পাঁচ
অপারেটরের টাকা জমা দেয়ার কথা থাকলেও বিড আরনেস্ট মানি জমা দিয়েছে চার
অপারেটর। যোগ্য বিবেচিত হওয়ার পরও
দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেল এই
নিলামে টাকা জমা দেয় নি।এর ফলে সিটিসেল আগামী ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় থ্রি জি নিলামে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রামীণফোন, বাংলালিঙ্ক, এয়ারটেল ও রবি বিড আরনেস্ট মানি জমা দেয়। থ্রি জি নিলামে অংশ নিশ্চিত করতে প্রতি মোবাইল অপারেটর ২ কোটি মার্কিন ডলারের পে-অর্ডার জমা দেয়।
আর্থিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে সিটিসেল টাকা জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি ও স্পেকট্রাম রাখার সুপারিশ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস।
তিনি আরও বলেন, “সিটিসেলের এ সুপারিশ রাখার কোনো সুযোগ নেই, তবে নিলামের পর যিদি স্পেকট্রাম বাকি থাকে তাহলে তা নিয়ম অনুযায়ী বিক্রি করা হবে।’’
বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরের মধ্যে তিনটিকে থ্রি জি লাইসেন্স দেয়ার কথা আছে। তাই সিটিসেল নিলামে আসতে না পারায় প্রতিযোগিতা কমে যাবে কিনা জানতে চাইলে বিটিআরসি প্রধান বলেন, “নিলামে প্রতিযোগিতার সুযোগ রাখা হয়েছে, প্রথম ফেইজে দুটি ব্লকে নিলাম হবে।
“সিটিসেল নিলামে এলে একজন অপারেটর বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকতে, তাই প্রতিযোগিতাও বেশি থাকত।”
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয়ে ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদের কাছে এ টাকা জমা দেয় অপারেটরারা।
গিয়াসউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বির্ড আর্নেস্ট মানি জমা দেয়ার মাধ্যমে নিলাম প্রক্রিয়া সক্রিয়ভাবে শুরু হলো।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৫ বেসরকারি অপারেটরকে নিলামে অংশ নিতে যোগ্য ঘোষণা করে বিটিআরসি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গ মূল্য ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি সেবা (থ্রি জি) লাইসেন্স নীতিমালা চূড়ান্ত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
চূড়ান্ত নীতিমালায় বাংলাদেশের বেসরকারি পাঁচ মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে তিনটি এবং নতুন এক অপারেটরকে লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দেশের ছয় অপারেটরের মধ্যে টেলিটক পরীক্ষামূলক থ্রি জি সেবা দিচ্ছে। যদি টেলিটক নিলামে অংশ নাও নেয় তবুও চূড়ান্ত নীতিমালা অনুযায়ী নিলামে যে দর উঠবে সে পরিমান টাকা দিয়েই টেলিটককে লাইসেন্স কিনতে হবে। অপারেটররা ১৫ বছরের জন্য থ্রিজি লাইসেন্স পাবে।
ConversionConversion EmoticonEmoticon