ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর আশ্বাস বিটিআরসির ।

গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর আন্দোলন শুরু হওয়ার পর আজ বুধবার দুপুরে আন্দোলনকারীদের সাথে এক বৈঠকে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। কিন্তু ঠিক কবে মূল্য
কমানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে তা বলা হয়নি। ইন্টারনেট আন্দোলনের সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরী বিটিআরসির মিটিং শেষে  জানিয়েছেন, আমরা শুধু ঘোষণাতে সন্তুষ্ট নয়। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না।
বুধবার বেলা ১২টায় অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে বিটিআরসি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার গোলাম মওলা তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুলিয়াস চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি সোসাইটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইমরান, বাংলাদেশ টেলিকম সাবস্ক্রাইবার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শার্দুল আহমেদ, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও আইসিটি অব বাংলাদেশ- ইয়াহু গ্রুপের মডারেটর এম.এ কবির এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম.এম শুভ উপস্থিত ছিলেন।
আজকের মিটিং এ বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগে মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মাওলা ভুঁইয়া আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনাদের কি কি দাবি তা আমাদের লিখিত জানান।
এরপর তা বিশ্লেষণ করে আমরা আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে মূল্য কমানোর ব্যবস্থা করবো।
গোলাম মাওলার উত্তরে জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, আমরা বছরের পর বছর আন্দোলন করে যাচ্ছি সেই সাথে আমাদের চাওয়া কি তাও বারবার বলেছি।
তারপরেও লিখিত আবারও দেওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা তা দিবো। কিন্তু দাবি আদায় না হলে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।
এক প্রশ্নের জবাবে জুলীয়াস চৌধুরী  বলেন, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমরা আগামী ১২ জুন বিকেল ৩টা থেকে বিটিআরসি কার্যালয়ে লাগাতার গণ-অবস্থান করবো।
এদিকে বিটিআরসিতে প্রস্তাবের জন্য গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার নির্ধারণে সকলের কাছ থেকে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন।
এ বিষয়ে ‘উন্মুক্ত মূল্যহার নির্ধারণী সভা’ আজ বুধবার ৫ জুন ২০১৩ বিকেল ৩টায় শাহবাগ চত্বরে আয়োজন করা হয়েছে ‘উন্মুক্ত মূল্যহার নির্ধারণী সভা’।
সভায় উপস্থিত হয়ে যে কেউ ইন্টারনেট গ্রাহক ও সর্বস্তরের নাগরিক গ্রাহক পর্যায়ের ইন্টারনেটের মূল্যহার প্রস্তাব করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলন সমন্বয়ক জুলিয়াস চৌধুরী।
উল্লেখ্য, শাহবাগে সাধারণ সভা ডাকার পর পরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেয় বিটিআরসি।
প্রসঙ্গত, তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন সাংবাদিক সম্মেলন এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপযুক্ত মূল্যহার নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ১২ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক প্রতি মেগাবাইট ১০ পয়সা এবং প্রতি গিগাবাইট ১০ টাকা হারে এবং সর্বনিম্ন গতি নির্ধারণ করে দেয়া না হলে আগামী ১২ জুন বুধবার, বিকেল ৩টা থেকে বিটিআরসি কার্যালয়ে লাগাতার গণ-অবস্থানের প্রস্তুতি নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন।
ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি সংসদসহ কিছু সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠন তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি সংসদের (ডিইউআইটিএস) সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইমরান জানান, ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর দাবিতে আমরা সর্বাত্মক আন্দোলন করবো।

Comments

Popular posts from this blog

উদ্যোক্তাদের জন্য ৫টি উপদেশ ৫টি প্রতিষ্টান প্রধানের পক্ষ থেকে

স্মার্টফোনের অতি ব্যবহার কিশোরদের অমনোযোগী করে

সবার চোখের আড়াল হতে আপনার ফেসবুক একাউন্ট হাইড করুন