

Download Free Games

খেলাধুলার খবরাখবর সংক্রান্ত সাইট

Sports Update

মুভি ডাউনলোড সাইট

Free Movie Download

অডিও গান ডাউনলোড সাইট

Bangla Music Download

ওয়ালপেপার ডাউনলোড সাইট

Desktop Wallpapers
Photos of Cute Baby
Funny Photo BD

মোবাইলের মুল্য সম্পর্কিত সাইট

Mobile Price BD

ল্যাপটপের মুল্য সম্পর্কিত সাইট

 Laptop Price BD

অনলাইন আর্নিং সাইট

Earn Money Online
Money Earning Ways

গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়াল সাইট

Graphic Tips

চাকরির খবর

BD Jobs

ফেসবুক টিপস

Bangla Facebook Tips
Facebook Cover Photos

রেজাল্ট জানুন

Results BD

Study In Belgium – বেলজিয়ামে উচ্চশিক্ষা এর যাবতীয় তথ্য

Study In Belgium – বেলজিয়ামে উচ্চশিক্ষা এর যাবতীয় তথ্য
Study In Belgium – বেলজিয়ামে উচ্চশিক্ষা এর যাবতীয় তথ্য-ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত উত্তর পশ্চিম ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম। উন্নত এ দেশটির ইতিহাস খুবই উত্থান পতনের। কারন, উভয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েই দেশটি জার্মানির দখলে ছিল। বর্তমানে ইউরোপীয় সমাজব্যবস্থা, দৃঢ় অর্থনীতি ও মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাতেশী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য দেশটি আদর্শ হতে পারে। 


বেলজিয়ামের শিক্ষাব্যবস্থা:
ইউরোপীয় অন্যান্য দেশের মতো বেলজিয়ামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ব্যাচেলর ডিগ্রি কোর্স, মাস্টার্স ডিগ্রি কোর্সসহ পিএইচডি পর্যায়ের বিভিন্ন কোর্স বিদ্যমান। এখানে ব্যাচেলর কোর্সগুলো ৩-৪ বছর মেয়াদী হয়। 


যে বিষয়ে পড়তে যেতে পারেন: 
এখানে মডার্ন হিস্ট্রি, ল্যাটিন, গ্রিক, জার্মান, আর্কিওলজি, নরডিক স্টাডিজ, কমিউনিকেশন স্টাডিজ, পলিটিক্যাল সায়েন্স, ল, সোসিওলজি, জিওগ্রাফি, বায়োলজি, েেকমিস্ট্রি, জেনেটিক্স, মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্স, প্যাথলজি, সার্জারি, ডেন্টিস্ট্রি, মাইক্রো বায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি, রেডিওলজি, টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন, আর্কিটেকচার, আরবান প্লানিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিয়িারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইকোনমিক্স, বিজনেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ফার্মেসি, ভেটেরিনারি, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স, ম্যাথমেটিক্স, হর্টিকালচার, ম্যানেজমেন্ট, স্ট্যাটিসটিকসসহ আরো অনেক যুগোপযোগী বিষয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদান করা হয়। 


পড়াশোনার ভাষা:
বেলজিয়ামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারনত ডাচ ভাষায় পড়াশোনা করানো হয়। অল্প কিছু প্রতিষ্ঠানে ইংরেজিতে পড়াশোনা করা যায়। তাই বেলজিয়ামে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হলে ডাচ ভাষার উপর ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 


পড়াশোনার খরচ:
বেলজিয়ামে পড়াশোনার খরচ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের চেয়ে অনেক কম। এখানে একজন বিদেশী শিক্ষার্থীকে বছরে সাধারনত ৩২,৮০০ টাকা থেকে ৮৪,৫০০ টাকা পর্যন্তু টিউশন ফি প্রদান করতে হয়। 


থাকা খাওয়া ও অন্যান্য খরচ:
এখানে থাকা খাওয়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ একজন শিক্ষার্থীর মাসে প্রায় ৩২,০০০ টাকা থেকে ৪০,০০০ টাকা লাগে। 


কাজ করার সুযোগ: 
বেলজিয়ামে বিদেশী শিক্ষার্থী সপ্তাহে ১৫-২০ ঘন্টা পার্টটাইম কাজ করতে পারে। সামার এর ছুটিতে আপনি ৯০ দিন ফুলটাইম কাজ করতে পারবেন । 


আবেদন ও ভর্তি প্রসেসিং:
বেলজিয়ামে পড়াশোনার জন্য কোনো নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তথ্য ও প্রসপেক্টাস চেয়ে আবেদন করলে তারা বিস্তারিত প্রসেসিং প্লান পাঠিয়ে দিবে। প্রাথমিক আবেদন সাধারনত ই মেইলেই করা যায়। তারপর তাদের নির্দেশনা মোতাবেক যাবতীয় শিক্ষাগত ও অন্যান্য কাগজপত্রসহ এপ্লিকেশন ফি কুরিয়ার করে পাঠাতে হবে।  


ভিসা প্রসেসিং:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমানপত্র বা অফার লেটার, আর্থিক সামর্থ্যরে প্রমানপত্র বা ব্যাংক সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, শিক্ষাগত কাগজপত্র, অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাগজপত্র বেলজিয়াম দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য বেলজিয়াম দূতাবাসের তথ্য সেন্টার থেকে যাবতীয় তথ্য পেতে পারেন।


বেলজিয়ামে পড়াশুনার ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য জানে ভিসিত করুন বেলজিয়ামের ন্যাশনাল স্টাডি পোর্টাল http://www.studyinbelgium.be/en আরও একটি গুরুত্ব পূর্ণ সাইতের ঠিকানা দিচ্ছি পড়ে নিন এখানে । 

দেখে নিন অনলাইনে ভিসা,পাসপোর্ট,রেসিডেন্ট পার্মিট,ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি কিভাবে চেক করবেন?

দেখে নিন অনলাইনে ভিসা,পাসপোর্ট,রেসিডেন্ট পার্মিট,ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি কিভাবে চেক করবেন?
বিদেশে আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো হল পাসপোর্ট ও ভিসা। আর আমাদের দেশে থেকে যারা মিডল ইস্ট, ইউরোপ, কিংবা আফ্রিকা ভ্রমন কিংবা কাজের ভিসা নিয়ে যান তাদের অনেকেই অনেক সময় জাল ভিসা ও পাসপোর্ট বলে পুলিশ এর হাতে এয়ারপোর্ট এ আটকা পড়ে। কতিপয় দালাল এই সব ভিসা তৈরির কাজ করে থাকেন আর এর সাজা ভোগ করে নিরীহ বাঙালি। তাই আজকে আমার আলোচনার বিষয় বিদেশে আসার আগে কীভাবে ভিসা চেক করবেন? যারা ভিসা হাতে পাওয়ার পর বুঝতে পারেন না এটা আসল কিনা নকল তারা সহজে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ভিসা চেক করতে পারবেন। আমি আপনাদের কে কতিপয় দেশে ভিসা চেক করার পদ্ধতি ও ওয়েবসাইট সমুহের নাম দিচ্ছি।
এই সব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি অনি দেশের কাজের ভিসা ও রেসিডেন্ট পার্মিট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
১#বাংলাদেশ http://www.moi.gov.bd/
২#তানজানিয়া http://www.tanzania.go.tz/
৩#কাতারhttp://www.moi.gov.qa/site/english/
৪#কুয়েত http://www.moi.gov.kw/portal/varabic/ShowPage.aspx
৫#পাকিস্তান http://www.moitt.gov.pk/
৬# সৌদি আরব http://www.moi.gov.sa http://mol.gov.sa/
৭#দুবাই http://www.moi.gov.ae
৮#মিশর http://www.moiegypt.gov.eg/english
৯# সাইপ্রাস http://www.moi.gov.cy
১০#আলবেনিয়া http://www.moi.gov.al/
১১# জাম্বিয়া http://www.moi.gov.gm/
১২#জর্ডান http://www.moi.gov.jo/
১৩# ইন্ডিয়া http://labour.nic.in/content/
১৪#কেনিয়াhttp://www.labour.go.ke/
১৫# ইতালি https://www.visaservices.org.in/Italy-Bangladesh-Tracking/
১৬#সিঙ্গাপুর http://www.mom.gov.sg
১৭# স্লোভেনিয়া http://www.mddsz.gov.si/en
১৮#শ্রীলঙ্কা http://www.labourdept.gov.lk/
১৯# দক্ষিণ আফ্রিকা https://www.labour.gov.za/
২০#থাইল্যান্ড http://www.mfa.go.th/main/
২১#বাহরাইন http://www.mol.gov.bh/
২৩#কানাডা http://www.labour.gov.on.ca/english/
২৪#কোরিয়া http://www.moel.go.kr/english
২৫#জাপান http://www.mhlw.go.jp/english/
২৬#পোল্যান্ড http://www.mpips.gov.pl/en
২৭#ইংল্যান্ড http://www.ukba.homeoffice.gov.uk/
২৮#বুলগেরিয়া http://www.government.bg/
২৯#স্পেন http://www.empleo.gob.es/en/
৩০# ইউক্রাইন http://www.mlsp.gov.ua/labour/control/uk/index
৩১# মালায়শিয়া http://www.mohr.gov.my/index.php/en/
৩২#কানাডা http://www.cic.gc.ca/english/index-can.asp
৩৩#ওমান http://www.rop.gov.om/
৩৪#ওগান্দা http://www.mglsd.go.ug/
৩৫#ফিলিপাইন http://www.dole.gov.ph/
আর ইউরোপের ভিসা, পাসপোর্ট, রেসিডেন্ট পার্মিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি চেক করতে হলে নিচের ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করতে হবে। এখান থেকে আপনি সব কয়টি ুইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভুক্ত দেশের ডকুমেন্টস চেক করতে পারবেন। আর সব দেশের ডকুমেন্টস এর ফরম্যাট ও দেয়া আছে কোন দেশের ভিসা, পাসপোর্ট, রেসিডেন্ট পার্মিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি কেমন হয় সেটাও আপনি দেখতে পাবেন।
চেক করতে পারেন এই ওয়েবসাইট থেকে :
Counsil of European union – Public Registary of Authentic Identity and Travel Documents Check Online

জেনে নিন কোন দেশে কত টাকার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টস লাগবে ইউরোপে পড়াশুনা করতে ?

জেনে নিন কোন দেশে কত টাকার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টস লাগবে ইউরোপে পড়াশুনা করতে ?
ইউরোপের উচ্চশিক্ষার একটি অবিছেদ্য শর্ত হলো আপনি আর্থিক সাবলম্বী কি না .আপনি আপনার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন কি না. ভিসা আবেদনের আগে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকার ব্যাঙ্ক সলভেনসি সার্টিফিকেট দেখাতে হবে যা আপনার প্রমান দেবে আপনি ইউরোপ আসার পর পড়াশুনার খরচ বা থাকা খাওয়ার খরচ বহন করতে সক্ষম হবেন . আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হল কোন দেশের জন্য কি পরিমান টাকার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে স্টুডেন্ট কাউনসিলরকে বা এম্বেসী তে . কোন দেশের ক্ষেত্রে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে ? ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট তা মূলত এক বছরের থাকা খাওয়ার জন্য ওই দেশের Living expenses এর ১২ মাসের সমপরিমাণ টাকা দেখাতে হয় . যেমন দরুন জার্মানিতে এক মাসে ৬৭০ ইউরো খরচ হয় সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ১২*৬৭০ =৮০৪০ ইউরো এক বছরে দেখাতে . দেশে ভেদে কেমন হবে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট তার উপর একটা সংক্ষিত বর্ণনা আমি দিচ্ছি। আশা করি ইউরোপে পড়তে ইচ্ছুক ভাই – বোনদের কাজে আসবে
প্রথমে বলে নেই ব্লক একাউন্ট এর বেপারে . ব্লক একাউন্ট সম্পর্কে অনেকের ধারণা না ও থাকতে পারে . ব্লক একাউন্ট হচ্ছে নরমালি একটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট যেই একাউন্ট থেকে আপনি চাইলেও নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ছাড়া সব টাকা একত্রে তুলতে পারবেন না . আর বিশেষ ক্ষেত্রে সম্পুর্ন টাকা ব্লক করা হতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার ভিসার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে . ইউনিভার্সিটি থেকে কনফার্ম admission letter পাওয়ার পর সাধারণত এই ব্লক একাউন্ট করতে বলা হয় . এম্বেসীতে ভিসা আবেদনের পারবেন সম্পুন টাকা ব্লক করতে (ইমিগ্রেশন রুলস অনুযায়ী) ভিসা নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক থেকে ব্লক একাউন্ট এর টাকা গুলো ওই দেশের ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ ট্রান্সফার করতে হবে . যে খানে আপনি পড়াশুনা করতে আবেদন করেছেন . টাকা ট্রান্সফার এর বেপারে এম্বেসী ও ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল অফিস আপনাকে সাহায্য করবে . টেনশন করার কোন কারণ নাই.
কোন কোন দেশে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে ?
১#জার্মানি এর ক্ষেত্রে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে . টাকার পরিমান ৮০৪০ ইউরো . বাংলাদেশী টাকায়
৮ লক্ষ ৪ হাজার প্রায় .(কম বেশি হতে পারে দর অনুযায়ী)
২# নরওয়ে এর ক্ষেত্রে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে . টাকার পরিমান ৯২০০০ নরওয়েজিয়ান
ক্রোনা=১২৫০০ ইউরো = ১৩ লক্ষ টাকা .
#ব্রিটেন এর ক্ষেত্রে ১০০০০ পাউন্ড.= ১২ লক্ষ টাকা
#সুইডেনের ক্ষেত্রে ৮৭৫০০ সুইডিশ ক্রোনা =১০.৫ লক্ষ টাকা .
#ফিন্লান্ডের ক্ষেত্রে ৬৭২০ ইউরো (বেশি দেখাতে পারলে সমসা নাই)
#আয়ারল্যান্ড এর ক্ষেত্রে ৮০০০ ইউরো = ৮ লক্ষ টাকা .
#অস্ট্রিয়া এর ক্ষেত্রে ৬৫০০ ইউরো = ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
#পোল্যান্ড ৫৫০০ USD . ৪ লক্ষ টাকা প্রায় .
# লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া ৪৫০০-৫০০০ ইউরো = ৪.৫ -৫.০ লক্ষ টাকা .
#ইতালির ক্ষেত্রে ৭ লক্ষ টাকা .
# বেলজিয়াম + নেদারল্যান্ড এর ক্ষেত্রে ৭৫০০ ইউরো =৭.৫ লক্ষ টাকা .
# পর্তুগালের জন্য ৫০০০ ইউরো =৫ লক্ষ টাকা .
#স্পেন এর ক্ষেত্রে ৬ লক্ষ .
# রোমানিয়া, বুলগেরিয়া এর ক্ষেত্রে ৪ লক্ষ টাকা .
# সাইপ্রাস এর ক্ষেত্রে ৫০০০ ইউরো = ৫ লক্ষ টাকা .

Study In Canada কানাডায় উচ্চ শিক্ষা : ভিসার জন্য দৌড়াদৌড়ি

Study In Canada কানাডায় উচ্চ শিক্ষা : ভিসার জন্য দৌড়াদৌড়ি
কানাডায় ভিসার জন্য কাগজ প্রসেসিং দুইভাবে করা যায়। ১. সরাসরি সব ডকুমেন্টস হাইকমিশনে জমা দিয়ে, অথবা ২. ভিএফএস বলতে হাইকমিশনের মনোনীত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জমা দিয়ে। আমি ভিএফএস এর খেকে করেছিলাম, ভিএফএস আসলে কুরিয়ার এর কাজ করে, সব ডকুমেন্টস অ্যাপ্লিক্যান্ট এর থেকে নিয়ে হাইকমিশনে জমা দেয়।

ভিসা প্রসেসিং এর জন্য প্রথমেই সিটিজেনশিপ এন্ড ইমিগ্রেশন কানাডার ওয়েবসাইট ভালমত দেখে কিছুক্ষন উদাস হয়ে বসে খাকতে হবে। বিশেষ করে Instruction Guide (IMM 5269) পড়ে নিয়ম গুলো ভাল করে দেখার পরামর্শ রইল।

প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র:

দরকারী ফরম আর কাগজপত্রের চেকলিস্ট ভিএফএস এর সাইট বা হাইকমিশনের সাইট -এ পাওয়া যাবে। সব গুলো ফরম ডাউনলোডের পরে ওপেন করে দুইহাত দিয়ে ভালমতো মাথা চুলকে নিতে হবে। এর পরে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহের অভিযানে নামতে হবে। স্টাডি পারমিট চেকলিস্ট -এই কি কি লাগবে মূলত: বলা আছে, তবু্ও আমি আর একটু খই ভাজি।
সাপোর্টিং ডকুমেন্টস হিবেবে ইউনিভার্সিটির ভর্তির অফার লেটার, টিএ/আরএশিপ এর অরিজিনাল কপি লাগবে। স্ক্যান কপি দিয়েও অ্যাপ্লাই করা যায়, তবে প্রসেসিং শুরুর সময় তারা মূল কপি চাইবেই। কারো অফার লেটার যদি কন্ডিশনাল হয়, সেইক্ষেত্রে কিভাবে কন্ডিশন স্যাটিসফাই করা হবে সেই সন্ক্রান্ত কাগজ ও দিতে হবে। আমি আন্ডারগ্র্যাড এর ৭টার্মের রেজাল্ট দিয়ে ইউনির্ভাসিটিতে অ্যাপ্লাই করেছিলাম। আমার অ্যাডমিশন অফার লেটার-এ বলা ছিল বিএসসি সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। আমি বিএসসি সাটিফিকেট এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, আমার প্রসেসিং পেন্ডিং আছে। এছাড়া আন্ডারগ্র্যাডুয়েট/মাস্টার্স, এইচএসসি, এসএসসির সাটিফিকেট ও মার্কশীট, আইইএলটিস/টোফেল এর রেজাল্ট লাগবে। সকল ডকুমেন্টস এর মূল কপি ও এক কপি ফটোকপি দিতে হবে, আমি ফটোকপি সার্টিফাইড করে দিয়েছিলাম, সেই প্রসংগে পরে আসছি। পাসপোর্টের ফটোকপি ২-১ কপি বেশি নিয়ে যাওয়া ভাল।
এর পরে যারা স্পন্সর থাকবে (বাবা-মা বা নিকট আত্নীয়) তাদের আয়কর সনদ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট যাতে কমপক্ষে ছয়মাসের ট্রানসাকাশন থাকতে হবে, এফডিআর/সঞ্চয়পত্র এই সবের স্টেটমেন্ট লাগবে। আমার কাছে ভিএফএস থেকে স্পনসরদের চাকুরীর অ্যাপয়েন্ট লেটারও চেয়েছিল, আমি দিতে পারিনি। এটা তেমন বাধ্যতামূলক না, তবে সাথে থাকলে দেয়া যেতে পারে। যদি স্পন্সর রক্তের সম্পর্কযুক্ত না হয় তবে কেন উনি স্পনর হতে চান এই বিষয়ে বলতে হবে। আমার ক্ষেত্রে আমার বাবা-মা স্পন্সর ছিলেন, তাই এই বিষয়ে কি কি কাগজ দিতে হবে আমি ঠিক নিশ্চিত না।
বার্থ সাটিফিকেট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট লাগবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ডিএমপির সাইটের এই পিডিএফ এ পাওয়া যাবে। ক্লিয়ারেন্স এর জন্য ৫০০/- টাকার ট্রেজারী চালান করতে হয়। এইটা আবার সোনালী ব্যাংক এর সব শাখায় করা যায় না। বুয়েটের নিকটবর্তী এলাকার মাঝে নিউমার্কেট ও হাইকোর্ট শাখায় করে। অন্য আর কোথায় করে নিশ্চিত না, তবে যেকোন শাখা থেকে শুনে নেয়া যাবে। ট্রেজারী চালান এর ফরম পূরন এর সময় কোড নম্বর (1-2201-0001-2681) এ কাটাকুটি বা ভুল হবার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। মুড়ি খেতে না চাইলে ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন জমা দিতে বিকাল ৪টার পূর্বেই যেতে হবে।
কানাডায় স্টাডি পারমিট এর জন্য কমপক্ষে ১০,০০০ কানাডিয়ান ডলার এর সমতুল্য টাকা/সম্পদ দেখাতে হয়। তবে কোন আপার লিমিট নাই। রুল অব বৃদ্ধাঙ্গুল হিসেবে যত বেশি যত লিকুইড মানি+প্রপারটি দেখানো যায় ততই ভাল। টাকা বা সম্পত্তি (যেমন বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, টাকা ইত্যাদি) যাই দেখানো দরকার নোটারাইজড করে দিতে হবে। আমি গুলশান-২ গোলচক্কর এর কাছে জাহিদ প্লাজার ২য় তলায় অ্যাডভোকেট মনজুর কাদির এর থেকে করেছিলাম। ওখানে গিয়ে কানাডার স্টাডি পারমিটের জন্য নোটারী করতে চাই বললেই ওরা ১টা এভিডেভিড করে দিবে। এভিডেভিড করার জন্য আমি সব ডকুমেন্টস এর মূল কপি নিয়ে গিয়েছিলাম, যদিও অ্যাডভোকেট কিছুই দেখেননি। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাথে নিয়ে যাওয়া ভাল। আমি অবশ্য প্রতিটি ডকুমেন্টস (অফার লেটার, পুলিস ক্লিয়ারেন্স, বার্থ সাটিফিকেট, ব্যান্ক স্টেটমেন্ট সহ আর যা যা জমা দিতে হবে) এর ফটোকপি নোটারীর অফিস থেকে সার্টিফাইড করে নিয়েছিলাম। সার্টিফাই করে নিলে ওরা ১টা লাল খাঁজকাটা সিল মেরে দিবে। ফটোকপির সার্টিফাইড কপি জমা দেয়া বাধ্যতামূলক না, আমি দিয়েছিলাম। প্রতি কপি সার্টিফাই করতে ২০/- করে নিয়েছিল। সব মিলিয়ে নোটারীর অফিসে ১৫০০-/ বা ২০০০/- টাকা বিল এসেছিল, সঠিকটা মনে নাই। নোটারীর অফিস সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

ছবি:

ভিসার জন্য ছবি জমা দেবার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন আছে। সোজা উপায়ে পয়সা খরচ করতে না চাইলে ঘরের দেয়ালের সামনে দাড়িয়ে ছোট ভাইবোনকে দিয়ে ছবি তুলে নেয়া যেতে পারে। পরে স্কেল দিয়ে খোমা মেপে গিম্পে এডিট করে নিলেই হবে। অল্টারনেট অপশন হিসেবে গুলশান-২ তে ভিআইপি স্টুডিও (Gulshan Palladium (1st floor), রোড ৯৫, গুলশান-২) থেকেও তোলা যায়। এইক্ষেত্রেও দেশের নাম বলে দিলে ওরা ঐ মাপে ছবি তুলে দেয়। আমি অবশ্য ছবি তোলার জন্যই জীবনে প্রথমবারের মত টাই পরেছিলাম। নোটারীর অফিস আর স্টুডিও হন্টন দুরত্ব। একাধিক বার যেতে না চাইলে একই দিনে নোটারী আর ছবি তোলার ঝামেলা শেষ করে ফেলাই উত্তম।

ফরম পূরণ:

অ্যাপ্লিকেশন ফরম (IMM1294E) পূরণ করার জন্য অ্যাডোবি অ্যাক্রোব্যাট রিড়ার লাগবে। আমার কাছে অ্যাক্রোব্যাট এর ফ্রি ভার্সণ ছিল, ওইটা দিয়ে পিডিএফ এর উপর লিখতে পারিনি। বাকি ফরম যেমন ফ্যামিলি ইনফরমেশন, স্টুডেন্ট ক্যোশ্চিনিয়ার এইসব আমি ফক্সইট দিয়ে পূরণ করেছিলাম।
স্টুডেন্ট ক্যোশ্চিনিয়ার এর ২ ও ৫ পূরণ এ সতর্ক থাকতে হবে। “Why have you chosen to study abroad? How does this course differ from similar courses available in Bangladesh?” এর উত্তরে বলা যেতে পারে X ইউনিভার্সিটির Y কোর্সটা বাংলাদেশের ভবিষ্যত উন্নতির জন্য ইতিবাচক, এর ফলে এদেশের জনগোষ্টীর একটা বিশাল অংশ P Q R উপকার সমূহ পাবে। এছাড়া আরও কয়েকটি টিপস:
১. ফরম গুলো একটু সময় নিয়ে কয়েকদিন ধরে পূরণ করলে ভাল।
২. ফরমের প্রিন্টআউড নিতে লেজার প্রিন্টার রিকমেন্ড করা হয়। লেজার প্রিন্ট এর সুবিধা থাকলে তা দিয়ে করাই শ্রেয়।
৩. পুরো প্রসিডিওর সমাপ্ত করতে গিয়ে জীবনের প্রতি বৈরাগ্য আসতেই পারে, এটা স্বাভাবিক।
৪. সম্ভব হলে অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থেকেই রেডি করে রেখে অফার লেটার পাবার পর সময় নষ্ট না করে স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করে ফেলা ভাল।
ডকুমেন্টস জমা:
সকল ফরম প্রিন্ট করে জমা দেবার আগের দিন ই রিভিউ করে রাখা উত্তম। আমার সব কিছুই ১১তম ঘন্টায় হয়, কাজেই যারা আমার মত তারা জমা দেবার দিন সকালে তাড়হুড়ো করে প্রিন্ট করতে পারো। ডকুমেন্টস জমা দেবার আগের দিন রাতে ভিসা রিফিউসাল এর মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে আর্টফিলম দেখা যেতে পারে।
ডকুমেন্টস জমা দেবার দিন সকাল সকাল ই মিশন ভিএফএস এ রওনা দেয়া উচিত। কোন কারন নাই, তবু্ও আমি রিকমেন্ড করব ফরমাল ড্রেসআপ এ যেতে। ভিএসএর সাইটে লোকেশন পরিস্কার করেই দেয়া আছে। কিন্তু আমি গুলশানের দিক একটু কম চিনি দেখে খুঁজে পেতে একটু সমস্যা হয়েছিল। কেউ যদি মহাখালী-তিতুমীর কলেজের-ব্র্যাক উইনির সামনে দিয়ে যায় তাহলে গুলশান ১ এর গোলচক্কর থেকে হাতের ডানে যেতে হবে। কিছুদুর গেলেই অ্যাবাকাস চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ছাড়িয়ে সামনে গেলে হাতের উল্টো পাশে সিমেনস এর সাদা বিল্ডিং দেখা যাবে। তার পাশেই ভিএফএস এর অফিস।
ভিএফএস এর অফিস এ কি কি অ্যালাউড না তা তা এখানে বলা আছে। অফিসের মধ্যে অ্যাপ্লিক্যান্ট ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। এছাড়া কোন ব্যাগ থাকলেও প্রবেশ এর সময় জমা রাখে। তাই বড় দেখে প্লাস্টিকের ট্রান্সপারেন্ট ফাইলে করে সব ডকুমেন্টস নিয়ে যাওয়া ভাল। অফিসে ঢোকার আগে নিচে সিকিউরিটির থেকে ১টা স্লিপ নিয়ে উপরে উঠতে হবে। উপরে উঠে সিকিউরিটি চেকিং শেষে ডকুমেন্টস জমা নেবার রুম এ বসতে হবে। এসসময় সাময়িক উত্তেজনা ও দুশ্চিন্তার কারনে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব হতে পারে। কাউন্টার থেকে ডাক পরলে সকল ডকুমেন্টস নিয়ে যেতে হবে। সেখান থেকে ওরা পাসপোর্ট সহ ১টা ১টা করে বিভিন্ন ডকুমেন্টস বুঝে নিবে। সাথে দুইটা ফরম পূরন করতে বলবে। আমি যেই বুথে সব কিছু জমা দিয়েছিলাম সেখানে গভ: ল্যাব এর এক ভাইয়া ছিলেন। ভিসা ফরমে আমার স্কুল ল্যাব দেখে স্কুল বিষযে টুকটাক প্রশ্ন করেছিলেন। ল্যাব রকস!
সব ডকুমেন্টস জমা নেয়া শেষে পাশে ভিসা ফি ব্যাংক ড্রাফট করতে পাঠাবে। ব্যাংক ড্রাফটের জন্য সঠিক অ্যামাউন্টের খুচরা (৯৫০০+৮৭৫+২৩০) সাথে রাখা দরকার। সব শেষে ট্র্যকিং নাম্বার সহ ১টা রিসিট দেয়া হবে। রিসিট সযত্নে না রাখলে ঝামেলাহীনভাবে মুড়ির সংস্থান হয়ে যাবে। ভিএফএস এর অফিস খেকে বের হয়ে লম্বা ১টা শ্বাস নিয়ে বাসার দিকে হন্ঠন করা যেতে পারে।

পরবর্তী ধাপ:

বিধি লেফট হ্যান্ডেড না থাকলে ১০ কর্মদিবসের মাঝে ভিএফএস থেকে ফোন পাবার কথা। আমার ক্ষেত্রে ২/৩ দিনের মাঝেই ফোন পেয়েছিলাম। যদি সব ঠিক খাকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য পাসপোর্ট ফেরত দিবে। অ্যাপ্লিকেশন এর সমং যেসকল মূল কপি জমা দেয়া হয়েছিল সেগুলোও ফেরত দিয়ে দিবে। পরে ওদের রিকমন্ডেড মেডিক্যাল সেন্টার গুলোর যেকোনটা থেকে মেডিক্যাল টেস্ট করতে হবে। আমি বারিধারায় ওয়াহাব মেডিক্যাল সেন্টার থেকে করেছিলাম। ঠিকানা ভিএফএস থেকেই দেয়া ১টা কাগজে লেখা থাকবে। গেলেই ওরা ১টার পরে ১টা টেস্ট করতে থাকে, সাথে কয়েকটা ফরম পূরন করতে হয়। কি কি টেস্ট করতে হবে তার ১টা ধারনা এখান থেকে পাওয়া যাবে, আমি আর লিখলাম না। মেডিক্যাল টেস্টের সময় পাসপোর্ট এবং ২ কপি ছবি নিয়ে যেতে হবে। মেডিক্যাল টেস্টে সম্ভবত ৩০০০/- টাকা লাগে। টেস্টের রিপোর্টে কোন সমস্যা থাকলে মেডিক্যাল সেন্টার খেকেই ফোনে বলে দিবে।
টেস্ট শেষে পাসপোর্ট আর ভিএফএস এর রিসিট নিয়ে আবার ভিএফএস এ যেতে হবে। এইবার অবশ্য নিচে সিকিউরিটির থেকে স্লিপ নেয়া লাগবে না। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে ২/৩ সপ্তাহ পরে স্টাডি পারমিট পেয়ে যাবার কথা। আমি যেহেতু এখনও আমার আন্ডারগ্র্যাডুয়েট এর সার্টিফিকেট জমা দিতে পারিনি, আমার প্রসেসিং এখনও পেন্ডিং আছে। তাই সঠিক কয়দিন লাগে বলতে পারছিনা।
আপাতত: আর কিছু মনে পড়ছেনা, কিছু বাদ গেলে পরে লিখে দিব। হ্যাপি ভিসা প্রসেসিং ।

উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডা যেতে চান ?

জাতিসংঘের করা সবচেয়ে বাসযোগ্য দেশগুলোর তালিকায় কানাডা সবসময়ই ওপরের দিকে থাকে। দেশটিতে পড়াশোনা করতে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও কানাডার নাগরিকদের মত স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সমতা ইত্যাদি সুবিধা ভোগ করেন। বিশ্বের প্রায় সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে কানাডায়। কাজেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে মানুষ সেখানে গিয়ে নিজস্ব খাবার ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে থাকতে পারেন আর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজরও এ ধরনের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেন। কানাডার শিক্ষা কার্যক্রমে ইংরেজি ও ফরাসি এই দুই ভাষা ব্যবহৃত হয়, এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতাও বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা।
দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি হলেও স্বায়ত্তশাসিত। কাজেই কোন প্রতিষ্ঠান কোন কোর্স অফার করলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন কোর্সটি করানোর মত অবকাঠামো তাদের আছে। কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ কোর্স একটি প্রাদেশিক বোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোর্সগুলোকে দু’টো লেভেলে ভাগ করা হয়। একটি আন্ডারগ্রাজুয়েট বা ব্যাচেলর ডিগ্রি আর অন্যটি টিউনগ্রাজুয়েট। মাস্টার্স এবং পিএইচডি’কে টিউনগ্রাজুয়েট লেভেলের অংশ হিসেবে দেখা হয়।
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাবর্ষকে সাধারণত তিনটি সেমিস্টারে ভাগ করা হয়:
১. ফল সেমিস্টার, সেপ্টেম্বর- ডিসেম্বর
২. উইন্টার, জানুয়ারি-এপ্রিল
৩. সামার, মে-আগস্ট
থাকার ব্যবস্থা ও খরচ:
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় হলের মতই থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে এগুলোকে বলা হয় ডর্ম। ডর্মে থাকা বেশ ব্যয়বহুল হলেও ঝামেলা এড়ানো যায়। তবে ক্যাম্পাসের বাইর বাসা ভাড়া করে শেয়ার করেও থাকা যায়। সেক্ষেত্রে খরচ অনেক কম হবে। আবার শিক্ষার্থীরা ফোন ইন্টারনেট এসব শেয়ার করেও খরচ বেশ অনেকটা কমিয়ে আনতে পারেন। এদিকে কানাডার আলবার্টা প্রদেশসহ অনেক প্রদেশে শিক্ষার্থীরা বিনা পয়সায় বাসে ভ্রমণ করতে পারেন। থাকা খাওয়ার জন্য বছরে ৭ থেকে ১৩ হাজার কানাডিয়ান ডলার প্রয়োজন হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। সাধারণত একটু ছোট শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খরচ কম হয়, কিন্তু ছোট শহর হওয়ায় চাকরির সুযোগও কম থাকে।
কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আবার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেয় না। কাজেই স্কলারশিপের আশা করলে এসব বিশ্ববিদ্যালয় এড়িয়ে চলতে হবে।
বৃত্তি বা স্কলারশিপ
আর সব দেশের মত কানাডা সরকারও শিক্ষার্থীদের জন্য নানা ধরনের বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। কিছু বৃত্তি কেবল কানাডার নাগরিকদের জন্য আবার কিছু বৃত্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরও আবেদন করার সুযোগ থাকে। তবে আন্তর্জাতিক বৃত্তি হলেও সেখানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কিছু বৃত্তি কেবল ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর জন্য, কিছু বৃত্তি ক্যারিবীয় দেশগুলো জন্য আবার কিছু বৃত্তির ক্ষেত্রে সবদেশের শিক্ষার্থীদেরই আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়। কিছু কিছু বৃত্তি আবার কানাডা এবং কানাডার বাইরের সবদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য। কাজেই কানাডায় পড়াশোনার জন্য বৃত্তি পাওয়ার আশা করলে খোঁজখবর নিয়ে ছোটখাটো গবেষণাই করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখতে হবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে কি ধরনের বৃত্তির সুবিধা আছে। বলাবাহুল্য এসব বৃত্তির জন্য বেশ প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হয়। কানাডায় পড়াশোনার জন্য বৃত্তি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে এই সাইটটিতে: http://scholarships.gc.ca
কানাডায় পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যেসব বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন:
Program
Managed / Funded by
Banting Postdoctoral FellowshipsGovernment of Canada
CIFAR Global ScholarsCanadian Institute for Advanced Research (CIFAR)
CIHR FellowshipCanadian Institutes of Health Research
IDRC Doctoral Research AwardsInternational Development Research Centre (IDRC)
IDRC Research AwardsInternational Development Research Centre (IDRC)
Industrial Postgraduate Scholarships ProgramNatural Sciences and Engineering Research Council of Canada (NSERC)
Industrial Research and Development Internship (IRDI) ProgramNetworks of Centres of Excellence of Canada
Mitacs ElevateMitacs
Mitacs StepMitacs
Mitacs-AccelerateMitacs
Research Associate ProgramNational Research Council Canada
Sauvé Scholars ProgramJeanne Sauvé Youth Fondation
Strategic Training Initiative in Health Research (STIHR)Canadian Institutes of Health Research
The Bentley Cropping Systems FellowshipInternational Development Research Centre (IDRC)
Trudeau FellowshipsTrudeau Foundation
Trudeau ScholarshipsTrudeau Foundation
Vanier Canada Graduate ScholarshipsGovernment of Canada
Visiting Fellowships in Canadian Government Laboratories ProgramNatural Sciences and Engineering Research Council of Canada (NSERC)

যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করবেন:
  • সরাসরি প্রতিষ্ঠানের এডমিশন অফিসে বিস্তারিত তথ্যের জন্য মেইল করুন,
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন,
  • কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে,
  • এডমিশন অফিস থেকেই আপনি প্রয়োজনীয় সব তথ্য যেমন: প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি, ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন,
  • ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সাধারণত ১ বছর সময় হাতে রেখে শুরু করতে হয়,
  • সাধারণত আবেদন করার সময়সীমা শেষ হওয়ার ৬-৮ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়।
বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার শিক্ষাগত, ভাষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা:
কোর্সের নাম
প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা
ভাষাগত দক্ষতা
অন্যান্য যোগ্যতা
মেয়াদ
ব্যাচেলর ডিগ্রীকমপক্ষে ১২ বৎসর মেয়াদী শিক্ষাকমপক্ষে ৬-৬.৫ আইইএলটিএস স্কোরস্যাট-II কিছু ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক৩ থেকে ৪ বৎসর পূর্ণকালীন স্টাডি
মাস্টার্স ডিগ্রীকমপক্ষে ১৬ বৎসর মেয়াদী শিক্ষাকমপক্ষে ৬-৬.৫ আইইএলটিএস স্কোরকিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে GRE, GMAT ইত্যাদির প্রয়োজন হয়।১ বৎসর মেয়াদী পূর্ণকালীন স্টাডি

Ph.D. ডিগ্রীর ক্ষেত্রে ৩ বৎসর পূর্ণকালীন গবেষণা করতে হয়।

যেসব বিষয়ে পড়তে পারেন:
  • কম্পিউটার সাইন্স
  • ফুড সাইন্স
  • বায়োলজি
  • রসায়ন
  • ইলেকট্রনিক্স
  • মেডিকেল সাইন্স
  • ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট
  • কৃষি অর্থনীতি
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • ইতিহাস ও ধর্ম
  • ইংরেজি সাহিত্য প্রভৃতি

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
কানাডায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করতে হবে:
  • পূরণকৃত আবেদন ফরম
  • মানি অর্ডার/আবেদন ফি জমা দেয়ার রশিদ
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও মার্কশীটের ফটোকপির ইংরেজি ভার্সন
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র
  • টোফেল বা আইইএলটিএস এর স্কোর শীট
  • স্যাট, জিআরই, জি ম্যাট, (চাহিদা সাপেক্ষে) এর স্কোর শীট
  • আর্থিক সচ্ছলতার নিশ্চয়তাপত্র (স্পন্সর এর পক্ষ থেকে)
  • পাসপোর্টের ফটোকপি

শিক্ষা ব্যয়:
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যয়ের পরিমাণ বিভিন্ন। তবে গড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ৬ হাজার কানাডিয়ান ডলার থেকে ১৭,০০০ ডলার পর্যন্ত ব্যয় হয়ে থাকে। আর গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ৬,০০০ থেকে ৩০,০০০ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

জীবনযাত্রার ব্যয়:
একজন শিক্ষার্থীর সারা বছরের থাকা খাওয়া ও অন্যান্য খরচের জন্য প্রায় ১১,০০০ থেকে ১৪,০০০ ডলার প্রয়োজন হয়।

কাজ করার সুযোগ:
কানাডায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার বাইরে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পেয়ে থাকে যা তাদের স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ পর্যন্ত কার্যকর থাকে।

যেসব ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর কাজ করার সুযোগ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে:
  • লাইব্রেরী অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • হাউজ কিপিং অ্যাটেনড্যান্ট
  • সার্ভিস ম্যানেজার
  • হেয়ার ড্রেসার
  • বীচ লাইফ গার্ড
  • সিকিউরিটি গার্ড
  • রিটেইল ক্যানভাসর
  • একাউন্ট্যান্ট
  • ফ্রুট প্যাকিং ইত্যাদি
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন:
পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা ও সহযোগিতার জন্য কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন গড়ে উঠেছে। এরকম কয়েকটি ছাত্র সংগঠন:
পড়াশোনা শেষে কানাডা থেকে যাওয়া বা ইমিগ্রেশন
কানাডার নিয়মানুযায়ী সেখানে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে এবং কানাডার কারো প্রমাণপত্র পেলে পড়াশোনা শেষে কানাডা থেকে যাওয়ার সুযোগও পেতে পারেন শিক্ষার্থীরা।


গুগোল এডসেন্স এপ্রুভ করা

গুগোল এডসেন্স এপ্রুভ করা
১/ গুগোল এডসেন্স থেকে কেমন ইনকাম করা সম্ভবঃ
এই কথার প্রেক্ষিতে আমি বলবো ০১ টাকা ইনকাম করা সম্ভব না, যদি না আপনি কাজ করতে পারেন। এডসেন্স এপ্রুভ হলেই অথবা অন্যের দেখে এডসেন্স কিনে নিলেই যে মাসে মাসে হাজার হাজার ডলার কামাইবেন, কথাটা ১০১% ভুল। আপনাকে কাজ জানতে হবে। এক্সপার্ট হবার দরকার নেই মোটামুটি বিষয়গুলো জেনে নিন তাহলেই কিছু আশা করা যায়।
http://careersourcebd.com/
অনেকে অনেক নিয়মের কথা বলে, এ বিষয়ে আমি বলবো এত নিয়ম মানতে গেলে এডসেন্স করা মনে হয় সম্ভব না। আর গুগোল নিয়ম-নীতি সবগুলোই অনেক কঠিন না যে করলেই ব্যান খাইবেন। যা করবেন লিমিটে এবং বুঝে শুনে।
অনেকে বিভিন্ন ট্রিক্স ব্যবহার করে প্রতিদিন ৫০ - ৫০০ ডলার আয় করতেছে। তাদের ব্যান হয়না আর আপনার কেন ব্যান হবে।
আমার অনেক ফ্রেন্ড আছে যারা শুধু ব্লগিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এডসেন্স হতে প্রতিদিন ৫০-৭০ ডলার আয় করতেছে।
২/ অ্যাকাউন্ট হোল্ড হওয়া এবং না হবার কারণঃ
বর্তমানে অনেক এডসেন্স এপ্রুভ হচ্ছে যেগুলো ১০ ডলার হবার পরেও হোল্ড হয়না, আবার কিছু কিছু  আছে হয়ে যায়। অনেকে এগুলো এক নাম্বার এবং দুই নাম্বার এডসেন্স বলে
ভাইজান একটু ভালো মত শুনেন, যে যত বড় মাষ্টার হোক এডসেন্সের আর যত হাজার হাজার ট্রিক্স জানুক কোন লাভ নেই। গুগোল তো একটাই। গুগোল তো আর কাউকে পার্সোনাল ভাবে সার্ভিস দেয়না। গুগোল অটোমেটিক ভাবে বিল পেমেন্ট করলেও, এডসেন্স ম্যানুয়ালি এপ্রুভ করে থাকে বিষয় নিশ্চয় আপনার জেনে রাখা দরকার। তাই ট্রিক্স মাস্টার হয়েও লাভ নেই।
যারা ১ নাম্বার আর ২নাম্বার এডসেন্স বলেন, আমার ধারণা এটা তাদের সিস্টেম এর কোন প্রবলেম। কারন অ্যাকাউন্ট হোল্ড টা ম্যানুয়ালি হয়না, অটোমেটিক হয়ে থাকে। আশা করা যায় কিছু দিন অপেক্ষা করলে ঠিক হয়ে যাবে।
এটা গুগোল এর প্রোডাক্ট, তাই এটার কি হবে, কি হবেনা এবং কেন এমন হচ্ছেনা এটা গুগোল ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।
পরবর্তীতে আরও কিছু লিখবো।

পাসপোর্ট নবায়ন পদ্ধতি

পাসপোর্ট নবায়ন পদ্ধতি
নির্দিষ্ট সময়কালের পর নবায়ন করতে হয় পাসপোর্ট, এজন্যে যা যা করনীয়ঃ
প্রথমেই  নবায়নের জন্য পুরনো পাসপোর্টসহ নির্ধারিত আবেদনপত্রের একটি কপি জমা দিতে হবে। বর্তমানে দেশের ৬৭টি কার্যালয়ে পাসপোর্ট নবায়নের কাজ হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার কাছাকাছি সুবিধা মতো অথবা  আপনার এলাকার নির্ধারিত অফিসে ফি দিয়ে পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারবেন।
পাসপোর্ট নবায়নের জন্য যে সকল নথিপত্র প্রয়োজন-

* নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ।
* সাম্প্রতিক সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজের (অনধিক ছয় মাস) পাঁচ কপি ছবি।
* আবেদনকারীর বর্তমান পাসপোর্ট।
এরপর-
* নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করে ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রশিদটি ওই আবেদনপত্রের সঙ্গে আঠা দিয়ে লাগিয়ে পাসপোর্ট সহ জমা দিতে হবে।
* আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ডেলিভারি দেওয়া হয় বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে।
ফরম সংগ্রহ করবেন পদ্ধতিঃ
ইন্টারনেট থেকে বিনা মূল্যে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেই (www.dip.gov.bd) এই আবেদপত্র পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকেও বিনা মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে এই ফরম। চার পৃষ্ঠার এ আবেদনপত্রে আবেদনকারীকে নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, তাঁদের পেশা, জাতীয়তা, জন্মস্থান, জন্মতারিখ, জন্ম সনদপত্র নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে।
* এসব তথ্য সঠিক এবং নির্ভুলভাবে পূরণ করে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে হবে।
* আবেদনকারীকে একটি ৫৫x৪৫ মিলিমিটার আকারের রঙিন ছবি (পাসপোর্ট সাইজ ছবি) আবেদনপত্রে আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়িত করতে হবে। এমনভাবে সত্যায়িত করতে হবে যেন সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর এবং সিলমোহরের অর্ধেক অংশ ছবির ওপর আর বাকি অংশ আবেদনপত্রের কাগজে থাকে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
* জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
* অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছরের কম) আবেদনকারীর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বাবা ও মায়ের একটি করে রঙিন ছবিও লাগবে।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নিয়মঃ
* দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদনপত্রটি যাচাই করে সিলসহ স্বাক্ষর করবেন।
* আবেদনপত্রটি জমা নেওয়ার সময় পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত ব্যক্তি আপনাকে একটি টোকেন দেবেন।
* সে টোকেনসহ আবেদনপত্রটি নিয়ে ছবি তোলার জন্য আরেকজন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে।
* জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যেভাবে ছবি তোলা হয়েছিল, এখানেও একইভাবে নির্দিষ্ট মাপের ছবি তোলা হবে।
* ইলেকট্রনিক মেশিনে দুই হাতের আঙুলের ছাপ দিতে হবে।
* এরপর নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর। সেখানে কম্পিউটারে আপনার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য এন্ট্রি করা হবে।
* এই প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একটি আলাদা প্রিন্টেড কপি বা রশিদ দেবেন এবং আবেদনপত্রটি রেখে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার তারিখও জানিয়ে দেবেন।
* আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।
সবিশেষ পাসপোর্ট সংগ্রহঃ
* কর্তৃপক্ষের দেওয়া তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে। তবে মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার পর যাওয়া ভাল।
* তবে এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হতে হবে।
কিছু লক্ষণীয় বিষয়ঃ
* পুরো ঢাকা নগরীকে তিনটি অধিক্ষেত্রে বিভক্ত করা হয়েছে। উত্তরা, আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী। টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যার ঠিকানা যে অধিক্ষেত্রের অন্তর্গত, তাকে সেই পাসপোর্ট অফিসে টাকা জমা দিতে হবে।
* ছবি তোলার দিন পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে যেতে হবে। তবে সাদা রংয়ের কাপড় পরবেন না।

Facebook Tips

Facebook Tips
ইদানিং অনেক পরিচিত ব্যক্তিবর্গের টাইমলাইনে পর্ণ পোস্ট দেখা যায়। হঠাৎ করে দেখলেই আমরা তাকে খারাপ ভাবতেও পারি। কিন্তু আসলে কি তাই? তিনি কি ইচ্ছা করে এসব পোস্ট করেছেন?
আসলেই তিনি এসব পোস্ট করেন নি বা জানেনও না। তাহলে কিভাবে টাইমলাইনে আসল আপনার মনের মাঝে প্রশ্ন জাগতে পারে। আসুন আমি বলছি কিভাবে এসব পোস্ট আপনার টাইমলাইনে আসে এবং এর সমাধান কি । তার আগে কয়েকটি কথা বলে নেই......
কিছু পন্ডিত এই পোস্টের কমেন্টে জেনে না জেনেই আমাকে জ্ঞান দিবেন, হয়ত গালিও শুনতে পারি। কিন্তু বাস্তবতা কি জানেন? আসলে খুব সাধারণ মানুষগুলো না জেনেই এসব বীপদের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অনেক সময় স্কুল কলেজের শিক্ষকের টাইমলাইনেও এসব বাজে পোস্ট দেখা যায়। এখন ঘঠনা কি দাঁড়াল? যদি ওই টিচারে সাথে কোন শিক্ষার্থী এড থাকেন তাহলে নিঃসন্দেহে তার সম্পর্কে খারাপ ধারণা জন্মাতে পারে।
কেন এসব পোস্ট অন্যের টাইমলাইনে না এসে আপনার টাইমলাইনেই আসে?
অনেক সময় মনের ভুলে এমন কোন ফেসবুক এপস এর সাথে যুক্ত হয়ে গেলেন যার দ্বারা আপনাকে আজকের এই লজ্জাকর পরিস্থিতিতে পড়তে হলো। হতে পারে কোন সাইটে (লগিন উইথ ফেসবুক) করার মাধ্যমে অথবা কোন মজার মজার গেমসের মাধ্যমে। এছাড়াও আরো কতগুলো কারনে এমনটা হতে পারে (যেমনঃ ব্রাউজার এডন্স অথবা এক্সটেনশন)।
এইতো জানলেন এমন পরিস্থিতিতে পড়ার কারন গুলো।
তাহলে এমন পরিস্থিতিতে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি ?
আপনার ফেসবুক আইডিটি যেমন নিতান্তই আপনার, তেমনি ভাবে এর রক্ষণাবেক্ষনের মাধ্যমে নিজের মান সম্মান বজায় রাখার দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। ভুলে যাবেন না ভার্চুয়াল জগতে আপনাকে দেখে নয়, আপনার টামলাইন দেখেই আপনার স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে অপরিচিতরা ধারণা লাভ করেন। কথা না বাড়িয়ে তারপর বলছি......
এই সমস্যার মূল সমাধানের জন্য ‪#‎সেটিংস‬ অপ্সহানে যেতে হবে। সেখানে ‪#‎Apps‬ নামে একটি বাটন দেখতে পাবেন। তারপর #Apps এ গিয়ে অজানা সকল এপস রিমুভ করে দিন। যেসব এপস ট্রাস্টেড লিস্টে আছে সেগুলো রিমুভ না করলেও সমস্যা নেই (যেমনঃYouTube, Microsoft, Pinterest, Skype ইত্যাদি ) । তবে ভালো ভাবে খেয়াল করে যেগুলো আপনার কাছে রিস্ক মনে হয় সব রিমুভ করে দিন।
আশাকরি সবার উপকারে আসবে। আমার জ্ঞানের ক্ষুদ্র পরিসরে যতটুকু জানি ততটুকু শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

Computer Shortcut

Computer Shortcut
কম্পিউতার keyboard shortcut
o F1: সাহায্য (Help)
o CTRL+ESC: Start menu চালু
o ALT+TAB: চালু করা প্রোগ্রামগুলো থেকে
বাছাই
o ALT+F4: প্রোগ্রম বন্ধ করা
o SHIFT+DELETE: সরাসরি ফাইল ডিলিট করা
o Windows Logo+L: কম্পিউটার লক
করা
o CTRL+C: কপি
o CTRL+X: কাট
o CTRL+V: পেস্ট
o CTRL+Z: আনডু
o CTRL+B: অক্ষর বোল্ড করা
o CTRL+U: অক্ষর আন্ডারলাইন করা
o CTRL+I: অক্ষর ইটালিক করা
o SHIFT+right click: অতিরিক্ত শর্টকাট
সহ মেনু
o SHIFT+double click: বিকল্প ডিফল্ট
কমান্ড
o ALT+double click: প্রোপার্টিজ
প্রদর্শন
o F10: মেনু বার চালু করা
o SHIFT+F10: নির্বাচিত আইটেমের জন্যে
শর্টকাট মেনু
o CTRL+SHIFT+ESC:
টাস্ক ম্যানেজার
o ALT+DOWN ARROW: ড্রপ ডাউন মেনু
খোলা
o ALT+TAB: অন্য কোনো চালু করা
প্রোগ্রামে যাওয়া ( সবগূলো প্রোগ্রাম দেখতে
ALT চেপে ধরে TAB চাপুন )
o SHIFT: অটোরান বন্ধ করতে এটি চেপে ধরে
রাখুন
o ALT+SPACE: মেইন উইন্ডো’র সিস্টেম মেনু
দেখা
o CTRL+TAB: কোনো প্রোগ্রামের এক
উইন্ডো থেকে অন্য উইন্ডোতে যাওয়া
o ALT+আন্ডারলাইন কৃত অক্ষরঃ নির্দিষ্ট
মেনুতে যাওয়া
o ALT+F4: বর্তমান উইন্ডো বন্ধ করা
o CTRL+F4: একাধিক ডকুমেন্ট ইন্টারফেস সহ
কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করা
o F2: নির্বাচিত ফাইল রিনেইম করা
o F3: ফাইল খোঁজা
o F4: অন্য কোনো ফোল্ডারে ফাইল মুভ করা
o F5: বর্তমান উইন্ডো রিফ্রেশ করা
o CTRL+A: ফোল্ডারের সবগুলো আইটেম
নির্বাচন করা
o BACKSPACE: পুর্ববর্তি ফোল্ডারে যাওয়া
(ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্ষেত্রে পুর্বের পেইজ)
o Left ALT+left SHIFT+PRINT
SCREEN: Toggles high contrast on
and off
o Windows Logo: Start menu
o Windows Logo+M: সব প্রোগ্রাম
মিনিমাইজ করা
o SHIFT+Windows Logo+M:
মিনিমাইজ আনডু করা
o Windows Logo+E: Windows
Explorer চালু করা
o Windows Logo+F: Files অথবা
Folders খোঁজা
o Windows Logo+D: সব প্রোগ্রাম
মিনিমাইজ করা
o Windows Logo+TAB: টাস্কবার
চক্রাকারে দেখা
o Windows Logo+Break: System
Properties ডায়ালগ বক্স চালু করা
o Application key: নির্বাচিত আইটেমের
জন্যে শর্টকাট মেনু
o Windows Logo+L: উইন্ডোজ লগ অফ
করা
o Windows Logo+P: প্রিন্ট ম্যানেজার
চালু করা
o Windows Logo+C: কন্ট্রোল প্যানেল
চালু করা
o Windows Logo+V: ক্লিপবোর্ড চালু
করা
o Windows Logo+K: Keyboard
Properties ডায়ালগ বক্স চালু করা
o Windows Logo+I: Mouse
Properties ডায়ালগ বক্স চালু করা
ধন্যবাদ।

দেখে নিন কিভাবে করবেন এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষন

দেখে নিন কিভাবে করবেন এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষন
এখন তোমার মন বলছে আমার এই বিষয়ে এত কম গ্রেড পাবার কথা নয়। বাংলাদেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলো আশানুরুপ না হওয়াতে শিক্ষার্থীদের মনে যদি ফলাফল অনিশ্চয়তা থাকে তাদের অনিশ্চয়তা দূর করতে খাতা পুনঃমূল্যায়ন এর সুযোগ দিয়ে থাকে যা “ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন”, “পুনঃনিরীক্ষণ”, “পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ”, “Re-scrutiny” ইত্যাদি নামে পরিচিত। অনেকের ধারণা বোর্ড কতৃপক্ষ খাতা পুনঃমূল্যায়ন করে। কিন্তু আসলে এই প্রক্রিয়ায় বোর্ড থেকে যা করা হয় তা হল , নম্বর গণনা কিংবা কোথাও নম্বর প্রদানে ভুল ভ্রান্তি ভ্রান্তি হয়েছে কিনা সেসব বিষয় মিলিয়ে দেখা হয়।
কিভাবে ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন করবেন : ঘরে বসে মোবাইল থেকেই ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন।
তার জন্যে যা যা লাগবেঃ
টেলিটক সংযোগ সহ একটি মোবাইল ফোন। (শুধুমাত্র টেলিটক আপারেটর থেকেই ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন সম্ভব কিন্তু যাদের টেলিটক সিম নেই তাদের চিন্তার কিছু নেই, তারাও চাইলে অন্য কারো সিম ব্যাবহার করে অথবা ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন এর আবেদন করে এ ধরণের কোন দোকান থেকেও আবেদন করতে পারবেন)।
মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যানান্স ( প্রতিটি বিষয়ের আবেদনের জন্যে মোবাইল থেকে আবেদন ফি বাবদ ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে। যে সকল বিষয়ের ২ টি পত্র রয়েছে যেমনঃ বাংলা ও ইংরেজি সে সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে একটি বিষয় কোডের বিপরিতে ২ টি পত্রের আবেদন বলে গণ্য হবে তাই এ ক্ষেত্রে খরচ পরবে ২৫০ টাকা )
এছাড়া আপনার এসএমএস পাঠানোর জন্যও টাকা লাগবে তাই ১০/২০ টাকা বেশি রাখা ভালো।
আপনার সাথে যোগাযোগ এর একটি ব্যাক্তিগত নম্বর (বাংলাদেশের যে কোন অপারেটর এর নম্বর দিতে পারবেন)
আবেদন করতে এসএমএস করবেন যেভাবেঃ
মোবাইল এর ম্যাসেজ অপশন এ গিয়ে লিখবেন-
RSC<স্পেস>আপনার বোর্ড এর নামের প্রথম ৩ অক্ষর<স্পেস>রোল নম্বর<স্পেস>বিষয় কোড লিখে পাঠিয়ে দিন ১৬২২২।
উদাহরণঃ ঢাকা বোর্ড এর কোন শিক্ষার্থীর রোল নম্বর যদি হয় 123456 তার বাংলার জন্যে আবেদন করতে লিখতে হবে এভাবেঃ RSC<স্পেস>DHA<স্পেস>123456<স্পেস>101
এর পর ম্যাসেজটি 16222 এই নম্বরে পাঠাতে হবে।
উল্লেখ্য আপনি একটি এসএমএস এ একসাথে একাধিক বিষয়ের জন্যে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয়গুলোর কোড আলাদাভাবে লিখতে হবে। যেমন বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের আবেদন করতে হবে এভাবেঃ
RSC<স্পেস>DHA<স্পেস>123456<স্পেস>101,107
ফিরতি এসএমএস এ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে জানিয়ে আপনাকে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। আপনি রাজি থাকলে এর পর মাসেজ অপশন এ গিয়ে লিখবেনঃ
RSC<স্পেস>YES<স্পেস>পিন নম্বর<স্পেস>আপনার সাথে যোগাযোগের একটি নম্বর (যে কোন অপারেটর এর) লিখে সেন্ড করুন ১৬২২২ নম্বরে।
উদাহরনঃ ধরুন ফিরতি এসএমএস এ প্রদত্ত আপনার পিন নম্বর হল 1234 এবং আপনার মোবাইল নম্বর 01613XXXXXX সেক্ষেত্রে আবেদন করবেন এভাবেঃ
RSC<স্পেস>YES<স্পেস>1234<স্পেস>01613XXXXXX
ব্যাস উপরের প্রক্রিয়াগুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে সফলভাবে আপনার ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
আবেদনের সময়সীমাঃ
২০১৫ সালের ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন প্রক্রিয়া ৩১শে মে থেকে ০৬ জুন ২০১৫ পর্যন্ত পর্যন্ত চলবে।

visit Tech Blog

বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় জেনে রাখুন

বজ্রপাত থেকে বাঁচার উপায় জেনে রাখুন
thunderstorms001
এ মৌসুমে দেশে বজ্রপাতের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আর বজ্রপাতের কারণে এ সময় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ লেখায় দেওয়া হলো কয়েকটি উপায়, যা বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সহায়ক হবে। এক নিবন্ধে বিষয়টি জানিয়েছে উইকিহাউ।
কীভাবে হয় এই বজ্রপাত?
প্রাকৃতিকভাবেই বায়ুমণ্ডলে বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়ে মেঘে জমা থাকে। এই বিদ্যুৎ মেঘে দুটি চার্জ ধনাত্মক ও ঋণাত্মক হিসেবে থাকে। বিপরীত বিদ্যুৎশক্তির দুটো মেঘ কাছাকাছি এলেই পারস্পরিক আকর্ষণে চার্জ বিনিময় হয়। ফলে বিদ্যুৎ চমকায়। মেঘের নিচের অংশ ঋণাত্মক চার্জ বহন করে। আবার ভূপৃষ্ঠে থাকে ধনাত্মক চার্জ। দুই চার্জ মিলিত হয়ে তৈরি করে একটি ঊর্ধ্বমুখী বিদ্যুৎপ্রবাহ রেখা, যা প্রচণ্ড বেগে উপরের দিকে উঠে যায়। ঊর্ধ্বমুখী এই বিদ্যুৎপ্রবাহ উজ্জ্বল আলোর যে বিদ্যুৎপ্রবাহের সৃষ্টি করে তা-ই বজ্রপাত। বজ্রপাতের তাপ ৩০ থেকে ৬০ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, আকাশে যে মেঘ তৈরি হয়, তার ২৫ থেকে ৭৫ হাজার ফুটের মধ্যে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে বেশি। বজ্রপাতের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৬০ হাজার মিটার বেগে নিচে নেমে যায়। এই বিপুল পরিমাণ তাপসহ বজ্র মানুষের দেহের ওপর পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়।
বজ্রপাতের স্থায়িত্বকাল এক সেকেন্ডের দশ ভাগের এক ভাগ। ঠিক এই সময়েই বজ্রপাতের প্রভাবে বাতাস সূর্যপৃষ্ঠের পাঁচ গুণ বেশি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে চারপাশ। শব্দের গতি আলোর গতির থেকে কম হওয়ায় বজ্রপাতের পরই শব্দ শোনা যায়। বজ্রপাত ভূমিকম্পের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। একটি বজ্রপাতে প্রায় ৫০ হাজার অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎশক্তি থাকে। অথচ বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ চলে গড়ে ১৫ অ্যাম্পিয়ারে। একটি বজ্র কখনও কখনও ৩০ মিলিয়ন ভোল্ট বিদ্যুৎ নিয়েও আকাশে জ্বলে ওঠে। বাংলাদেশে বছরের দুটি মৌসুমে বজ্রপাত বেশি হয়। জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সাপ্তাহিক ও দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে বজ্রঝড়। কাল বৈশাখীর বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা দুনিয়ার বুকে বাংলাদেশেই বেশি। দুর্যোগের বলয়ে বন্দি বাংলাদেশের বুকে এই বজ্রদুর্যোগ দীর্ঘ করছে মৃত্যুর মিছিল। বাংলাদেশে বজ্রপাতের ওপর তেমন কোনো গবেষণা না হলেও ইউরোপ, জাপান ও আমেরিকায় চলছে বিস্তর গবেষণা। ২০০৮ সালে সুইডেনের উপসালায় অনুষ্ঠিত ২৯তম ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন লাইটিং প্রটেকশন’ শীর্ষক সম্মেলনে তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওফিজিক্স বিভাগের গবেষক কলিন প্রাইস তার ‘থান্ডারস্টর্ম, লাইটিং অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে দেখান, বায়ুদূষণ তথা পরিবেশ দূষণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে বজ্রপাতের। এ নিবন্ধে বলা হয়, বজ্রপাতে একদিকে যেমন বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বায়ুদূষণের ফলে বেড়েছে পরিবেশে বজ্রপাতের হার ও এর তীব্রতা।
জেনে রাখুন বাঁচার উপায় গুলো:
১. দালান বা পাকা ভবনের নিচে আশ্রয় নিন: ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু স্থানে থাকা যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয় কোনো একটি পাকা দালানের নিচে আশ্রয় নিতে পারলে।
২. উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুৎ লাইন থেকে দূরে থাকুন: কোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে।
৩. জানালা থেকে দূরে থাকুন: বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন।
৪. ধাতব বস্তু স্পর্শ করবেন না: বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলো স্পর্শ করেও বহু মানুষ আহত হয়।
৫. বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র থেকে সাবধান: বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের আভাষ পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।
৬. গাড়ির ভেতর থাকলে...: বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। গাড়ির কাচেও হাত দেবেন না।
৭. খোলা ও উঁচু জায়গা থেকে সাবধান: এমন কোনো স্থানে যাবেন না, যে স্থানে আপনিই উঁচু। বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা বড় মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি নিচু হয়ে যান। বাড়ির ছাদ কিংবা উঁচু কোনো স্থানে থাকলে দ্রুত সেখান থেকে নেমে যান।
৮. পানি থেকে সরুন: বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনো পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী।
৯. পরস্পর দূরে থাকুন: কয়েকজন মিলে খোলা কোনো স্থানে থাকাকালীন যদি বজ্রপাত শুরু হয় তাহলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যান। কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
১০. নিচু হয়ে বসুন: যদি বজ্রপাত হওয়ার উপক্রম হয় তাহলে কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসুন। চোখ বন্ধ রাখুন। কিন্তু মাটিয়ে শুয়ে পড়বেন না। মাটিতে শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
১১. বজ্রপাতের আগ মুহূর্তের লক্ষণ জানুন: আপনার উপরে বা আশপাশে বজ্রপাত হওয়ার আগের মুহূর্তে কয়েকটি লক্ষণে তা বোঝা যেতে পারে। যেমন বিদ্যুতের প্রভাবে আপনার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে বা বিদ্যুৎ অনুভূত হবে। এ সময় আশপাশের ধাতব পদার্থ কাঁপতে পারে। অনেকেই এ পরিস্থিতিতে ‘ক্রি ক্রি’ শব্দ পাওয়ার কথা জানান। আপনি যদি এমন পরিস্থিতি অনুভব করতে পারেন তাহলে দ্রুত বজ্রপাত হওয়ার প্রস্তুতি নিন।
১২. রবারের বুট পরুন: বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। এ সময় বিদ্যুৎ অপরিবাহী রাবারের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ।
১৩. বাড়ি সুরক্ষিত করুন: আপনার বাড়িকে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। এজন্য আর্থিং সংযুক্ত রড বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিতে হবে। ভুলভাবে স্থাপিত রড বজ্রপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
১৪. বজ্রপাতে আহত হলে: বজ্রপাতের সময় আশপাশের মানুষের খবর রাখুন। কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। একই সঙ্গে এ সময় বজ্রাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখুন।

অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহার করছেন ? তাহলে আপনার জন্য ১০টি উপকারি টিপস।

অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহার করছেন ? তাহলে আপনার জন্য ১০টি উপকারি টিপস।
অধিকাংশ ব্যবহারকারীর কাছেই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালানো সহজ। আর অ্যান্ড্রয়েড একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় যে কেউ এতে ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে পারে। আর এ কারণেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের সুযোগ রয়েছে একে মনের মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার। এতে প্রয়োজন অনুযায়ী যেমন ব্যাটারি লাইফ বাড়ানো সম্ভব তেমন গতিও বাড়ানো সম্ভব। এ লেখায় থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য তেমন ১০টি টিপস।
প্রথম ধাপ>>> পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের জন্য ‘গুগল নাও
পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্টের প্রয়োজনে ব্যবহা
র করুন ‘গুগল নাও’ অ্যাপ। এজন্য গুগল অ্যাপে গিয়ে ‘গেট গুগল নাও’ লিখে ট্যাপ করলেই হবে। এরপর আপনার প্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন সেট করুন।
২য় ধাপ>>> লাঞ্চার ও লক স্ক্রিন বদলান
প্রতিদিন একই আবহাওয়া উইজেট দেখে আপনি ক্লান্ত? গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনি এমন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন যা, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারফেস বদলে দেবে। এজন্য অ্যান্ড্রয়েড লাঞ্চার ও লক স্ক্রিন রিপ্লেসমেনট সার্চ করুন।
৩য় ধাপ>>> পাওয়ার সেভিংস মোড আনুন
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস যদি প্রায়ই ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে
যাওয়ার সমস্যায় পড়ে তাহলে পাওয়ার সেভিংসের কথা ভাবতে পারেন। এজন্য সেটিংস মেনুতে গিয়ে পাওয়ার সেভিংস মোড অন করুন। কিছু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে রয়েছে এজন্য নানা ফিচার। যেমন গ্যালাক্সি এসফাইভে রয়েছে আল্ট্রা পাওয়ার সেভিংস মোড। এর মাধ্যমে কল, টেক্সট, ইন্টারনেট ব্রাউজ ইত্যাদি সব কাজেই পাওয়ার সেভ করা সম্ভব। তবে সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাওয়ার সেভিংস মোড নেই।
৪ ধাপ>>>  অতিরিক্ত একটি ব্যাটারি রাখুন
প্রায় সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনেরই ব্যাটারির সমস্যা রয়েছে। আর সব সময় চার্জের ব্যবস্থাও হাতের কাছে থাকে না। এ সমস্যা অনেকাংশে সমাধান করা সম্ভব বাড়তি একটি ব্যাটারি ব্যবহার করে। চলার পথে ব্যবহার করতে করতে ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলে চট করে এটি বদলে নেওয়া সম্ভব।
৫ম ধাপ>>> গুগল অ্যাকাউন্টের সুবিধা নিন
আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের সুবিধা নেওয়ার জন্য গুগল ক্রোম ব্রাউজারে লগইন করতে পারেন। এতে আপনার বুকমার্ক ও অগ্রাধিকারগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে।
৬ষ্ট ধাপ>>> অ্যাপগুলো ফোল্ডারে সাজান
আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ভিন্ন ভিন্ন ফোল্ডারে সাজিয়ে রাখুন। এর ফলে প্রয়োজনের মুহূর্তে অ্যাপ খুঁজে বের করার ঝামেলা কমে যাবে। ফেল্ডার তৈরির জন্য অ্যাপটির আইকনের ওপর আঙুল ধরে তা ড্র্যাগ করে উপরের বাম পাশে ‘ক্রিয়েট ফোল্ডার’-এ নিয়ে যান।
৭ম ধাপ>>> থার্ড পার্টি কিবোর্ড
আপনার ডিফল্ট কি বোর্ডে যদি টাইপ করতে সমস্যা হয় তাহলে তা বদলে ফেলার সুযোগ রয়েছে। এজন্য গুগল প্লে স্টোরে বহু অ্যাপ পাবেন, যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই টাইপ করা সম্ভব।
৮ম >>> ধাপ ক্রোমে ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করুন
আপনার যদি ইন্টারনেটের ডেটার লিমিট দ্রুত শেষ হয়ে যায় তাহলে ক্রোমের ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করুন। এতে অপ্রয়োজনীয় ডেটা বাদ দিয়ে ব্যান্ডউইথের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে ছবিগুলোও এটি ছোট ফরম্যাটে নিয়ে এসে ব্যান্ডউইথের সাশ্রয় করতে পারে।
৯ম ধাপ>>> গুগল অ্যাকাউন্টের সুরক্ষায় অথেনটিকেটর ব্যবহার
আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকলে গুগল অথেনটিকেটর ব্যবহার করুন। এটি দুই পর্যায়ে অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফিকেশন করে। ফলে লগইন করার সময় পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি একটি কোডও জেনারেট করার প্রয়োজন হয়।
১০ম ধাপ>>>  ডিফল্ট অ্যাপস বদলান
কোনো লিংকে ক্লিক করলে যে ব্রাউজারে তা ওপেন হয় তা কি বদলাতে চান? এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত ডিফল্ট অ্যাপ যদি বদলাতে চান তাহলে সেটিংসে গিয়ে অ্যাপ সংলগ্ন ক্লিয়ার ডিফল্ট বাটনে চাপ দিন।
ব্যাস এখন আপনি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করুন মনে আনন্দ নিয়ে ।
আরও কিছু জানতে চাইলে আসুন আমার সাইটে http://sistunes.blogspot.com

বিগ ব্যাং থেকে বর্তমান মানব সভ্যতা এক নজরে

বিগ ব্যাং থেকে বর্তমান মানব সভ্যতা এক নজরে
‘বিগ ব্যাং’, মহাবিশ্বের সূচনা, মহাবিশ্বের সব কিছুর উৎপত্তি। সকল পদার্থ ও শক্তির সৃষ্টি।
আজ থেকে প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে পরমানুর চেয়েও বহুগুন ক্ষুদ্র প্রায় শুন্য আয়তনে ঘটা একটি বিস্ফোরনের মধ্য দিয়ে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি।
‘বিগ ব্যাং’ এর পর সময়ের পরিক্রমায় ধাপে ধাপে এই মহাবিশ্ব বর্তমান অবস্থায় আসে। গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যলাক্সি সব কিছুর শুরু ‘বিগ ব্যাং’।
সল্প পরিসরে দেখা যাক ‘বিগ ব্যাং’ এর পর কি কি ধাপ পার হয়ে আমাদের পৃথিবী, পৃথিবীতে ‘প্রথম প্রান’ এবং প্রানের বিকাশের ধারায় বর্তমান মানব সভ্যতা।
প্রথম পর্বে ‘বিগ ব্যাং’ এর পর পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর সৃষ্টি এবং পৃথিবীতে ‘প্রথম প্রান’ সৃষ্টির উপযুক্ত পরিবেশ গঠিত হবার সময় পর্যন্ত একটি ধারাবাহিকতা তুলে ধরা হল।
  • বর্তমান সময় হতে প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে বৃহৎ বিস্ফোরন সংগঠন। তাপমাত্রা প্রায় ১০^২৭ ডিগ্রী সেঃ।
  • বিগ ব্যাং এর পর ১ সেকেন্ড সময়ের মাঝে প্রায় শূন্য আয়তনের মহাবিশ্ব ছড়িয়ে পরে গ্যালাক্সির চেয়েও বড় এলাকায়। পদার্থ-প্রতিপদার্থ, কোয়ার্ক-প্রতিকোয়ার্ক একে অপরকে ধ্বংস করে শুধু শক্তি হয়ে বিরাজ করে। বাকিরা প্রোটন ও নিউট্রন সৃষ্টি করে। তাপমাত্রা কমে প্রায় ১০^১২ডিগ্রী সেঃ।
  • ইলেক্ট্রন পজিট্রন কে ধ্বংস করে। তাপমাত্রা আরো কমে প্রায় ৩০০ কোটি ডিগ্রী সেঃ হয় দশ সেকেন্ডের মধ্যে।
  • পরমানু গঠনের তিন মৌলিক কনা ইলেক্ট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন প্রস্তুত হতে সময় নেয় বিগ ব্যং এর পর তিন মিনিট।
    এর পর এভাবে সময় বয়ে চলে। মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হতে থাকে। মহাশুন্যে ভেসে বেড়ায় ইলেক্ট্রন, প্রোটন আর নিউট্রনের দল বিচ্ছিন্ন ভাবে।
  • প্রোটনকে কেন্দ্র করে প্রথম ইলেক্ট্রন ঘুর্নন শুরু করে বিগ ব্যাং এর প্রায় ৩ লক্ষ বছর পর। তৈরী হয় মহাবিশ্বের প্রথম পরমানু, হাইড্রোজেন পরমানু। এভাবে তৈরী হয় অসংখ্য বিচ্ছিন্ন হাইড্রোজেন পরমানু। যা বর্তমান কালের সকল বস্তুর, সকল পরমানুর আদি অবস্থা।
  • এ সময় থেকেই শুরু হয় মহাবিশ্ব গঠনে মহাকর্ষের প্রধান ভূমিকা। হাইড্রোজেন পরমানু মহাবিশ্বের নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে মহাকর্ষের প্রভাবে কাছাকাছি আসা শুরু করে। গঠিত হয় গ্যালাক্সি। বিগ ব্যাং এর পর প্রায় ৩০ কোটি বছর থেকে ৫০ কোটি বছর পর্যন্ত চলতে থাকে বিভিন্ন স্থানে গ্যালাক্সির জন্ম ও পূর্নতা প্রাপ্তির পথে এগিয়ে যাবার সূচনা।
    এসব গ্যালক্সির অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে কাছাকাছি থাকা হাইড্রোজেন মহাকর্ষের প্রভাবে আরো কাছাকাছি এসে একটি কেন্দ্রের দিকে এগুতে শুরু করে। তাদের পারষ্পারিক ঘর্ষনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই সাথে বাড়তে থাকে চাপ এবং বাড়ে সামগ্রিক মহাকর্ষ বল যা আশেপাশের হাইড্রোজেনকে আকর্ষন করে কাছ নিয়ে আসে আরো বেশি পরিমানে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ১ কোটি ৮০ লক্ষ ডিগ্রী ফারেনহাইট হলে হাইড্রোজেন নিউক্লিয়াস মিলে গঠিত হতে থাকে ভারী মৌল হিলিয়াম। সেই সাথে ফিউশনের জন্য বিকিরিত হয় শক্তি। এভাবেই তৈরী হয় মহাবিশ্বের প্রথম নক্ষত্র। একই প্রক্রিয়ায় তৈরী হয় মহাবিশ্বের সকল নক্ষত্র। আমাদের সৌরজগতের সূর্যও এমনই একটি নক্ষত্র।
    এখানে তৈরী হল প্রাথমিক ও হাল্কা দুটি মৌল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম। কিন্তু আমাদের পৃথিবীতেই আছে আরো শতাধিক তুলনামূলক ভারী মৌল। সেগুলোও তৈরী হয় নক্ষত্রেই। নক্ষত্রের আকারের উপর নির্ভর করে তুলনামুলক ভারী নক্ষত্র গুলোতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে আর সেই সাথে সকল হাইড্রোজেন ফিউশনিত হয় হিলিয়াম হবার পরেও ফিউশন প্রক্রিয়া চলতে থাকে। ভারী থেকে অতি-ভারী নক্ষত্রে একই ফিউশন প্রক্রিয়ায় তৈরী হয় হিলিয়াম থেকে যথাক্রমে, কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ম্যাগনেসিয়াম এবং সবশেষে লোহা। নক্ষত্রের সকল পরমানু লোহাতে পরিনত হবার পর আর ফিউশন চলতে পারে না। তখন মৃত্যু ঘটে একটি নক্ষত্রের। ছোট নক্ষত্রে এই মৃত্যু শান্ত হলেও মাঝারী ও বৃহদাকার নক্ষত্রে তারাদের ফিউশন শেষে এরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় বিশাল এক বিস্ফোরনের মধ্য দিয়ে। আর এই বিস্ফোরনের মাধ্যমেই তৈরী হয় কপার, সীসা এবং ইউরেনিয়ামের মত ভারী মৌল।
  • আজ থেকে প্রায় ১০০০ কোটি বছর পূর্বে সৃষ্টি হয় মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি। যার অধিবাসী আমরা। এই গ্যালাক্সিতে বারবার নক্ষত্রের জন্ম, মৃত্যু ও বিস্ফোরনের মাধ্যমে সৃষ্ট ভারী মৌল ও প্রয়োজনীয় হাল্কা হাইড্রোজেন একত্রীত হয় এই সর্পিলাকার গ্যালাক্সির পরিধির কাছাকাছি বর্তমান সৌরজগতের স্থানে।
  • বর্তমান সময় থেকে প্রায় ৪৫৬ কোটি বছর আগে এই একত্রীত ধুলোর মেঘ তার কেন্দ্রে তৈরী করে একটি নতুন নক্ষত্র। যাকে আমরা বলছি ‘সূর্য’। সৌরজগতের প্রান কেন্দ্র।
  • এই সৌরজগতের মোট পদার্থের ৯৯.৯% পদার্থ নিয়েই গঠিত হয় সূর্য। তারপরেও তার আশেপাশে থাকে গ্রহ উপগ্রহ তৈরীর জন্য পর্যাপ্ত পদার্থ। যেগুলো সময়ের সাথে মহাকর্ষের টানে কাছাকাছি এসে একত্রীত হয়ে গ্রহের আকার ধারন করে সূর্যের চারপাশে ঘুরতে থাকে এবং তৈরী করে সৌরজগত। এই গ্রহগুলোর একটি আমাদের পৃথিবী।
  • আজ থেকে ৪৫৪ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবী গ্রহের আকার ধারন করে যার ভর ছিল বর্তমান ভরের ৮০% । এ অবস্থায় পৃথিবী ছিল সম্পূর্ন অর্ধ-তরল গলিত লাভার একটি গোলাকার খন্ড। তখন পৃথিবীর ঘুর্নন ছিল বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি। তখন পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর একবার ঘুরতে সময় লাগত মাত্র ৬ ঘন্টা।
    দিন অতিবাহিত হতে থাকল পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথ নির্ধারন করে নিল। গলিত পৃথিবী ঠান্ডা হতে থাকল। হালকা পদার্থ তরলের উপরে উঠে এসে ভূপৃষ্ঠের আবরনের তৈরী করতে থাকল আর ভারী পদার্থ ডুবে গিয়ে পৃথিবীর কেন্দ্রে ভারী লোহা ও নিকেলের মিশ্রিত একটি ‘কোর’ তৈরী করল। এই ধাতব কেন্দ্র থেকে একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হল যা সূর্য থেকে ধেয়ে আশা আয়নিত কনা থেকে পৃথিবীর জীবজগৎকে এখনো রক্ষা করে চলে প্রতিনিয়ত। তখনো পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ তৈরী হয়নি।
  • ৪৫৩ কোটি বছর পূর্বে প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান একটি বস্তুখন্ড ঘন্টায় প্রায় ২৫০০০ কিঃমিঃ বেগে এসে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে। এই সংঘর্ষের ফলে আগন্তুকের কিছু অংশ পৃথিবীতে থেকে যায় আর বাকি অংশ ছড়িয়ে পরে মহাকাশে। ছড়িয়ে পরা এই বস্তুর কিছু অংশ মহাকর্ষের টানে একত্রীত হয়ে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরতে শুরু করে। সৃষ্টি হয় পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ।
    চাঁদ সৃষ্টি হওয়া পৃথিবীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। এই সংঘর্ষের ফলেই পৃথিবীর উলম্ব অক্ষ খানিকটা বেকে যায়। যার ফলে আজ আমরা পাচ্ছি ঋতুবৈচিত্র। যেটি প্রানের উদ্ভব ও জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয়। পৃথিবীর আহ্নিক গতি হ্রাস প্রাপ্ত হয়ে ৬ ঘন্টা থেকে ২৪ ঘন্টায় আসতে চাঁদের আকর্ষনের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া বর্তমানেও পৃথিবীর জলবায়ুর উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে চাঁদ। তার চাক্ষুস উদাহরন জোয়ার-ভাটা।

  • ৪৫০ কোটি বছর পূর্ব থেকে ৩৮০ কোটি বছর পূর্ব পর্যন্ত পৃথিবী প্রানের উদ্ভব ঘটার জন্য পর্যাপ্ত স্থিতিশীল অবস্থায় আসে। পৃথিবীর কক্ষপথ সুনির্দিষ্ট হয়, পৃথিবীর আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি স্থিতিশীল হয়, পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের গতি নির্দিষ্ট হারে এসে পৌছায়, চাঁদ অর্ধ-তরল লাভা থেকে ঠান্ডা হয়ে কঠিন অবস্থায় আসে।
  • ৪৫০ কোটি বছর পূর্বে, পৃথিবী কিছুটা শীতল হয়ে ভূপৃষ্ঠ কঠিন আকার ধারন করে। তবে তখনো ভূপৃষ্ঠে চলছে প্রচন্ড অগ্নুৎপাত। সেসময় পৃথিবীতে তাপমাত্রা এতই বেশি ছিল যে কোন তরল পানি ছিল না, ছিল ‘সুপারহিটেড স্টীম’।
    ধীরে ধীরে পৃথিবী ঠান্ডা হতে থাকে, জলীয়বাস্পের দরুন বৃষ্টিপাত হয়। প্রথমে খুবই অল্প পরিমানে ও পরে বেশি। ভুপৃষ্ঠ পানি তরল অবস্থায় থাকার মত তাপমাত্রায় আসে। বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্টি হয় জলাধার এবং সমূদ্র।
  • আজ থেকে ৩৮০ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় প্রথমবারের মত স্থায়ী সমুদ্র, যা ছিল প্রথম প্রানের উৎপত্তিস্থল ও আবাস।
প্রথম পর্বে মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে পৃথিবীতে প্রান সঞ্চারের উপযুক্ত পরিবেশ গঠন পর্যন্ত সময়কে ক্ষুদ্র পরিসরে তুলে ধরা হল।
পরবর্তী দ্বিতীয় ও শেষ পর্বে পৃথিবীতে প্রথম প্রানের উদ্ভব, ক্রমবিকাশ ও বিবর্তনের ধারায় বর্তমান মানব সভ্যতা গঠন পর্যন্ত অতিক্রান্ত সময়ের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন অংশ থাকবে।
তথ্যসূত্রঃ-
১. মহাকাশে কী ঘটছে – আবদুল্লাহ আল-মুতী
২. http://www.history.com
সবাইকে ধন্যবাদ।
ব্লগে পূর্বে প্রকাশিত :- Techtune

ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করুন খুব সহজে

ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করুন খুব সহজে
আসসালামু আলাইকুম। আসা করি সবাই ভালো আছেন।
আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দারুন এক ইউটিউব ডাউনলোডার! ইউটিউব থেকে অনেক সময় ভিডিও ডাউনলোড করতে সমস্যা হয়। আবার অনেকে পছন্দের গান এমপিথ্রি ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে চান। তাদের জন্য অসাধারণ একটি সফটওয়ার।

সফটওয়ার টি থেকে আপনি যেকোনো ধরণের ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন। হাই রেজুলেশন থেকে শুরু করে সব ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে পারবেন খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে।

প্রথমে সফটওয়ারটি ডাউনলোড করে নিন। ইন্সটাল করবেন সাধারন ভাবেই। ইন্সটাল করতে কোন সমস্যা হবে না আশা করি। তারপর আপনার পিসি একবার রিস্টার্ট করে নিন।

এখন আপনি যে ভিডিও টি ডাউনলোড করতে চাচ্ছেন সেটি যেকোনো ব্রাওজারে ওপেন করে নিন। তারপর উপর থেকে লিংক কপি করে আমার দেওয়া সফটওয়ার টি ওপেন করুন। দেখবেন অটোমেটিক আপনার কপি করা লিংক টি ছবি সহ ওই সফটে শো করছে। এখন নিচের দিকে বিভিন্ন ফরম্যাট এর অপশন দেওয়া আছে। হাই রেজুলেশন ভিডিও থেকে শুরু করে এমপিথ্রি সব ফরম্যাট সহ কোনটাই কত সাইজ সেটাও দেখতে পাবেন। আপনার পছন্দ মত ফরম্যাট নিয়ে ডানদিকে শুধু ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন। ব্যাস কাজ শেষ। দেখবেন ডাউনলোড শুরু হয়ে গেছে।

মনে রাখবেন, লিংক কপি করে তারপর সফটওয়ার টি ওপেন করবেন। তাহলে অটোমেটিক ডাউনলোড এর জন্য রেডি হয়ে যাবে।

তারপর কোন সমস্যা হলে আমাকে নক দিবেন ফেসবুকে আমি। অথবা টিউমেন্টস করবেন। উপকার পেলে অবশ্যয় জানাবেন টিউমেন্টস। আপনাদের টিউমেন্টস আমাকে পরের টিউনের উৎসাহ দেবে।

তাহলে আর দেরি কেন? এখুনি ডাউনলোড করে নিন।
ইউটিউব ডাউনলোডার টি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

সময় পেলে আমার মুভি ডাউনলোড সাইট থেকে ঘুরে আসবেন। ভালো লাগবেই।


ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ্‌ হাফেজ।
Design by MS Design

Powered by Blogger