ইউরোপে পড়াশুনা করতে আসার আগে জেনে নিন সঠিক তথ্য

| প্রকাশিত হয়েছেঃ July 27, 2013 | টিউন বিভাগঃ
" বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পড়াশুনা করতে আসার আগে জেনে নিন সঠিক তথ্য "
বাংলাদেশ থেকে অনেকে ইউরোপটাকে স্বপ্নের রাজ্য মনে করে থাকে , কিন্তু সঠিক পথে ও দিক নির্দেশনায় এগুতে না পারলে ইউরোপের এই স্বপ্ন রাজ্য অনেকের জন্য
অভিশাপ বলে মনে হবে। আমাদের দেশ থেকে এক সময় প্রচুর ছাত্র বিলেতে পাড়ি জমাতেন উচ্চশিক্ষা গ্রহনের জন্য। যুক্তরাজ্য অভিবাসন কর্তিপক্ষের মতে গত ১ দশকে ইংল্যান্ড এ পাড়ি জমিয়েছেন এমন বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীর সংখা ২-৪ লাখের কাছাকাছি হবে। শুধু মাত্র ২০০৯ -২০১০ সালে এসেছে ৪৫-৬০ হাজার ছাত্র –ছাত্রী। এখন প্রশ্ন হলে এত ছাত্র-ছাত্রী আসার কারণ কি ? কারণ টা একটু ভাবলে পাওয়া যাবে ২০০৯ সালের মে মাস থেকে যুক্তরাজ্য স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে এক নতুন পরিবর্তন আনে। Tier - 4 নামে স্টুডেন্ট ভিসা প্রবর্তনের কারণের একজন ছাত্র অতি সহজে ছাত্র হয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অধিকার পায়। এই ক্ষেত্রে কোন ধরনের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমানের দরকার নেই, শুধু মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট থাকলেই যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সুযোগ পেতেন। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির ক্ষেত্রে এককালীন পরিশোধ করতে হত বিশাল অংকের টাকা। এত সব কিছু করার পেছনে একটাই উদ্দেশ্য জীবনটাকে ভালো একটা জায়গায় দাড় করানো , পড়াশুনার পাশাপাশি চাকুরী করে কিছু টাকা ইনকাম করে নিজের ভবিষৎ টাকে উজ্জল করা। কিন্তু বর্তমান সময়ের চিত্রটা সম্পুর্ন ভিন্ন। যেই স্বপ্ন নিয়ে তারা ইউরোপ আসে তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। এক দিকে কলেজের বাড়তি টিউসন ফী আর একদিকে কাজের ক্ষেত্রে পুলিশ এর ঝামেলা সব মিলিয়ে ভালো নেই যুক্তরাজ্যের ছাত্ররা। যাই হোক এটা হলো লন্ডনের কথা। এবার আসি সেন্ট্রাল ইউরোপের কথায়। বর্তমান সময়ে একটা জিনিস লক্ষ করার মত যে বাংলাদেশী ছাত্ররা বিনা বেতনে অধ্যয়ন করা যায় এমন সব দেশ গুলোতে আগ্রহী হয়ে ওঠেছেন , যেমন জার্মানি , ফিনল্যাণ্ড ,নরওয়ে । গত বছর গুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী জার্মানি ও ফিনল্যাণ্ড এ পাড়ি জমিয়েছেন । তার কারণ হলো পড়াশুনার ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি গুলো কোন টিউসন ফী দাবি করে না, সম্পুর্ন ফী তে আপনি পড়াশুনা করতে পারচ্ছেন। অন্যদিকে কাজের ক্ষেত্রে ও ইউরোপিয়ান আইন অনুযায়ী যত ঘন্টা করার অনুমতি আছে সেটা করতে কোন সমস্যা নাই। তবে ইউরোপের আসার ক্ষেত্রে অনেকে আবার দালালের খপ্পরে পরে অনেক টাকা পয়সা নষ্ট করে। এই সব দেশে গুলো আসতে হলে ইউনিভার্সিটি কর্তিপক্ষকে কোন প্রকার টাকা পয়সা প্রদান করতে হয় না কিন্তু কতিপয় বাংলাদেশী এজেন্ট ১০০% ভিসা করিয়ে দিবে বলে অনেকে ছেলে পেলের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচে বড় অংকের টাকা। বিশেষ করে জার্মানির ক্ষেত্রে এমন ঘটনা অহরহ ঘটতেছে, অনেক টাকার বিনিময়ে স্টুডেন্টস ভিসার কথা বলে ভাষা শিক্ষা  কোর্সের ভিসা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে জার্মানিতে, সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে এমনটি ঘটতেছে। তাই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী মিলে ইউরোপ আসতে ইচ্ছুক ভাই-বোনদের জন্য সম্পুর্ন ফ্রি ইনফরমেশন সার্ভিস দিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে গ্রুপ খুলেছে। ওই গ্রুপের সকল এডমিন গন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অধ্যয়নরত আছে, তারা বাংলাদেশী যে সকল স্টুডেন্টসরা ইউরোপে আসার কথা ভাবছে তাদের কে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এই জন্য আপনাকে কোন প্রকার টাকা পয়সা প্রদান করতে হবে না । শুধু মাত্র তাদের ফেইসবুক গ্রুপে যোগদান করে জেনে নিতে পারবেন প্রয়োজনীয় তথ্য , তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন ইউরোপ আসার আগে ও পরে কি কি করনীয়। ইউনিভার্সিটি ভর্তির তথ্য ,স্কলারশিপ ও অভিবাসন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য. কতিপয় বাংলাদেশী ছাত্রের উদ্যোগে এই ফেইসবুক গ্রুপ পরিচালিত হয়। তাদের উদ্দেশ্য একটাই সকল বাংলাদেশী যারা ইউরোপ পড়াশুনা কিংবা চাকুরী নিয়ে আসতে ইচ্ছুক তাদের কে সঠিক পথ দেখানো, কেউ যেন দালালের খপ্পরে না পড়ে। সব ধরনের সেবা পেতে হলে যুক্ত হন তাদের ফেইসবুক গ্রুপে আশা করি আপনদের কাংখিত বিষয় গুলো আপনি তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন । তাদের ফেইসবুক যোগ দিতে এই লিংক অনুসরণ করুন । বাংলাদেশী স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশান ইন ইউরোপ....
গ্রুপ লিংক - https://www.facebook.com/groups/asian.student/
পেজ লিংক - https://www.facebook.com/Bangladesh.Europe
ওয়েবসাইট -http://www.bsaineurope.eu/
বাংলাদেশী স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশান ইন ইউরোপ এর সকল কার্যক্রম ও তথ্য আদান - প্রদান গ্রুপের মাধ্যমে চলে , তাই কোন তথ্য সেবা পেতে হলে অবশ্যই গ্রুপে যোগদান করতে হবে । সবাইকে ধন্যবাদ লিখাটি পরার জন্য ।

Previous
Next Post »
Design by MS Design

Powered by Blogger